|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে। আমার দিনটিও মোটামুটি ভালোই কেটেছে।
আজ আবারও চলে এলাম আমাদের কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত নতুন একটি কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য, যার বিষয়বস্তু সম্পর্কে আশাকরি ইতিমধ্যে আপনারা অবগত হয়েছেন। লেখা শুরু করার আগে আমি আমার তিনজন বন্ধু @waqarahmadshah,@wilmer1988 ও @shiftitamanna কে।
আগামীকাল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের শেষ দিন, তাই অনুরোধ করবো প্রত্যেকেই এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করবেন। চলুন এবার আমি আমার নিজের ভালোলাগা আপনাদের সাথে করি, -
|
---|
|
---|
সত্যি কথা বলতে কনটেস্টের বিষয়বস্তু পড়ে যতখানি সহজ মনে হয়েছিলো, লিখতে গিয়ে আমার কাছে বিষয়টা ততটাই কঠিন মনে হচ্ছে। কারণ পছন্দের খাবার সম্পর্কে আমি বড্ড বেশি মুডি। আমার এক এক সময় এক একটা জিনিস খেতে ভালো লাগে।
কখনো মিষ্টি,কখনো ঝাল আবার কখনো টক। কখনো কখনো কোনো একটি জিনিসের প্রতি আমার এত বেশি আকর্ষণ হয়, যে তখন সেটা সামনে পেলে আমি অনেকটা বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলতে পারি।
তবে যদি ঝাল, মিষ্টি বা টক (Spicy, sweet, or Sour) এই তিনটি স্বাদের মধ্যে থেকে একটি বেছে নিতেই হয়, তবে আমি ঝাল অর্থাৎ মশলাদার খাবারটাই বেছে নেবো। কারণ মিষ্টি বা টক এটি আমি সবসময় খেতে পছন্দ করি না, মাঝেমধ্যে এতো বেশি খেতে ইচ্ছে করে যে, তখন প্রয়োজনের বেশিই খেয়ে নিই। তবে সেই সময়টা কখনো কখনো আসে, তবে বেশিরভাগ সময় মশলাদার খাবার খেতেই ভালো লাগে।
বলতে পারেন এই অভ্যাসটা আমার বিয়ের পর থেকেই হয়েছে, কারণ বিয়ের আগে এতো বেশি মশলাদার খাবার আমরা বাড়িতে খেতাম না। কিন্তু আমার শ্বশুরবাড়িতে দেখেছি সাধারণ খাবারও অনেক ঝাল, তেল মশলা দিয়ে রান্না করা হয়। ফলত আজকাল সেটিই আমার অভ্যাস হয়ে গেছে।
|
---|
|
---|
একদমই আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের খাবার নষ্ট করা উচিৎ নয়। আসলে এটা বিশ্বাসের বিষয় নয়, এটা আমাদের প্রত্যেকের সচেতনতার বিষয়। আমরা সকলেই হয়তো জানি জল বা খাবার অপচয় করা ঠিক নয়। কিন্তু যদি সঠিকভাবে খোঁজ নেওয়া হয়, তাহলে দেখা যাবে আমরা দুটো জিনিসই অপচয় করে থাকি।
প্রায়শই রাস্তা দিয়ে চলতে গেলে হয়তো অনেকেই খেয়াল করে থাকবেন, রাস্তার পাশে সরকারি টাইম কলগুলি থেকে অনবরত জল পড়তে থাকে। আমরা সকলেই যাতায়াত করি সেখানে দিয়ে, কিন্তু কারোর হাতে সময় নেই কলটাকে বন্ধ করার। অথচ এই বিষয়ে আমরা প্রত্যেকেই অবগত যে, এমন অনেক জায়গা এখনও রয়েছে যেখানে জলের জন্য মানুষ হাহাকার করে।
একই বিষয়ে আপনি খাবারের ক্ষেত্রেও দেখে থাকবেন। বিশেষত যদি কোনো অনুষ্ঠান বাড়িতে খেয়াল করেন, তাহলে দেখবেন প্রায় সব কটি অনুষ্ঠান বাড়িতেই কোনো না কোনো খাবার বেশি হয়ে থাকে এবং সেগুলো তারা নির্দ্বিধায় নষ্ট করে।
খাবার নষ্ট করার পক্ষপাতী আমি একেবারেই নই। নিজের বাড়িতে তো বটেই, এমনকি কোনো অনুষ্ঠান বাড়িতে গেলেও আমি ততটুকুই নিই যতটুকু আমি খেতে পারবো। তবে এমন মানুষও আমার চোখে পড়ে, যাদের মনোবৃত্তি এমন থাকে, খাবার পছন্দ হোক বা না হোক, পরিমাণের থেকে বেশি নিয়ে সামান্য টেস্ট করে বাকিটা তারা ফেলে দেয়। যে জিনিসটা আমার নিজের বড্ড বেশি অপছন্দের।
তবে সকলকে পরিবর্তন করার সাধ্য আমার না থাকলেও, আমি নিজে খাবার কখনো অপচয় করি না, এটা আমার জন্য একটি মানসিক শান্তি। আমি চাহিদা থেকে কম খেতে পছন্দ করি, কিন্তু অতিরিক্ত খাবার নিয়ে নিজের চাহিদা পূরণ করার পর বাকিটা ফেলে দিতে ভীষণ অপছন্দ করি এবং আমার এই অভ্যাসটি একেবারে ছোটবেলা থেকে।
|
---|
|
---|
খুব সত্যি কথা বলতে এমনভাবে কখনো পরীক্ষা করা হয়নি, যে আমি কতদিন পছন্দের খাবার না খেয়ে থাকতে পারি। তবে যদি কোনো বিশেষ কারণে নিজের পছন্দের খাবার থেকে দূরে থাকতে হয়, তাহলে সেটা অনেকদিন পর্যন্ত আমি থাকতে পারি।
কারণ আমি দেখেছি পরিবেশ বলুন বা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে খাবারের বিষয়টি মানিয়ে নিতে আমার খুব বেশি সমস্যা হয় না। এই কারণে নিজের পছন্দসই খাবার না পেলেই যে সেই বিষয়টা নিয়ে অনেক বেশি অসন্তোষ প্রকাশ করবো, এটা আমার স্বভাব বহির্ভূত।
আমি জানি বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের প্রয়োজন, সেটা পছন্দের হোক বা অপছন্দের। তাই ইচ্ছাকৃতভাবে খুব বেশিদিন হয়তো নিজের পছন্দের খাবার থেকে দূরে থাকতে পারবো না। তবে যদি পরিস্থিতি বা কোনো প্রয়োজনের কারণে হয়, তাহলে সেটা দীর্ঘ মেয়াদী হলেও আমার খুব বেশি অসুবিধা হয় না। শুধু সেই পছন্দের খাবার না খাওয়ার কারণটা যুক্তিযুক্ত হতে হবে।
|
---|
|
---|
অবশ্যই তাই, আমরা প্রত্যেকেই জানি আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য ঠিক কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আমরা প্রতিদিন যতখানি পরিশ্রম করি, তার বেশিরভাগ অংশই করি এই খাবারের জন্য।
ছোটবেলা থেকে পরিবারের সকলকে ভালোভাবে রাখার জন্য বাবাকে অনেক পরিশ্রম করতে দেখেছি। সেখানে পড়াশোনা, শরীর-স্বাস্থ্য, সমস্ত কিছু ছিলো। তবে সবার প্রথমে এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো, সকলের খাবারের যোগান দেওয়া। কারণ দিনশেষে কাজের পরে যখন বাবা বাড়িতে আসতেন, তখন সকলের জন্য বাজার করে নিয়ে আসতেন, যাতে মা রান্না করে আমাদের সকলকে খাওয়াতে পারেন।
এমনকি এখনও আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের জায়গা থেকে যতখানি পরিশ্রম করি, তার বেশিরভাগ অংশই নিজেদের বা পরিবারের সকলের খাবারের জন্যই।বেশিরভাগ পুরুষ মানুষ বাইরে কাজ করে অর্থ উপার্জন করেন। কারণে যেটা আমাদের খাদ্যের যোগানের সাহায্য করে। আর আমরা মহিলারা বাড়িতে সেই খাদ্য তৈরিতে নিজেদের শ্রম ব্যয় করি।
তাই আনুষাঙ্গিক অনেক জিনিসের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও, সর্বাগ্রে আমাদের পরিশ্রম আমরা খাবারের পিছনেই ব্যয় করি। কারণ আমরা প্রত্যেকেই জানি, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রধান এবং অন্যতম উপায় হচ্ছে সঠিক ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার।
|
---|
যাইহোক প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু নিরিখে এই ছিল আমার নিজস্ব মতামত ও পছন্দ। যেগুলো আমি নিজের মতো করে আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করলাম। পোস্ট পড়ে আপনাদের কেমন লাগলো, মন্তব্যের মাধ্যমে অবশ্যই জানাবেন। পাশাপাশি কনটেস্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আপনাদের নিজের পছন্দ ও মতামত জানাতেও ভুলবেন না। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। শুভরাত্রি।
পোস্টটা পড়ে অবশ্যই ভালো লেগেছে।
পোস্টের মধ্যে যেসব খাবার গুলো দেখানো হয়েছে, এগুলো অনেক লোভনীয় ছিল। আমার পছন্দের খাদ্য তালিকায় মিষ্টি এর পরবর্তী খাবার মাংস।
একই সাথে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর, যেগুলো খুবই নিখুত ছিল। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর সুন্দরভাবে দেওয়া হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল দিদি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দিদি আপনার লেখার প্রথম অংশ পড়ে যেটা বুঝলাম সেটা হলো আপনার জিহ্বার স্বাদ পরিবর্তন হয় অনেকটাই ঋতুর মতো। কখনো মিষ্টি কখনো ঝাল কখনো টক। এটা যে শুধু আপনার ক্ষেত্রে হয়ে থাকে সেটাও না আমার ক্ষেত্রেও একই রকম ঘটে তবে আমি ঝাল ও মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে বেশি পছন্দ করি।
আপনি একদম ঠিক কথা বলছেন যে আমরা দেখতে পাই বিয়ের অনুষ্ঠানে অথবা যে কোন অনুষ্ঠানে বেশি বেশি খাবার অপচয় হয় অনেকেই এত পরিমাণ তাদের প্লেটে খাবার নেই সেটা আদৌ খেয়ে উঠতে পারবে কিনা আমার বোধগম্ভ নয় । আমার আম্মা একটি কথা বলতো যে খিদা দুই প্রকার একটা হল প্রকৃত পেটের খিদা আর আরেকটা হল চোখের খিদা। যাইহোক আপনার সাথে আমিও সহমত যে খাদ্য নষ্ট করার পক্ষে নয় অথবা খাদ্য অপচয় করার কখনোই পক্ষপাতিত্ব করিনা।
দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আপনার প্রিয় খাবার সম্পর্কে আমাদের কাছে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit