Hello,
Everyone,
কেমন আছেন আপনারা সকলে?
আশাকরি প্রত্যেকেই ভীষন ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটা খুব ভালো কেটেছে।
আমার লেখা শুরু করার আগে আপনাদের সকলকে জানাতে চাই, আমাদের কমিউনিটিতে ডিসেম্বর মাসের শেষ কনটেস্ট চলছে।
যেখানে অংশগ্রহণ করার শেষ তারিখ ২৫শে ডিসেম্বর অর্থাৎ বড়দিনের দিন। আর প্রতিযোগীতার বিষয়বস্তুও ভীষন সুন্দর। আপনাদের অনুরোধ করবো সকলে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে নিজের মনের কথা আমাদের সকলকে জানাতে ভুলবেন না।
আজকে আমি নিজেও এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চলেছি। প্রথমেই এতো সুন্দর বিষয়বস্তু নির্বাচন করার জন্য আমি আমাদের অ্যাডমিনকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আসুন তাহলে আমার মনের কথা গুলো প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করি-
|
---|
শুনতে একটু অবাক লাগলেও আমি সান্তা হতে চাই আমার বাবার জন্য। আমি জানি অনেকেই বলতে পারেন, সান্তা শুধুমাত্র বাচ্চাদের গি ফ্ট দেয়। তা সেক্ষেত্রে আমি একটাই কথা বলতে পারি, বাবা-মায়ের বয়েস হয়ে গেলে তারা আমাদের কাছে আমাদের বাচ্চাদের মতোই হয়ে যায়।
|
---|
না, আমার বাবা এই প্ল্যাটফর্মে কাজ করেন না। তিনি আমার ফ্যামিলি মেম্বার। হ্যাঁ অনেকেই বলেন, বিয়ের পর শশুর বাড়ি হলো নিজের, আর বাপের বাড়ি পর হয়ে যায়। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এটা মানি না। আমার বাবাও আমার পরিবারের একজন সদস্য।
|
---|
আমার কাছে ছোটো বলতে আমার ননদের ছোটো ছেলে ও আমার দিদির দুই ছেলে ও মেয়ে ( তিতলি ও তাতান)। প্রতিবার বড়দিনে আমি ছাড়াও ওদের বাবা-মা ওদের জন্য গিফ্ট আনবে। হয়তো আমার বাবাও ওদের জন্য কেক কিনে নিয়ে যাবে। অথচ নিজে কিন্তু এতটুকুও খাবে না।
তাই আমি ঠিক করেছি এইবার আমি নিজেই বাবাকে গিফ্ট করবো।
|
---|
আমি জানি আমার বাবা নিজের জন্য কখনো কোনো কিছু চাইবে না। তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে বাবাকে "একজন বন্ধু" উপহার দিতে চাই এইবার বড়ো দিনে।
আমার মা মারা যাওয়ার পরে, আমরা সকলেই চেয়েছিলাম বাবা নতুন করে জীবন শুরু করুক। আপনরা
মানেন বা নাই মানেন সত্যি এটাই, একটা মেয়ে সারাজীবন একা একা থাকতে পারে কিন্তু একটি ছেলে একা একা থাকতে পারে না।
বিশেষ করে আমার বাবার মতো মানুষেরা যারা নিজেদের জুতোটাকেও ঠিক জায়গায় রাখতে পারে না। কারন সব কিছুতেই বাবা আমার মায়ের উপর নির্ভর করতো।
আজ ১০ বছরের বেশি হলো আমার মা ইহলোকের মায়া ত্যাগ করছেন। আর তার একবছর বাদে আমার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। তখন অবশ্য আমার ঠাকুরমা রান্না করতেন।
কিন্তু বয়েস জনিত কারনে তিনি গত ২-৩ বছর রান্না করতে পারেন না। তাই বাবাই রান্না করে। আমি জ্ঞান হওয়ার পর থেকে কোনোদিন আমার বাবাকে রান্না ঘরে কোনো কাজ করতে দেখিনি।
অথচ আজ তিনি সব কাজ করতে বাধ্য। রান্না করা, বাসন মাজা সবকিছু। এটাই আমার কষ্টের কারন। তারপর যখন সে বাড়িতে আসে তখন তাকে এক গ্লাস জল দেওয়ার কেউ নেই। একটা কথা বলার লোক নেই। শরীর খারাপ হলে পাশে থাকার কেউ নেই।
তাই আমি বাবাকে একজন কথা বলার সঙ্গী দিতে চাই, যাতে বাড়ি ফিরলে বাবা তার সাথে কথা বলতে পারে। যাতে ঘরে ঢুকলে একাকীত্ব, নিস্তব্ধতায় আমার বাবার মন খারাপ না থাকে।
একটা বয়েসের পর স্বামী স্ত্রী দুজন দুজনের সবথেকে ভালো বন্ধু হয়ে যায়। তখন শারীরিক সম্পর্ক নয়, শারীরিক উপস্থিতিই ভালো থাকার জন্য যথেষ্ট।কিন্তু আমাদের ভাগ্য খারাপ যে মা সময়ের অনেক আগে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে।
আমার বিশ্বাস এমন অনেক মহিলারাও আছেন যারা আমার বাবার মতো এই রকম একাকীত্বে ভোগেন। আমি তেমনি একজন মহিলার সাথে আমার বাবার বিয়ে দিতে চাই, যাতে দুজন দুজনের সাথে একটি বন্ধুত্ব পূর্ন সম্পর্ক নিয়ে ভালো থাকতে পারে।
আমি জানি আমার বাবা মত দেবেন না। কিন্তু আমি এটা মন থেকে চাই।
|
---|
২৫ শে ডিসেম্বর অর্থাৎ বড়ো দিনে ভগবান যীশু তার মা মেরীর কোল আলো করে জন্মগ্রহণ করেন। এবং সেই আনন্দ ভাগ করার জন্য তিনজন জ্ঞানী ব্যক্তি তাকে উপহার দিয়েছিলেন।
আর সেই রীতিকে ধরে রাখতে গিয়ে এই উপহার দেওয়া- নেওয়ার রীতি প্রচলিত হয়। যা এখন বর্তমানে একটি সামাজিক লৌকিকতায় পরিনত হয়েছে।
|
---|
সন্তান হিসাবে বাবার যতটা খেয়াল রাখা সম্ভব আমরা তিন বোন সেটা করি। কিন্তু বিয়ের পর সবসময় ইচ্ছা থাকলেও উপায় হয় না। তাই অনেক সময় আমরা বাড়িতে গিয়ে থাকতে পারি না।
আর বাবাও মেয়েদের শশুর বাড়িতে এসে থাকতে একদম স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না । তাই অনেক সময় শরীর খারাপ হলেও আমাদের বলে না।
বড়দিন হলো সকল প্রিয় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর দিন। তাই আমি আমার বাবার মুখের হাসি ফেরাতে চাই। আমাদের জন্য মানুষটা অনেক কষ্ট করেছেন আর আজও করে চলেছেন।
ছেলে হিসাবে নিজের মায়ের খেয়াল রাখছেন আর বাবা হয়ে আমাদের। শুধু নিজে একাকীত্ব নিয়ে বেঁচে আছে যেটা আমাকে বড্ড কষ্ট দেয়।
আমি নিজে যখন বাড়িতে যাই, মা না থাকায় ঘরে থাকতে ভালো লাগে না। অথচ ঐ ঘরে দিনের পর দিন বাবা একা থাকে। সন্তান হয়ে আমার যতটা খারাপ লাগে, স্বামী হয়ে বাবার কতটা খারাপ লাগে তা বোধহয় আমি আন্দাজও করতে পারি না।
যাইহোক, এখানে সকলকে তাদের মনের কথা লিখতে বলা হয়েছে। তাই আমিও মনের কথা লিখলাম। আপনাদের কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।
সকলকে বড়ো দিনের ও নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা জানাই। সকলে ভালো থাকবেন। শুভ রাত্রি।
শেষ করার আগে প্রতি যোগীতার নিয়ম অনুযায়ী আমন্ত্রণ জানাতে চাই (As per the contest rules I am inviting three of my friends to participate in this contest they are Hope you will come forward and participate in this contest) @lavanyalakshman , @deepak94 ও @ishayachris কে।
আশাকরি আপনারা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আপনাদের মনের কথা আমাদের সকলের সাথে ভাগ করে নেবেন।
After 5 years on the platform I have recently launched a Steem witness - @pennsif.witness.
You may know me for Steem News, which is now nearing its 500th edition.
As a witness I am running a Full API Node and a Seed Node. Together with the @steemwow team I have also launched Press4Steem, a plugin to connect WordPress sites with Steem.
It would be great if you are able to support my work by giving one of your witness votes to @pennsif.witness.
If you have any questions about Steem, or if I can help you with anything please contact me on Discord at @Pennsif#9921.
Thank you
Pennsif
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Your post has been successfully curated by @irawandedy at 35%.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you so much for supporting my post @irawandedy and TEAM MILLIONAIRE.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit