|
---|
Hello,
Everyone,
আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।
এই সপ্তাহের সাপ্তাহিক রিপোর্টে আমি আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম আমাদের কমিউনিটিতে বর্তমানে, মডারেটর @nsijoro কর্তৃক একটি কনটেস্ট চলছে, যার বিষয়বস্তু খুবই আকর্ষণীয়।
আজ আমি সেই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে চলেছি এই পোস্টের মাধ্যমে। বিষয়বস্তু সম্পর্কে নিজস্ব মতামত নিজের মতন করেই উপস্থাপন করবো, আশা করছি পোস্টটি পড়তে আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি,-
|
---|
|
---|
এতদিনে বোধহয় অনেকেই জেনে গেছেন স্টিমিট প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে আমি প্রথম জেনেছি আমাদের কমিউনিটির অ্যাডমিন ম্যামের কাছে থেকে। তার সাথে ব্যক্তিগত সূত্রে আমার পরিচয় ছিল না কখনোই, কাজের সূত্রেই তার সাথে আমার পরিচয়। ২০২০ সালে লকডাউনের পূর্বে ম্যামের সাথে আমি একই অফিসে কাজ করতাম দীর্ঘ প্রায় দু বছর ধরে।
কর্মসূত্রে পরিচয় হলেও সম্পর্কটা কখন ব্যক্তিগত পরিসরে । আত্মিক হয়ে গেছে বুঝে উঠতে পারিনি এই কারণেই হয়তো এখনও পর্যন্ত ম্যামের সাথে আমার সম্পর্ক রয়ে গেছে, কারণ অফিসের বাকি কোনো কলিগের সাথে কিন্তু আমার আর যোগাযোগ নেই। লকডাউনের পরে আমি কোনো কাজ করছিলাম না, সম্পূর্ণ গৃহবধূ হিসেবেই বাড়িতে ছিলাম।
আর সত্যি কথা বলতে অনলাইনের কাজের বিন্দুমাত্র কোনো অভিজ্ঞতা আমার কখনোই ছিল না। অভিজ্ঞতা তো দূরে থাক এই বিষয়গুলোর সম্পর্কে আমার কোনো জ্ঞানই ছিল না। তাই কখনোই এই সকল বিষয় নিয়ে কোনো তথ্য জানার আগ্রহ তৈরি হয় নি। এরপর একদিন ম্যামের সাথে কথা বলার সূত্রে স্টিমিট প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানলাম।
বিয়ের পর থেকে সংসার জীবনেই ব্যস্ত ছিলাম। আলাদা করে কখনোই কোনো কাজের চেষ্টা করিনি এটা বলা মিথ্যে হবে। কিন্তু কোনো কারণে হয়ে ওঠেনি। শেষ পর্যন্ত অফিসে জয়েন করলেও লকডাউনের কারণে সেই চাকরিটাও থাকলো না।
তখন নিজের ভিতরেই একরকম বিষন্নতা কাজ করছিলো। কারণ নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত থাকাটা নিজের জন্য কতখানি আত্মবিশ্বাস তৈরি করে, সেটা বোধহয় ওই দুই বছর অফিসে কাজ করে আমি বুঝতে শুরু করেছিলাম। ঠিক কয়েক মাস বাদেই আবার যখন চাকরিটা চলে গেলো, তখন কিছুটা হলেও মন খারাপ হয়েছিলো।
|
---|
|
---|
প্রথম কোনো অভিজ্ঞতা অর্জন আমাদের জীবনে ভালো হোক অথবা মন্দ কোনো না কোনো পরিবর্তন অবশ্যই আনে। এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্ম আমার জীবনে অনেকখানি পরিবর্তন এনেছে একথা একেবারেই অনস্বীকার্য। ম্যামের হাত ধরে এই প্লাটফর্মে যখন যুক্ত হলাম, সত্যি কথা বলতে তখন আমি কিছুই জানতাম না।
এই প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়ার মূল কারণ যে ইনকাম করা ছিল সেটা বললে ভুল বলা হবে, কারণ ম্যামের কাছ থেকে যখন জানলাম এটা এমন একটা প্লাটফর্ম যেখানে আমি নিজের সমস্ত রকম অনুভূতি, নিজের ভাষায়, নিজের মতো করে লেখার মাধ্যমে শেয়ার করতে পারি, পাশাপাশি অন্যান্য অনেকের জীবনের অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারি, তখন একটা অন্যরকম ভালোলাগা অনুভব করেছিলাম।
তখন থেকেই এখানে কাজ করার আগ্রহ জন্মেছিল। আর আজ দেখতে দেখতে প্রায় চার বছর হয়ে গেল আমি এই প্লাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি এবং আজও এই প্লাটফর্মে নিজের জীবনের অনেক ভালোলাগা, মন্দ লাগার কথা অনায়াসে শেয়ার করি। তাই এই প্লাটফর্ম কোথাও না কোথাও আমার জন্য মন খুলে কথা বলার একটা জায়গা। তার পাশাপাশি ইনকামটাও অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।
তাই একথা আমি বলতেই পারি স্টিমিট প্ল্যাটফর্ম আমার জীবনকে অনেকখানি পরিবর্তন করেছে। ব্যক্তিগত জীবনের ওঠা পড়া আগে মানসিক দিক থেকে অনেকখানি দুর্বল করে রাখতো। সাংসারিক কাজের বাইরে সব সময় সেই সকল চিন্তা ভাবনাই মাথায় ঘুরতো।
তবে স্টিমিট প্ল্যাটফর্ম আমার জীবনের সেই চিন্তা ভাবনাগুলো দূর করতে সাহায্য করেছে। কারণ সংসারের কাজের বাইরে বেশিরভাগ সময় আজ আমার এই প্লাটফর্মের কাজে ব্যয় হয়। সুতরাং খারাপ খারাপ চিন্তা ভাবনা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারি। পাশাপাশি অর্থনৈতিক দিক থেকেও নিজেকেই কিছুটা হলেও স্বাবলম্বী করতে পারি। তাই সবকিছু মিলিয়ে এই প্ল্যাটফর্ম আমার জীবন সুন্দর করে তুলেছে।
|
---|
|
---|
➡️যখন আমি শুরুতে যুক্ত হয়েছি তখন ম্যামের কাছ থেকে প্রতিটা জিনিস বুঝতে আমার বেশ সময় লেগেছে এবং আজও যে আমি সবটা বুঝতে পারি এমনটা নয়। এখনও অনেক জিনিস আছে যেটা আমি আজও শিখি এবং আগামীতেও হয়তো এই শেখাটা চলতে থাকবে, কারণ শেখার আসলেই কোনো শেষ নেই।
➡️যেকোনো জায়গায় শুরুতে কাজ করলে অনেক বিষয়কে ভালোভাবে বোঝা যায় না। ফলত যারা পূর্বে এখানে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তারা অনেক রকম ভাবে আমাদেরকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেছে। আজ চার বছর বাদে এসে এই কথাটা আমি নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে বললাম, কারণ এই একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে আমি ও ম্যাম দুজনেই।
➡️তবে সব কিছুরই ভালো-মন্দ দুটো দিক রয়েছে। তেমন এই প্লাটফর্মেও ভালো-মন্দ সব মানুষ মিলিতভাবে কাজ করে। এই প্লাটফর্মে সকলেই যে শুধুমাত্র আত্মসাৎ চরিতার্থ করে, এমন নয়। কারণ এখানে ম্যামের মতন আরও মানুষ রয়েছেন, যারা নিঃস্বার্থভাবে অনেক মানুষের সাহায্য করেন। তবে এ কথাও সত্যি, অনেকেই আছেন যারা তার যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারেনি এবং পারবেও না।
➡️এই প্ল্যাটফর্মে এমন অনেক মানুষের পোস্ট পড়ার সুযোগ হয়েছে, যারা ব্যক্তিগত জীবনে আমার থেকেও অনেক বেশি লড়াই লড়ছেন, কিন্তু তবুও এই কমিউনিটিতে কাজ করে চলেছেন নিয়মিত। তাদের কাজ করার এই ইচ্ছা শক্তি আমাকেও কাজ করার অনুপ্রেরণা যোগায়।
➡️যে কোনো অফিসে কাজ করতে গেলে আমাদেরকে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেখানে পৌঁছাতে হয়। যে কারণে ব্যক্তিগত জীবনে অনেক সময় অনেক কিছুর সঙ্গে তাল মেলানো সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে কাজ সম্পূর্ণ নিজের স্বাধীনতা অনুযায়ী করা যায়। শুধুমাত্র ফোন এবং তাতে নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট থাকলে আমি যে কোনো জায়গাতে বসেই কাজ করতে পারি। যেটা আমার মনে হয় সবথেকে বড় প্লাস পয়েন্ট।
➡️নিজের ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারিক নানান সমস্যা, সবকিছু সামলে তারপর কাজ করার পরে যদি আমার একটা ইনকামের রাস্তা থাকে তা হলো এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্ম। যেখানে মনের কথা শেয়ার করে, মন হালকা করার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। তাই এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা আমার জন্য।
|
---|
এই ছিলো স্টিমিট প্লাটফর্মে স্বল্প সময়ের কাজ করার অভিজ্ঞতা, যেটা আমি নিজের মতো করে আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করলাম। আপনাদের পোস্ট পড়ে কেমন লাগলো অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে শেয়ার করবেন।
নিয়ম অনুসারে আমি আমার তিনজন বন্ধু @mollymochtar, @mdsahin111 ও @goodybest কে আমন্ত্রণ জানাই, আশাকরি তারাও এই কনটেস্টের অংশগ্রহণ করে, নিজেদের মতামত আমাদের সকলের সাথে শেয়ার করবেন। সকলে খুব ভালো থাকুন, এই প্রার্থনা করে আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি। শুভরাত্রি।
দিদি প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এই প্রতিযোগিতায় আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। প্রতিযোগিতার প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর আপনি আপনার নিজের মত করে দিয়েছেন।
আমি এর আগেও দেখেছি আপনার হাতে বানানো এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের লোগো"এ্যাডমিন ম্যাডামের সাথে অনেক আগে থেকে পরিচয় থাকলেও করোনার মহামারীতে ঘর বন্দী হওয়ার পর থেকেই আপনি এই প্লাটফর্মে কাজ করা শুরু করেন তাও আবার আমাদের এডমিন ম্যাডামের সুবাদে।
আপনার একদম সঠিক কথা উল্লেখ করছেন যে এখানে কাজ করার মধ্য দিয়ে আমরা যেমন অর্থ উপার্জন করতে পারি। তেমনি আমাদের ভালোলাগা ও খারাপ লাগার সমস্ত বিষয়গুলো শেয়ার করতে পারি অনেকের হয়তোবা খারাপ লাগার বিষয়গুলো কোথাও শেয়ার করতে পারেনা সেগুলো মনের ভেতরে যুগ যুগ ধরে পুষে রাখে। তবে এখানে কাজ করার সুবাদে সব বিষয় ভাগাভাগি করে নেওয়ার একটি সহজ পন্থা। আমি মনে করি শুধুমাত্র অর্থের জন্য যে এখানে কাজ করবে সে বেশিদিন টিকে থাকতে পারবে না। নিজের ভালোলাগা এবং ভালোবাসা দিয়ে কাজ করলে দীর্ঘদিন কাজ চালিয়ে যেতে পারবে।
দিদি আপনি এ প্রতিযোগিতা প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর খুব ভালোভাবে দিয়েছেন আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
We support quality posts and good comments Published in any community and any tag.
Curated by : @edgargonzalez
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
@edgargonzalez sir, thank you so much for supporting me ❤️..
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
We support quality posts and good comments Published in any community and any tag.
Curated by : @edgargonzalez
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Steemit is a great platform, steemit have supported many people throughout.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit