|
---|
Hello,
Everyone,
কনটেস্টে অংশগ্রহণের একদম শেষ দিনে এসে আজ আমি অংশগ্রহণ করছি। আশাকরি যারা আমার গত কয়েকদিনের পোস্ট পড়েছেন, তারা এর কারণ অবশ্যই জানেন।
কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে হলে বিষয়বস্তু সম্পর্কে নিজের মতামত অনেকটা ভেবে চিন্তে লিখতে হয়। তবে এই কঠিন পরিস্থিতিতে, ভাবনা চিন্তা করে পোস্ট লেখার সময় ও সুযোগ হয়ে ওঠে নি। তাই ভাবলাম আজ এই কনটেস্টের বিষয় সম্পর্কে নিজের মতামত শেয়ার করি।
|
---|
সত্যি কথা বলতে যখন অনেকটাই ছোটো ছিলাম, তখন আমাদের আর্থিক পরিস্থিতি ততটা ভালো ছিল না, যেখানে আমরা মন খুলে শপিং করতে পারতাম।
সেই সময় মা-বাবাকে দেখতাম কম পয়সার মধ্যে যে জিনিস বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়, তারা সেটাই কিনে আনতো। সম্ভবত ছোটবেলা থেকেই জিনিসটা দেখতে দেখতে কিয়দাংশে আমিও তেমন ভাবেই কেনাকাটা করতে অভ্যস্ত ছিলাম।
কোনো কিছু পছন্দ হলেই সেটা কিনতে যাওয়ার আগে নিজের ব্যাগ চেক করতাম। পছন্দের সেই জিনিসটা কেনার পর ব্যাগে আর কত টাকা থাকবে, সেটা আগে ভাবতাম। কারণ সেটা দিয়ে প্রয়োজনীয় আরও কিছু জিনিস কিনতে হতো তাই সব দিক হিসাব করে যদি কখনো কোয়ালিটিফুল জিনিস কেনার সাধ্য থাকতো, কেবলমাত্র তখনই সেটা কিনতে পারতাম।
তবে সময়ের সাথে সাথে সবকিছুই পরিবর্তন হয়। আমার ক্ষেত্রেও পরিস্থিতিরও পরিবর্তন হয়েছে। আজ হয়তো আর্থিক পরিস্থিতিও বেশ কিছুটা স্বচ্ছ্বল হয়েছে, তাই কোয়ালিটিফুল জিনিস পছন্দ করে কিনতে, সব সময় টাকার চিন্তা করতে হয় না।
তবে ছোট থেকে নিজের সাধ্যের বাইরে কোনো জিনিস কেনাতে আমি একবারেই অভ্যস্ত নই, আর আগামীতেও তেমনটা হতে চাই না। সাধ্যের মধ্যে সবথেকে কোয়ালিটিফুল জিনিস কিনতেই আমি পছন্দ করি।
ছোটবেলার থেকে মাকে দেখেছি কম দামি পোশাক হলেও সেটা সর্বদাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে ব্যবহার করতেন। তখন মাকে অনেকদিক হিসেব করে চলতে হতো বলেই বোধহয় কোয়ালিটিফুল জিনিস কিনতে গেলে, অনেক কিছু ভাবনা চিন্তা করতে হতো। তবে আজকাল তেমন হিসেব করতে হয় না বলেই, কোয়ালিটিফুল জিনিসই পছন্দ হয় আমাদের।
|
---|
|
---|
শপিং করতে গিয়ে যদি কেউ দরদাম না করে তাহলে শপিং করার কোনো মানেই হয় না। আমি তো শপিংমল এবং এক দরের দোকানগুলি ছাড়া, প্রায় সব দোকানে গিয়েই দরদাম করে থাকি।
দরদামের ক্ষেত্রে আমার সবথেকে ভালো অভিজ্ঞতা আছে শান্তিনিকেতনে যখন ঘুরতে গিয়েছিলাম। আপনারা অনেকেই শান্তিনিকেতনে সোনাঝুরির মেলার কথা শুনে থাকবেন। যেখানে শাড়ি থেকে শুরু করে পোড়া মাটির তৈরি বিভিন্ন ধরনের গয়না, অক্সিডাইস,সুতো ও পুঁথির তৈরি বিভিন্ন গয়না, পাঞ্জাবি, কুর্তি, ব্লাউজ, বিছানার চাদর, ঘর সাজানোর বিভিন্ন জিনিস কিনতে পাওয়া যায়।
স্থানীয় মানুষেরাই সেই সমস্ত জিনিস সাজিয়ে নিয়ে সোনাঝুরির হাটে বসেন। সেখানে তারা বিভিন্ন জিনিসের বিভিন্ন দাম চেয়ে থাকেন। তবে দরদাম করে আনতে পারলে কম দামে বেশ ভালো কেনাকাটা সেখানে করা সম্ভব।
যদিও গয়না পড়তে আমার খুব একটা ভালো লাগে না, তবে শাড়ির সাথে অক্সিডাইসের জুয়েলারি হোক বা মাটির জুয়েলারি আমার খুবই পছন্দের। তাই যখন শান্তি নিকেতনে ঘুরতে গিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম বেশ কিছু গয়না কিনে আনবো। সেই অনুযায়ী সোনাঝুরির হাটে গিয়ে অনেকগুলো দোকান খুঁজে, একটা দোকানের জিনিস খুবই পছন্দ হয়েছিলো।
|
---|
তবে তিনি প্রচুর দাম চাইছিলেন। সেখানে অনেক দরদাম করে তবে আমি একই দোকান থেকে অনেক গুলো মালা কিনেছিলাম। শুরুতে তিনি একটা মালার দাম দেড়শ টাকা চেয়েছিলেন। তবে পরে আমি সবকটা মালা ২৫০ টাকায় নিয়ে এসেছিলাম।
নতুন মানুষ ভেবে তারা প্রথমে অনেকটাই বেশি দাম চায়, কিন্তু দরদাম করলে কম দামেও বেশ সুন্দর জিনিস এই ধরনের হাট থেকে কিনে আনা সম্ভব। এছাড়াও সেখান থেকে আরো অনেক কিছু জিনিস কিনেছিলাম। তবে এই মালা গুলো কেনার স্মৃতি এখনো মনে আছে।
|
---|
সত্যি কথা বলতে ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার প্রাত্যহিক জীবনে কিছু জিনিসের ক্ষেত্রে অবশ্যই কোয়ালিটি ফুল জিনিস ব্যবহার করতে পছন্দ করি।
খাবারের ক্ষেত্রে আমাদের সব সময় কোয়ালিটিফুল জিনিস কেনা উচিত বলে মনে হয়। বিশেষত ফল ও সবজি কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই কোয়ালিটি দেখে জিনিস কেনা উচিত। অনেক সময় দেখা যায় কম দামে ফল ও সবজি বিক্রি হয়, তবে সেগুলো হয়তো কিছু কিছু জায়গায় নষ্ট হয়ে যায় বলে কম দামে বিক্রি করার চেষ্টা করে দোকানদারেরা। তাই সেক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
এমনকি পোশাকের ক্ষেত্রেও তাই, কোয়ালিটি ফুল জামা কিনে পড়তে আমি বেশি পছন্দ করি, কারণ সেটা অনেকদিন পর্যন্ত পড়া যায় এবং পড়েও অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করা যায়। বিশেষত সদ্যোজাত বাচ্চাদের পোশাকের ক্ষেত্রে সকলের অবশ্যই কোয়ালিটির দিকে লক্ষ্য করা উচিত।
অনেক সময় বড়ো বড়ো শপিং মলে জামাকাপড় বা অন্যান্য জিনিসের উপরে ছাড় দিয়ে থাকে। তখন কম টাকায় অনেক কিছু আমরা কেনার সুযোগ পাই। তবে হ্যাঁ সেক্ষেত্রে অবশ্যই এক্সপ্যায়ারি ডেট ভালো ভাবে দেখে নেওয়া উচিত।
|
---|
কোয়ালিটি ও কোয়ান্টিটি সম্পর্কে এই ছিলো আমার ব্যক্তিগত অভিমত, যা উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর দানের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। নিয়মানুসারে আমি আমার তিনজন বন্ধু @owulama, @karobiamin71 ও @krishna001 কে আমন্ত্রণ জানাই। আশাকরি তারাও এই কনটেস্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দ ও অপছন্দ আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। ভালো থাকবেন সকলে।
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাবো প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আপনার মতামত কে খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সাথে আমার একটা মিল পেলাম নিজের পছন্দের জিনিস হলেও তার আগে আমি আমার ব্যাগটা দেখি এবং কত টাকা খরচ হতে পারে, তা নিয়ে বেশ পর্যবেক্ষণ করি, আর এটা তো অবশ্যই আপনার সাথে একমত শপিং করতে গিয়ে যদি দরদাম না করা হয় তাহলে শপিং করার কোন মানেই হয় না. এক কথায় কোন মজা খুঁজে পাওয়া যায় না।
শান্তিনিকেতন থেকে কেনা শাড়িটা কিন্তু ভীষণ সুন্দর হয়েছে আপনাকে খুব সুন্দর মানিয়েছে।।
আপনার প্রতিযোগিতার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দিদি প্রথম আপনাকে ধন্যবাদ জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য এবং প্রতিযোগিতার প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর খুব ভালো হবে দেওয়ার জন্য।
আপনাদের মত আমাদেরও একই অবস্থা ছিল ছোটবেলা থেকে অনেক কষ্ট করেই বড় হয়েছি। যতক্ষণ না পর্যন্ত জামাপ্যান্ট ছিড়ে না যেত ততক্ষণ জামাপ্যান্ট কিনে দিত না। এটাই হল গরিবের শপিং করার মুহূর্ত।
ছোটবেলা থেকেই আব্বু আম্মু যেটা পছন্দ করে কিনে দিত সেটাই পরিধান করতাম ভালো-মন্দ বোঝার তেমন কোন প্রশ্নই মনে করতাম না কেননা ভালো জিনিস কেনার সেই সামর্থ্য যে আমার বাবা ছিল না। মাঝে মধ্যে বাবা-মায়ের দেওয়া জামা প্যান্ট পছন্দ হতো না তবুও পড়তে হতো।
এখন নিজে কামাই করতে শিখেছি তাই যখনই শপিং করি তখন ভালো জিনিসটা কেনার চেষ্টা করি দাম একটু বেশি দিয়ে হলেও।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটাই করা উচিত, নিজে ইনকাম করে নিজের ছোটো ছোটো ইচ্ছাপূরণ করার পাশাপাশি, মা বাবার স্বপ্নপূরণের দায়িত্ব নেওয়া উচিত। আমাদের জীবনে বেশ কিছু জিনিসের ক্ষেত্রে আমাদের সকলের কোয়ালিটিফুল জিনিস পছন্দ করা উচিত। আমার জীবনের সাথে আপনার জীবনের অনেকটা মিল আছে জেনে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you for your support @memamun.🙏
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
@sampabiswas গুণমান কেবলমাত্র দ্রব্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়, দ্রব্যের পাশাপশি সম্পর্ক, ব্যবহার, শৃঙ্খলা, ইত্যাদি এমন অনেক বিষয় আছে যেখানে এই গুণমান নির্ধারণ করা হয়।
স্কুলে প্রার্থনা লাইনে প্রতিদিন একটি প্রার্থনা হাতজোড় করে গাওয়া যেমন শৃঙ্খলায় সামিল এবং সেটি আমাদেরকে অভ্যন্তরীণ গুনগত মান উন্নত করতে সহায়ক, তেমনি প্রতিদিন একই রঙের ইউনিফর্ম আমরা সবাই সমান এই শিক্ষার গুনগত দিক শিখতে সাহায্য করে।
কাজেই, আমরা কে কিভাবে বড়ো হয়েছি, সেটার থেকেও বড় গুণের বিষয় হলো, আমরা কে কিভাবে সেই শিক্ষার গুণগত মান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি।
অনেকই আছে হয়তো এককালে আর্থিক দৈন্যতার মধ্যে দিন গুজরান করেছেন, কিন্তু হঠাৎ মা লক্ষীর কৃপা হওয়ায় তারা পুরোনো শিক্ষা ভুলে মেরে বসে আছে!
এখন এটাকে কি বলা যায়? আর্থিক গুনগত মানের উন্নতি নাকি মানসিক এবং ব্যবহারিক শিক্ষার অধঃপতন।
আমি যতগুলো প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি, সর্বদাই তার আড়ালে কিছু শিক্ষায় আলোকপাত হোক সেটা মাথায় রেখেই করে থাকি, কিন্তু আসলে কেউ সেটা বোঝে আবার কেউ বুঝতেই পারে না, এই যা পার্থক্য।
তোর লেখা অনেক বেশি উন্নত হতে পারতো, নিশ্চই লেখার সময় বেশ জোর ঘুম পেয়েছিল তাই টাওয়ার ঠিকঠাক কাজ করেনি!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম সঠিক বলেছেন, সেদিন কমিউনিটির কাজ করতে করতে এতোটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল যে, অনেক রাতে পোস্ট লিখেছেলাম। ঘুম যে একেবারে পাইনি সে কথা বলবো না। তবে এটাও সত্যি যে লেখাটাকে একটু অন্যরকম ভাবে গুছিয়ে লিখতে হতো, তবে ততটা সুন্দর ভাবে লিখতে না পারার কারণে দুঃখিত। আপনার নির্বাচিত প্রতিটি বিষয় সত্যিই শিক্ষনীয় হয়,এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। পরবর্তী কনটেস্টে আরও সুন্দরভাবে দেখার চেষ্টা করবো। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit