গত রাত পৌনে বারোটার দিকে হঠাৎ একটা কল আসে যে ,আগামীকাল টাঙ্গাইলের ছাতিহাটি যেতে হবে কাজিনের মেয়ে দেখার জন্য। শুনে কিছুটা অপ্রস্তুত হলাম ,কারণ আমার পক্ষে ছাতিহাটি যাওয়া সম্ভব হবে না হয়তো। হাবির সাহে কথা বলার পরে সে জানালো যে ,তার সকাল ১০টা থেকে ট্রেইনিং আছে তাই তার পক্ষে যাওয়া সম্ভব হবে না। ছেলেদেরও কিছুটা অনীহা দেখলাম যাওয়ার প্রতি। কারণ ওদেরও বন্ধুদের সাথে প্রোগ্রাম রয়েছে। তাই কাজিনকে বলে দিলাম যে যাওয়া সম্ভব হবে না।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রথমেই মনে হলো কিভাবে সামাল দিবো। ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি বেশ কিছু মেসেজ এসেছে মামীর কাছ থেকে টাঙ্গাইলে যাওয়ার জন্। কিছুটা দুঃচিন্তা নিয়েই সকালের নাস্তা বানানোর জন্য রান্নাঘরে ঢুকলাম। কারণ যাওয়াটাই উচিত হবে। ছেলের সাথে কথা বললাম। বড়ো ছেলেও আমার সাথে একমত হলো যে আমাদের আসলে যাওয়া প্রয়োজন।
ছবিটা হোয়াটসএপ থেকে নেয়া |
---|
নাস্তা বানানো শেষ করতে করতে আরো কয়েকবার কল পেলাম। হাজবেন্ডকে গিয়ে বললাম যে চলো যাই। সে আমাকে যেতে বললো কারণ তার বারোটা পর্যন্ত ট্রেইনিং চলবে। তাকে বললাম যে যেহেতু অনলাইনে হবে তাই সে সহজেই যেতে পারবে। কিন্তু সে ঘাড়ত্যাড়ার মতো নিজের মোতে অবিচল রইলো। শেষ ওষুধ হিসেবে তাকে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করলাম এই বলে যে তুমি না গেলে আমিও যাবো যাবো না।
এতে দেখলাম কিছুটা কাজ হলো। আমার ভাই আমাদের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতেছিলো কারণ আমরা গেলে আমাদের গাড়িতে দুই-একজনকে নিতে হবে আর যদি আমরা না যাই তাহলে আরো একটা গাড়ি নিতে হবে। শেষ পর্যন্ত হাবীকে রাজি করা সম্ভব হলো। তার রেডি হয়ে বের হতে হতে প্রায় সাড়ে বারোটার মতো বেজে গেলো।
নিচে নেমে দেখি সবাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করতেছে। দেখে কিছুটা খারাপ লাগলো কারণ ছাতিহাটির দূরত্ব বেশ ভালোই। তবে ছুটির দিন হওয়ার কারণে রাস্তায় জ্যাম না থাকায় বেশ দ্রুতই টাঙ্গাইল হাইওয়েতে পৌঁছে গেলাম। আমাদের সামনে ছিল ভাইয়ের গাড়ি। ভাই আবার ছিল মামার গাড়িতে। যার কারণে ড্রাইভারকে বলার মতো কেউ ছিল না যার কারণে ওদের গাড়ি যে কোথায় চলে গেলো টান দিয়ে ,ওদের আর দেখা পেলাম এ সারা রাস্তায়। আমাদের মাঝে আমিই একমাত্র ছাতিহাটি গিয়েছি আগে কিন্তু সেটাও মনে হয় বছর বিশেক আগে।
একারণে গুগলম্যাপের উপর ভরসা করে হাইওয়ে থেকে নেমে এক সরু পিচ্ ঢালা রাস্তায় ঢোকে পড়লাম আমরা। ওরা আমাকে জিজ্ঞেস করার আগেই আমি মহা উৎসাহ নিয়ে ঘোষণা দিলাম যে , আমি এইরকম রাস্তাতেই গিয়েছিলাম। আমার এই ঘোষণা যে আমার জন্য পরবর্তীতে আমাকেই বিপদে ফেলবে এটা জানলে আর এই ঘোষণা দিতাম না।
চিনা তো দূরে থাক ছাতিহাটি নামটি এই প্রথম শুনলাম।
বিয়ের ঘটনা গুলো পড়তে বেশ ভালোই লাগে কেননা সামনে এমন ঘটনা আমার সাথেও গড়তে পারে। কাজিনের মেয়ে দেখার পূর্ব পরিকল্পনা ছিল না হঠাৎ করেই এটা হয়েছে পুরো পোস্ট পড়ে এখনো মেয়ের বাড়ি অব্দি যেতে পারলাম না আপনার পরবর্তী পোস্ট পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছাটিহাটি নামটা অনেক এর কাছেই আসলে অচেনা। টাঙ্গাইলের অনেক ভেতরে এর অবস্থান।মেয়ে দেখতে গিয়ে ভালো রকম ঝামেলাতে পরেছিলাম আসলে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
@drhira, thank you so much for your encouraging support, ma'am.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পোস্টটা পড়ে খানিকটা মজা পেয়েছি,,, আমাদের প্রত্যেকটা পরিবারে কিন্তু এমন ঢিলা ঢালা মানুষ থাকে যাদের কারণে কোথাও যেতে চাইলেও অনেকখানি দেরি করে বের হতে হয়,,,
প্রথমে যাব এরপরে যাব না তারপরে আবার তার রাগ ভাঙাতে যে করতে সে সময় লাগে,,, তবে আপনি যে পথ না চিনেও বলেছেন আমি এই পথে আগে এসেছি,,,,এরকম কথা কিন্তু না জেনে বললে সত্যিই বিপদ জনক হয়।
তবে আমি ভেবে ছিলাম বিয়ে হওয়ার কিছু লাইন পড়তে পারবো তবে তার হলো না।। সে যাই হোক পরবর্তী পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit