আমার শাশুড়ী জীবিত থাকাকালীন সময়ে কয়েকদিন আমাকে ডেকে বলতছিলো যে, দেখো তোমার ছোট ছেলে অনেক দূষ্ট হয়েছে। আমি যতবারই চোখ বন্ধ করি ততবারই তোমার ছেলে খাটের নিচ থেকে বের হয়ে আমার পায়ের নিচে সুড়সুড়ি দেয়। প্রথম যেদিন বলেছিল সেদিন খানিকটা অবাক হয়ে ভেবেছিলাম যে উনি সপ্ন দেখেছেন।কারণ আমার ছেলেরা সেদিন বাসায়ই ছিলো না, খেলতে গিয়েছিল। এরপর আরো কয়েকদিন বলেছে।আমি খুব একটা গুরুত্ব দেই নাই তখন।
এরপর আরো ঘটনা ঘটতে থাকে। আমার মা তার মৃত্যুর বছরখানেক আগে আমার বাসায় এসেছিলো।মা ডিমেনশিয়াতে ভুগছিলো। রাত বারোটার দিকে আমি আর মা বসে ছিলাম। রুমে হালকা সবুজ রঙের ডিমলাইট জ্বলতেছিলো।হঠাৎ করেই মা খাটের সামনে হাত দিয়ে দেখিয়ে বললো যে, ছেলেটা এসে দাড়িয়ে রয়েছে। আমার তখন ভয়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার অবস্থা।
দৌড়ে পালাবো সেই অবস্থাও নেই। কারন আমাকে যেতে হলে ওই ছেলের পাশ দিয়েই যেতে হবে আর মা-কে রেখেই বা কিভাবে পালাবো। ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলাম কোন ছেলেটা।সে বললো, ওই যে মরে যাওয়া ছেলেটা। তখন হঠাৎ করেই মনে হলো যে, আমার বড়ো ছেলেকে টিভি দেখতে দেখেছিলাম।ওকে কল দিলাম।ও আসার পরে লাইট জ্বালিয়ে দিলাম।
ওই ঘটনাকেও হ্যালুশিনেশন ভেবে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলাম।
আমার হাবি একদিন সকালে দেখলাম কিছু একটা বলার চেষ্টা করেও থেমে গেল।জিজ্ঞেস জরায় নিজেই বললো যে, সকালে ব্রাশ করার সময় ছেলের ডাক শোনে রুমে গিয়েছিল কিন্তু যাওয়ার পরে দেখে ছেলেরা ঘুমিয়ে আছে। পরে নিজেই বললো যে, হয়তো মনের ভুল।
কোভিডের আগ দিয়ে আমার ছোটছেলে টয়লেট থেকে বের হয়ে বলতেছিলো যে, ওর নাম ধরে দুইবার কে যেন ডাক দিয়েছে। প্রথমবার ও নিজেই ভেবেছিলো যে, ভুল শুনেছে। পরের বার শোনে দৌড়ে বের হয়ে হয়েছে।
আবার কয়েক বছর আগে দুপুর বেলা আমি আমার রুমে বসে আছি আর আমার বড়ো ছেলে ড্রয়িংরুমে বসে টিভি দেখতেছে। এমন সময় শোনলাম পাশের বিল্ডিং এর ছাদ থেকে পরপর দুটো ডাক দিলো কেউ ছেলে কন্ঠে। আমি ভেবেছিলাম ওর কোন বন্ধু এসেছিলো ওই ছাদে। তাই ওকে ডাক দিয়ে বললাম যে, দেখতো তোকে কে ডাকছে।ও আমাকে জানালো যে, ও নিজেও ডাক শোনে জানালার পাশে গিয়ে খোঁজ করেছে। কিন্তু ছাদ একদম ফাঁকা, কেউ নাই।
মায়ের মৃত্যুর কয়েকদিন আগে, আমরা সবাই আমার ভাই এর বাসায়। তখন আমার ছোট ছেলে বললো যে, বাসায় থেকে পোশাক পাল্টে আসি।আমি মাঝখানের রুমে লাইট জ্বালিয়ে রেখে গিয়েছিলাম ভুলে সেদিন।ও বাসায় ঢুকে দেখেছিলো রুমেকেউ একজন দাঁড়িয়ে রয়েছে । ও দেখে ভয়, পেয়ে বের হয়ে গিয়েছিলো। ওই ঘটনাকেও পাত্তা না দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম এই ভেবে যে, হয়তো বা মায়ের অসুস্থতা ওর মনের উপর প্রভাব ফেলেছে কোনভাবে।
মা মারা যাওয়ার কিছুদিন পরে একদিন কোচিং শেষ করে এসে বলতেছে যে, আমি লিফট থেকে বের হয়ে কলিং বেল চাপবো এমন সময় একদম নানীর ভয়েসে পরপর দুই বার ছাদের সিড়ির ওপর থেকে কেউ একজন ডাক দিলো।
ওই ঘটনাকেও ওর মনের ভুল ভেবে পাত্তা না দেয়ার চেষ্টা করলাম।
সর্বশেষ ২৫ শে অগাস্ট আমার ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে আমার কয়েকজন রিলেটিভ এসেছিলো। ওই দিন আমি ডাইনিং টেবিলের চেয়ারো বসে আর পাশে আমার কাজিন এর মেয়ে ও ভাইয়ের মেয়ে খেলতেছিলো। আমার বড়ো ছেলের দিকে চোখ পরায়,ও দেখি হাত দিয়ে চোখ ঘষতেছে।
এরপর বাচ্চাদের সামনে এগিয়ে এসে আমার কাজিন এর মেয়ের হাত ধরলো।এরপর দেখলাম ওর হাত ছেড়ে দিয়ে ওয়াশরুমের লাইট জ্বালিয়ে দরজা খুলে ভেতরে উঁকি দিতে দেখলাম। কি হয়েছে জিজ্ঞেস করার আগেই কিছুটা উত্তেজিত কন্ঠে বললো যে, আমি ক্লিয়ার দেখলাম মারিয়াম দরজা খুলে ওয়াশরুমে ঢুকলো।পর মূহুর্তেই দেখলাম মারিয়াম খেলতেছে। এটা কি হ্যালুশিনেশন নাকি সত্যি... আমি কিছু বুঝতে পারছি না।
ওকে আমি যদিও মুখে বললাম হ্যালুশিনেশন কিন্তু আমার নিজের কাছেও এখন মনে হচ্ছে এতগুলো ঘটনা মনের ভুল হতে পারে না।
Hello,
@sayeedasultana,
আপনার পোস্ট পড়ে বেশ কিছুটা অবাক হলাম। সত্যি বলতে ব্যক্তিগত ভাবে এমন ঘটনার সম্মুখীন কখনো হইনি। তবে এতোগুলো ঘটনা কাকতালীয় হতে পারে, এমনটাও ভাবতে পারছি না। যাইহোক আপনার পোস্টে #betterlife হ্যাশট্যাগটি সঠিক নয়। ওটা এডিট করার অনুরোধ রইল। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি বাদ দিয়ে দিচ্ছি এটা ।ধন্যবাদ আপ্নাকে ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit