Better Life With Steem | The Diary game 11,January , 2025

in hive-120823 •  21 days ago  (edited)

IMG_8934.jpeg

ছুটির দিন হওয়াতে সময়মতো ঘুম থেকে উঠার কোন টেনশন ছিলো না। যার কারনে ঘুম ভেঙেছে সাড়ে আটটার পরে। উঠেই প্রথম কথা মনে পরলো যে, বড় ছেলের কক্সবাজার থেকে আসার কথা আছে, সে কি এসেছে।দ্রুত বিছানা ছেড়ে ছেলেদের রুমে উকি দিয়ে দেখলাম ছেলে ঘুমাচ্ছে।ও কখন এসেছে জানিনা আমি।কয়েকদিন পরে পরে ছেলেকে দেখে ভালো লাগলো। শুধু ভালো লাগাই না একধরণের টেনশন থেকেও মুক্তি পেলাম।
এরই মাঝে হাবিও উঠে গেল ঘুম থেকে। সে ফ্রেশ হয়ে এসে জানালো যে, আপা মানে আমার ননাস কল দিয়েছিলো নাস্তা করার জন্য তার বাসায় যেতে । ছেলেরা ঘুমিয়ে আছে তাই আমি যাবো না বলে দিলাম। সে লেট না করে বের হয়ে গেল আপার বাড়ির উদ্দেশ্য।

IMG_8927.jpeg

বুয়া আজকে আসবে না সেটা আগেই বলে গিয়েছিল যার কারনে ঘরের টুকিটাকি কাজ শেষ করলাম। আজকে মামার বাসায় দুপুরে খেতে বলেছে তাই দুপুর এর রান্নার ঝামেলাও নেই। তাই একটু বেশি করে রুটি বানিয়ে হালকা সেকে ফ্রিজে রেখে দিলাম।সাথে লাউ ভাজি করলাম। ছেলেরা উঠলে খেতে দিব ভেবে। কিন্তু বড় ছেলে সারা রাত জার্নি করে বাসায় এসেছে ছয়টার দিকে। যার কারনে সে ঘুম থেকে উঠলো অনেকটাই লেট করে।ছোট ছেলেও অনেক রাত পর্যন্ত পড়েছে যার কারনে সে-ও উঠলে লেট করে। উঠে জানালো নাস্তা করবে না।
এরই মাঝে হাসবেন্ডও চলে আসলো তার বোনের বাসা থেকে। আপা বেশ কিছু পাটিসাপটা পিঠে পাঠিয়েছেন তার ভাইয়ের কাছে আমাদের জন্য।

IMG_8924.jpeg

ওই দিকে ছেলেদেরও দাওয়াত আছে ওদের এক কাজিনের বাসায়। ছোট ছেলে অবশ্য যাবে না কারণ ওর পরীক্ষা আছে।
এরই মাঝে কলিং বেলের শব্দ পেয়ে দরজা খুলে দেখি ভাইয়ের ড্রাইভার দাঁড়িয়ে। ও কিছু জিনিস নিয়ে এসেছে সাথে জানালো যে, একটু পরে আমাদের গ্রামের বাড়িতে যাবে।

আমি কিছুটা অবাক হলাম কারন আমার জানামতে আজকে মামার বাসায় ওরও দাওয়াত। ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করেও তেমন কোন সদুত্তর পেলাম না। পরে ভাইকে কল দেয়ায় ভাই জানালো যে, মামী দাওয়াত এ সপ্তাহের জন্য ক্যানসেল করেছে কারন অনেকেরই বিয়ের দাওয়াত আছে এসপ্তাহে।আমি শুনে আকাশ থেকে পরলাম কারন মামী আমাকে এবিষয়ে কিছুই বলে নাই। হয়তোবা ভুলে গেছেন বলতে।আমার ভাই মজা করে বলতেছিলো যে, তোকেতো মানা করে নাই। তুই যা। গেলে তোকে খেতে দিবেই।

IMG_8932.jpeg

ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি প্রায় বারোটা।এসময়তো গ্যাস থাকার কথা না।তারপরও রান্নাঘরে ঢুকলাম দুপুরের রান্না করার জন্য। নিভু নিভু আগুনে কোনমতে দুপুরের রান্না শেষ করলাম।
দুপুরে আমরা তিনজনে মিলে খেয়ে নিলাম।
রাতে ছেলে কাজিন এর বাসা থেকে ফেরার সময় দেখি কেক নিয়ে এসেছে। আজকে আসলে আমাদের বিবাহবার্ষিকী ছিলো।
সাথে কয়েকটি ছোট ছোট গিফট পেলাম ছেলের কাছ থেকে । রাতে বাইরে থেকে খাবার অর্ডার দিয়েছিলাম। সব মিলিয়ে দিনটা ভালোই কেটে গেল।



Thank You So Much For Reading My Blog

3KyYabPY3g77mhATvBAAUF5zNR1CtqkeWauN9MRyWDCSJJeN9WZVXxTFs1osy6uhZisoaiFyWVDNasfkuL6TCt1ktBsbpzwrjDQjD5Whfk...ZaM9uuYHaeW4UUPGGgs2cmDJiTjepqhtQSaepYYFHTcDDjyKwJFNySU1pqwEMpSESQC3Gn7hqBvLRjSYsY6BdDKRgFVbQR2Yp7VjXiG9Wvs5d8nxs9LuoDTwMx.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আপনি হচ্ছেন মনে হয় পৃথিবীর সেই সৌভাগ্যবান মা যে কিনা নিজের বিবাহ বার্ষিকীর উপহার নিজের ছেলের কাছ থেকে পেয়েছেন দোয়া করি আপনার ছেলে এভাবেই আপনাকে প্রতিবছর আপনার বিবাহ বার্ষিকীতে কিছুটা হলেও গিফট যেন দিতে পারে।

দাওয়াত আছে বলে চুপচাপ বসে রইলেন এরপরে যখন শুনতে পেলেন দাওয়াত ক্যান্সেল হয়ে গেছে রান্না করতে গেলেন আসলে ঢাকায় যখন ছিলাম তখন গ্যাসের সমস্যা আমি নিজেও ভোগ করেছি এখন দেখছি আপনাদের ওখানে একই অবস্থা শীতের সময় নাকি গ্যাস পাওয়া যায় না অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য যদিও অনেক দেরি হয়ে গেছে তারপরেও বলবো আপনাদের বিবাহ বার্ষিকীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন আগামী দিনের পথ চলা আপনাদের অনেক বেশি সুন্দর হোক ভালো থাকবেন।