Better Life With Steem | The Diary game 11 , October |

in hive-120823 •  last month 

best friend photo collage.png

Edited by Canva

গত রাতেই কথা হয়েছিল যে, সকালবেলা বড় ছেলে এবং তার বাবা ভাগ্নের বাসায় যাবে। ভাগ্নের কিছু জিনিসপত্র আছে যেগুলি ওর ছোট ভাইয়ের বাসায় রাখতে যাবে। সেখান থেকে আমাদের বাসায় আসবে। ফেরার পথে তিনজনে বাইরে কোথাও থেকে নাস্তা করে আসবে। যার কারনে সকালবেলা উঠে নাস্তা বানানো নিয়ে খুব একটা চিন্তা করি নাই। আমার ছেলেরা এমনিতেই নাস্তা করতে চায় না। ওদের যত ক্ষিধে দুপুরে আর রাতের বেলা।

আধো ঘুম আর আধো জাগরণের মাঝ দিয়ে যখন পুরোপুরি ঘুম ভাঙলো তখন প্রায় পৌনে নয়টা বেজে গেছে। উঠে দেখি ওরা বের হয় নাই বাসায়ই আছে। শুনলাম আমার হাবির ভাগ্নেও আসতেছে। ওরা একসাথে গ্রামের বাড়িতে যাবে নয়টার মাঝে। তখন যে নাস্তা বানাবো এমন সময়ও নেই। তাই ছেলেকে বললাম ,বাইরে থেকে নাস্তা কিনে নিয়ে আসত। এটা শুনে আমার হাসবেন্ড তার ভাগ্নেকে বললো যে ও যেন আমাদের সাথেই নাস্তা করে।

ছেলে গেলো নাস্তা আনতে আর আমি রান্নাঘরে ঢুকলাম ডিম ভাজতে। ডিম ভাজি শেষ করার পর পরই ছেলেও নাস্তা নিয়ে বাসায় আসলো আর তার পেছেনে পেছনেই ভাগ্নেও বাসায় ঢুকলো। আমার হাসবেন্ড আর তার ভাগ্নে দ্রুত নাস্তা করে বের হয়ে গেলো গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে।

ওরা বের হয়ে যাবার পরে ভয়ে ভয়ে রান্না ঘরে ঢুকলাম যে গ্যাস মনে হয় আজকে আর পাবো না। কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম বেশ ভালোই গ্যাসের প্রেশার আছে। পরে মনে হলো যে , দূর্গা পুজো উপলক্ষে চারদিনের ছুটিতে ঢাকার লোকজন ঢাকা ছেড়েছে এই ছুটি কাটাতে।

IMG_7411.JPG

আমার হাবির আজকের এই গ্রামে যাওয়ার প্রোগ্রাম না থাকলে আমিও চলে যেতাম। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে আমাকে ঢাকাতেই থাকতে হচ্ছে। আগে এরকম ছুটি পাওয়া মানেই আমরা ঢাকার বাইরে। কিন্তু ইদানিং বেশিরভাগ সময়ই ছেলেদের কিছু না কিছু লেগেই থাকে যার কারণে ঢাকাতেই থাকা হয়। কিন্তু আগের সেই দিনগুলো খুব মিস করি।

বড়ো ছেলে বললো যে ,আজকে ও বাসায় খাবে না। ওর বন্ধুর বাসায় খাবে। তাই আজকে আর বেশি ঝামেলা না করে শুধু ইলিশ মাছ আর ডাল রান্না করেছি। দুপুরে আমি আর আমার ছোট ছেলে একসাথেই খেয়ে নিলাম।

ওকে আগেই বলে রেখেছিলাম যে ,আজকে মামার বাসায় যেতে পারি সেই সাথে বেশ অনেক দিন থেকেই গাড়ির মাঝে আমার বেশ কতগুলি কাপড় ব্যাগ বন্দি হয়ে পরে আছে সেগুলিকেও দর্জির কাছে বানাতে দিতে যেতে হবে। যার কারণে ও চারটা বাজার পর থেকেই তারা দেয়া শুরু করলো।

কারণ ও জানে আমি আলসেমি করে বের না'ও হতে পারি। ভেবেছিলাম যে ,আগে দর্জির কাছে যেয়ে তারপর মামার ঐখানে যাবো। কিন্তু যেয়ে দেখি দর্জি দোকানে নেই ,একটু পর নাকি আসবে। তাই কাপড়গুলো দোকানে রেখে মার্কেটে ঘুরাঘুরি করলাম কিছু সময়।

IMG_7410.JPG

তিনি আসলেন অনেক সময় পরে। আমার অবশ্য এই সময়টা বেশ ভালোই কেটেছে কারন আমি কিছু কিনি আর না কিনি , সারাদিন শপিং মলে ঘুরে বেড়ালেও বিরক্তি লাগে না। যায় হোক তাকে সব কিছু বুঝিয়ে দিয়ে বের হয়ে দেখি সন্ধ্যা পার হয়ে গেছে আর আকাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। ঐদিকে বড়ো ছেলে কল দিয়ে বললো যে ,আমি কোথায়। ও বাসার গেটে এসে দাঁড়িয়ে আছে। ভেতরে যেতে পারতেছে না কারণ চাবি আমার কাছে।
যার কারণে মামার বাসায় যাওয়া বাতিল করে বাসার পথে পা বাড়ালাম। ছোট ছেলে খেলতে গিয়েছিলো ওর মামার বাসার ছাদে। বাসায় আসার সময় ওকেও সাথে করে নিয়ে আসলাম।

IMG_7409.JPG

Post Details

CameraiPhone 14
Photographer@sayeedasultana
LocationDhaka,Bangladesh


Thank You So Much For Reading My Blog

qjrE4yyfw5pEPvDbJDzhdNXM7mjt1tbr2kM3X28F6SraZgaQoCtGeKVqRDUGfrmTXsfxHraVeGpEUQ6HjQHG9igTSfqGMVa6WEJmNoG7kyP96MeJqwySjh1g.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আপনার পোস্টটি পড়তে খুব ভালো লাগলো। পরিবারের জন্য দৈনন্দিন জীবনের ছোটখাটো ঘটনা কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশেষ তা আপনি খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। আশা করি, আপনার পরবর্তী দিনগুলোও আনন্দময় এবং সফল হবে!