ঘুম ভেঙে গিয়েছিল ভোর বেলা কিন্তু ছুটির দিন বলে আবার চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে পরেছি। এরপর হাবি টেনে তুলেছে। তার ভাগ্নে আসবে তার স্কুটি নিয়ে। ভাগ্নে পড়ার জন্য টার্কিতে চলে যাচ্ছে। তার স্কুটি টা আমার হাবি রেখে দিচ্ছে।যদিও এটা আমার একদম ইচ্ছে ছিল না কারণ ছেলেদের নিয়ে ভয় পাই আমি। তারপরও মত দিয়েছিলাম এটা ভেবেই যে আমার বড়ো ছেলে খুব বেশি বেপরোয়া না আর ছোট ছেলে স্কুটি বা বাইক একদমই পছন্দ করে না, ওর পছন্দ গাড়ি।
আমার হাসবেন্ড তার ছেলেদেরকে সারপ্রাইজ দিবে এজন্য ওদের কাউকেই কিছু এ ব্যাপার আগে থেকে জানায় নাই। আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি দুই ছেলেকেই সে টেনে তুলেছে এই বলে যে, নিচে চল।ওদেরকে ঘুম থেকে টেনে তোলার দেখলাম দুজনই মহা বিরক্ত। যদিও পরে ওকি দেখে খুশি হয়ে গেছে। বড় ছেলে তো আগে থেকেই চালাতে পারে ।
এরপর দুই- বাপ বেটা মিলে কিছুক্ষণ চালালো।ভাগ্নেকে জিজ্ঞেস করলাম নাস্তা করেছি কিনা। সে জানালে যে সকালবেলা উঠে রওনা হওয়ার কারণে তার নাস্তা করা হয়নি। ওইদিকে আমাদের কারোরও নাস্তা করা হয় নাই। আমার ছেলে বললো যে, চলো স্টার কাবাবে যাই।
স্টার কাবাবকে নরমাল খাবার-দাবারের জন্য এই এলাকায় সবচেয়ে জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট বলা যায়। কারণ এখানকার খাবার-দাবারের মানও বেশ ভালো সাথে দামও দুটোই মোটামুটি সবার হাতের নাগালের মাঝেই।যার কারনে অন্যান্য রেস্টুরেন্ট গুলোর তুলনায় এই রেস্টুরেন্টে ভিড় লেগেই থাকে। আমার ছেলে এখানে আসলেই বলে যে, এমন একটা রেস্টুরেন্ট দেওয়ার আমার খুব ইচ্ছে।
আপনার রেস্টুরেন্টে পৌঁছার পর দেখলাম প্রচন্ডরকম ভিড়। এখানে প্রতিদিনই ভিড় থাকে কিন্তু আজকে ছুটির দিন হওয়ার কারনে সেটা আরোও অনেক বেশি।
দোতলায় বসার সিট না পেয়ে আমরা তিন তলায় চলে গেলাম।কিন্তু সেখানেও বসার জায়গা নেই। তাই দাঁড়িয়ে রইলাম কিছু সময়। টেবিল খালি হওয়ার পরে বসতে পারলাম। সেখানে আমরা খাওয়া শেষ করে চা এর অর্ডার দিলাম। এখানকার চা -টা ভালো লাগে সবসময়ই। কিন্তু আজকে চা খেয়ে মনে হলো আগের চেয়ে কিছুটা খারাপ হয়েছে। খাওয়া শেষ করে আমরা বাসায় আসার সময় ২৮ নাম্বার এর ডেড এন্ডে চলে গেলাম।কারন ভাগ্নে গাড়ি চালানো শিখে যেতে চাচ্ছে।
আমার মাঝে কিছুটা টেনশন কাজ করতে ছিলো এটা ভেবে যে বুয়া বাসায় এসে আমাদের না পেয়ে চলে গেল কিনা। তাই ওদেরকে তাড়া দিলাম যাতে আমাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসে।কিন্তু ছেলেরা স্কুুটি তাদের কাজিনদের সাথে মামা মামীকেও দেখাবে তাই আমার ভাইদের বাড়ির সামনে চলে গেল। আমার দুই ভাই পাশাপাশি বিল্ডিং এ থাকে। ওরা নেমে আসার পরে সেখানে কিছু সময় কাটিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
এসে দুপুরের রান্না শেষ করলাম। দুপুরের খাবার একসাথেই খেয়ে নিলাম। সন্ধ্যার দিকে আমার ভাই আসলো তার মেয়েকে নিয়ে। কিছু কাজের কথা ছিলো সেগুলো নিয়েও কথা হলো।ওদের রাতের খাবার খেয়ে যেতে বললাম কিন্তু ওরা না খেয়েই চলে গেল।
সবার রাতের খাবার খাওয়া শেষ হলে সব জিনিস গুছিয়ে রেখে ঘুমাতে গেলাম।
ছুটির দিনে আমাদের ঘুমটা একটু বেশি হয়, অনেক সময় ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পরেও শুয়ে থাকি, স্কুটিটা অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে, আপনার সারাদিনের কার্যক্রম থেকে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার দিনটি বেশ চমৎকার কেটেছে, পরিবারের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো সবসময়ই বিশেষ হয়। পরিবারের সাথে এসব ছোটখাটো মজার মুহূর্তগুলোই জীবনের রংগুলোকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে। আপনার ভাইয়ের বাসায় যাওয়া এবং দিন শেষে সবকিছু গুছিয়ে নেওয়ার মতো সাধারণ, কিন্তু সুখকর এই সময়গুলো ভবিষ্যতে সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকবে। আপনার সারাদিনের কার্যক্রম থেকে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম ঠিক বলেছেন যে,পরিবারের সাথে ছোটখাটো মজার মুহূর্তগুলোই আমাদের জীবনের রংগুলোকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে।আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সবসময়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit