Edited by Canva |
---|
আজকের ঘুম ভেঙেই দেখি বেশ রৌদ্রোজ্জ্বল একটা দিন। অবশ্য ঘুম ভেঙেছে অন্য দিনের তুলনায় অনেকটাই লেট করে। ফ্রেশ হয়ে রান্না ঘরে ঢুকলাম হবিকে নাস্তা বানিয়ে দেয়ার জন্য কিন্তু দেখি গ্যাস নিভু নিভু করছে। এর মাঝে কি করবো ভেবে পেলাম না তাই ভাবলাম ওটস করে দেই।
কিন্তু যেদিন কপালে খারাপি থেকে সেদিন সবজায়গাতেই একই রকম হয়। ওটস শেষ হয়ে গেছে আনতে মনে নেই। সাথে সাথে মনে হলো যে গতকাল খানিকটা সাবুদানা ভিজিয়েছিলাম কিন্তু সেটা আর কিছু করা হয় নাই ,রয়ে গেছে ফ্রিজে। আর আমার হাসবেন্ড সাবুদানা পছন্দ করে খেতে। তাই সেটাকেই কাজে লাগলাম।
সে চলে যাওয়ার পরে গাছগুলোকে পানি দিলাম। ইদানিং অবশ্য প্রতিদিন পানি দিতে হয় না , ২/৩ দিন পর পর দিলেই হয়। এরপর রান্নাঘরে কিছুক্ষন ঘুরঘুর করলাম দেখার জন্য যে গ্যাসের প্রেশার বাড়ে কিনা।
কিন্তু একসময় সে আশা ছেড়ে দিয়ে আরামসে ইউটিউব ঘাটাঘাটি করলাম কিছুক্ষন। এরমাঝে একটা খবর নজর করলো যে আবারো বরফযুগ আসতেছে। ইউটিউবের বেশিরভাগ জিনিসকেই আমি বিশ্বাস করি না তাই ভাবলাম জিনিসটাকে আরেকটু খোঁজ নিয়ে জানতে হবে আসলেই ঠিক কিনা।
আঘাতকারী বাস (হোয়াটস্যাপ থেকে পাওয়া ছবি ) |
---|
এরই মাঁঝে বুয়া এসে কাজ করে দিয়ে গেলো। অবশ্য মাঝে ছেলেদেরকে নাস্তার কথা জিজ্ঞেস করেছিলাম কিন্তু দুজনেই মানা করে দিলো। গতকাল সংগীত ছিল আমাদের বাসার পাশের এক মেয়ের। আমার শরীর খারাপ লাগার কারণে আমি যাই নাই কিন্তু ওরা গিয়েছিলো।
সেখান থেকে ফিরেছে সাড়ে বারোটার পরে। সেখানে রাতে নাকি এতো খেয়েছে যে ওদের আজকে ক্ষুধা নেই। আমিও বেঁচে গেলাম ঝামেলা থেকে।
এরপর দুপুরের রান্নার জন্য রান্নাঘরে ঢুকেছি পৌনে একটার দিকে কিন্তু গ্যাস তখন অনেকটা একই রকম। তাই ছেলেকে বললাম যে নিচ থেকে চিকেন বল ও ক্যাপসিকাম নিয়ে আসতে। কারণ এখন ফাঁকিবাজি রান্না করা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। পোলাউ ও সাথে বেগুন ভাজা করবো বলে ভাবলাম। ফ্রিজ খুলে কয়েক টুকরো কাটা ইলিশ ,লেজ মাথা পেয়ে গেলাম। ভাবলাম ভেজে দেই সময় কম লাগবে। আমি আমার জীবনে সবচেয়ে বেশি সময় নিয়ে আজকে বেগুন ভাজি করেছি।
বিকেলে দুই ছেলেই বেরিয়ে গেলো ওদের নাচের রিহার্সেলের জন্য। ছয়টার দিকে হঠাৎ করেই কলিং বেলের সাউন্ড পেলাম। খুলে দেখি বড়ো ছেলে এসেছে। এতো আগেই এসেছে দেখে খানিকটা অবাক হলাম।
কিন্তু আমি কিছু বলার আগেই উত্তেজিত কণ্ঠে ও বললো যে , কল্যাণপুরে বড়ো মামাদের গাড়িতে বাস এসে খুব খারাপ ভাবে লাগিয়ে দিয়েছে। আমরা সেখানেই যাচ্ছি। শুনে মনটাই খারাপ হয়ে হয়ে গেলো।
মাত্র কয়েকমাস আগেই ওদের এলিয়েন তাকে কাভার্ডভ্যান এসে খুবই খারাপ ভাবে লাগিয়ে দিয়েছিলো। কয়েকদিন আগে গাড়িটাকে ওরা বিক্রি করে দিলো। আর এই হ্যারিয়ার একদমই নতুন। এখনো একবছরও হয় নাই।
ওকে বললাম যে তোমরা আসলে আমাকে তুলে নিয়ে যেও। ও চলে যাওয়ার পরে ডায়েরি গেম লেখা শুরু করলাম। এরই মাঝে কয়েকবার খোঁজ নিয়ে জানলাম ই অবস্থা। এখনো ওরা কল্যাণপুরেই রয়েছে। এর মাঝে দেখলাম ছেলে কয়েকটা ছবি ও ভিডিও পাঠিয়েছে হোয়াটস্যাপ এ। ওর সাথে কথা বলে জানলাম আমার ভাই মাথায় আঘাত পেয়েছে আর ওর সাথে থাকা আমাদের বাড়ির কেয়ারটেকার হাতে ব্যাথা পেয়েছে। এখন অপেক্ষা করছি ওদের আসার।
🎉 @sayeedasultana - amazing article as always! 🎯 ✨
Hey friend! 🎉 Come check out your awesome post on my shiny new front-end! It's still a work in progress but I'd love to hear what you think! View your post here ✨
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার পোস্ট পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল। আল্লাহ আপনার ভাই এবং কেয়ারটেকারকে দ্রুত সুস্থতা দান করুন। জীবনের এসব অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি সত্যিই কষ্টদায়ক, তবে আপনার মতো দৃঢ় মনোভাব নিয়েই এগিয়ে যেতে হয়। ইনশাআল্লাহ আশা করি সবকিছু শিগগিরই ঠিক হয়ে যাবে। শক্ত থাকুন আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সাবুদানা আর গ্যাসের সমস্যার কথাগুলো হালকা মজার মনে হলেও দিনের শেষে কল্যাণপুরের ঘটনাটা সত্যিই মন খারাপ করে দেওয়ার মত। ভাগ্য ভালো যে আপনার ভাই এবং কেয়ারটেকার বেশি গুরুতর আঘাত পাননি। গাড়ির দুর্ঘটনা সত্যিই মন খারাপের কারণ, বিশেষত যখন এটি একদম নতুন গাড়ি হয়। আশা করি, সবকিছু দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আপনার পোস্টটি পড়ে আপনার প্রতিদিনের জীবনের খুঁটিনাটি এবং পরিবারে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর একটা বাস্তবচিত্র চোখের সামনে ভেসে উঠলো। ভালো থাকুন, শক্ত থাকুন, এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। আপনাদের সবার জন্য শুভকামনা রইলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit