Edited by Canva |
---|
গত পঁচিশে আগস্ট ছিলো আমার বড় ছেলের জন্মদিন। ওকে রাত ১২ টার সময় কেক কেটে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম।ওই খানেই শেষ করতে চেয়েছিলাম। আর তেমন কিছু করার তেমন একটা ইচ্ছে ছিলো না।এর সবচেয়ে বড় কারন ছিলো বন্যার্ত মানুষ জন এর দূর্দশাগ্রস্থ চেহারা দেখার পরে আর কোন কিছু করার মতো মানসিকতা ছিলো না।
সকালে ঘুম থেকে উঠে হাসবেন্ডকে নাস্তা রুটি আর ভাজি তৈরি করে দিয়েছি।সে নাস্তা করে ব্যাংকে চলে গিয়েছি।ইদানীং রান্না করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে কারন গ্যাস থাকেই না বলা চলে। এরকম আগে ছিলো না।এটা কি বন্যার কারনে হচ্ছে কিনা সেটা বোঝতে পারতেছি না। কোনরকমে রান্না করে খাই।
Edited by Canva |
---|
কিন্তু সমস্যা শুরু হলো ছেলেরা ঘুম থেকে উঠার পরে।প্রথমে ছোট ছেলে এসে বললো আম্মু শাফাকাতদের বলবে না।এই শাফাকাত মানে সে একা না, আশেপাশের সব কাজিনকে বুঝিয়েছে। কাটাতে চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু তার বড় ভাই এসেও একই গান শুরু করলো।
দুজনকেই গ্যাসের সমস্যার কথা বললাম। কিন্তু উল্টো আমাকে বুদ্ধি দিলো রাতে বলো সবাইকে তাহলে সময় পাবে। একটু পরে দেখি তারা তার বাবাকেও ব্রেইনওয়াশ করে ফেলেছে। সকালেও আমার সাথে একমত ছিলো যে এবার কাউকেই বলবো না।
Edited by Canva |
---|
কিন্তু দশটার দিকে আমাকে কল দিয়ে বললো যে, কাউকে না বললে অন্তত বাচ্চাদেরকে খেতে ডাকো রাতে। তাকে বললাম যে বাচচাদের বললে তাদের বাবা-মা আর কি দোষ করেছে তাদেরকেও বলি। উত্তরে সে বললো তুমি পারলে করো। এটা শুনে আমার দূুই ছেলেতো আরো খুশি। কিন্তু মুখে বলা আর করার মাঝে অনেক পার্থক্য।রান্না করতে গিয়ে দেখলাম গ্যাস যা আছে তাতে এত মানুষ এর রান্না করা সম্ভব না। গ্যাস বাড়ার অপেক্ষায় বসে রইলাম কিন্তু লাভ হলো না।
হাবি কল দিয়ে বললো যে, এভাবে তুমি পারবে না এরচেয়ে হয় রেস্টুরেন্টে খাওয়াও আর না হয় খাবার কিনে এনে বাসায় খাওয়াও। ছেলেরা বাসায় খাওয়ানোর পক্ষেই মত দিলো বাসায় ওরা যতটা লাফালাফি করতে পারবে সেটা রেস্টুরেন্টে করতে পারবে না।অবস্থা এই সিদ্ধান্তে আমার ওপর থেকে চাপ বলতে গেলে প্রায় পুরোপুরিই কমে গেল।
সন্ধার পরে ছেলেকে মোরগ পোলাও নিয়ে আসতে বললাম।অর্ডার দেই নাই কারন নিজেরা দেখে আনলে নিজেদের পছন্দমতো মাংস আনা যায়। সাথে কাবাব আর বোরহানিও আনতে বললাম। এর মাঝে হাবি কল দিয়ে জানালো যে সে'ও চলে এসেছে। এতে আরো ভালো হলো। সেও ছেলের সাথেই গেল খাবার কিনে আনতে।
Edited by Canva |
---|
এরপর আস্তে আস্তে আমার দুই ভাই , এক কাজিন আর মামার পরিবারের সবাই চলে আসলো। ওদের কাউকেই জন্মদিন এর কথা বলি নাই, শুধু বলেছিলাম যে এমনিই ছোটখাটো একটা গেটটুগেদার এর জন্য ডেকেছি সবাইকে। জন্মদিন এর কথা না বলার কারনে সবাই খানিকটা রাগ হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি খুশি বাচ্চারা হয়েছে। ওরা খাওয়া শেষ করে জয় বাংলা, জিতবে এবার নৌকা টাইপ এর গান বাজিয়ে নাচা শুরু করলো ওদের রুমে।আমার ভাই বলতেছিলো যে, এইবারই পাবলিক এসে মার শুরু করবে ওদের আর সাথে আমাদেরও। ওদের সবার যেতে যেতে প্রায় সাড়ে বারোটার বেজে গেল। আর আমিও সবকিছু মোটামুটি গুছিয়ে রেখে ঘুমাতে গেলাম
Edited by Canva |
---|
|
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit