হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে ছেলের পাঠানো ছবি |
---|
আজকে ঘুম থেকে সকালবেলা উঠেই চোখ পরেছে কক্সবাজার থেকে ছেলের পাঠানো মেসেজের দিকে। গত রাতে কথা হয়নি বলে মনটা একটু খারাপ ছিল কিন্তু টায়ার্ড ভেবে বলে আর কল দেই নাই। সকাল বেলা ওর মেসেজ দেখে সকালটাই যেন ভালো হয়ে গেল।
এরপর ফ্রেশ হয়ে বারান্দায় গিয়ে গাছগুলোতে পানি দিলাম। গত দুইদিন পানি দেওয়া হয়নি গাছগুলোতে। দেখলাম গাঁদা ফুল গাছের নতুন ফুল ফুটেছে। বেশ কিছু দিন আগে গাছগুলোকে নার্সারি থেকে যখন কিনে এনেছিলাম তখন কিছুটা সন্দেহ হয়েছিল এটা ভেবে যে, ফুল ফুটবেতো।
কিন্তু কদিন আগে বিশাল বিশাল কলি আমার সন্দেহ দূর করে দিয়েছিলোএখনো ফুল ফোটা সম্পূর্ণ হয়নি।দেখে মনে হলো আরো বড় হবে।
এরপর রান্না ঘরে ঢুকে পরলাম হাবিকে নাস্তা বানিয়ে দেওয়ার জন্য। ফ্রিজে রুটি বানানো ছিলো বলে খুব একটা ঝামেলা হয়নি।
সে নাস্তা করে ব্যাংকে চলে গেল প্রতিদিন এর মতোই।এরপরে আমার রুমের বিছানার চাদর পাল্টে ফেললাম।এরপর টুকিটাকি আরো কিছু কাজ শেষ করলাম।শীতের কারনে এ'কদিন তেমন কিছুই করি নাই।
এরই মাঝে একফাকে ডিসকর্ডে উঁকি দিলাম।দেখলাম দিদি সুন্দরবন যাচ্ছেন।এটা দেখে পুরোনো স্মৃতি ভেসে উঠলো মনের মাঝে। বিয়ের কিছু পরে আমিও সুন্দরবন ঘুরতে গিয়েছিলাম।আসলে আমার শশুড়দের কয়েকজন খুলনাতে বাস করেন। আমার শশুড়ও থাকতেন একসময় এখানে। সেই সূত্রেই খুলনা গিয়েছিলাম। আর তখনই সুন্দরবন গিয়েছিলাম।
ছোট্ট একটা ট্রলার এর ওপরে বসে আমরা করমজল হয়ে সুন্দরবনে ঘুরে বেড়িয়েছিলাম।সাথে আমার কয়েকজন দেবরও ছিলো। করমজলে কাঠের ব্রিজের মতো পায়ে হাঁটা পথ। আমরা হাটতে হাঁটতে একদম শেষ মাথায় পৌঁছে গিয়েছিলাম।সেখানে একটা সাইনবোর্ডে লেখা ছিলো 'রয়েল বেঙ্গল টাইগার হতে সাবধান '।
এটা দেখে কিছু ভয় ভয় লাগছিলো। এরই মাঝে একটা সিড়ি পেয়ে সেখান দিয়ে নেমে একটা সরু একটা পায়ে হাটা পথ দিয়ে খানিকটা এগিয়ে গিয়েছিলাম আমরা। দুইপাশে ঘন জঙ্গল।আমি ছিলাম সবার সামনে। হঠাৎ করেই পেছন থেকে আমরা দুই দেবর আর হাসবেন্ড ' ওরে বাবা বাঘ আসলো 'বলে আমাকে ফেলে দৌড়ে পালিয়েছিলো।
আমি এটা শুনে চিৎকার করতে করতে ওদের পেছনে দৌড়ে সেই ব্রিজের ওপরে উঠেছিলাম।এখনো পারিবারিক আড্ডায় আমার দেবররা একত্রিত হলে এই গল্প বলে আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করে সবাই মিলে
দিদির সুন্দরবন যাওয়ার কথা শুনে এমন আরো অনেক কিছুই মনে পরে৷ যাচ্ছিলো আমার। স্মৃতি একই সাথে কখনো কখনো আমাদের আনন্দ দেয় আবার কখনো মন খারাপ করে দেয়।
এসব চিন্তা করতে করতেই আজকে দুপুরের রান্না করেছি।খুব একটা কিছু অবশ্য করিও নাই।
রান্না শেষ করার কিছুক্ষন পরে ছেলে কক্সবাজার থেকে কল দিয়ে কথা বললো সাথে কিছু ছবিও পাঠিয়েছে।
দুপুরে ছোট ছেলে আর আমি একসাথেই দুপুরের খাবার খেয়েছি।
হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে ছেলের পাঠানো ছবি |
---|
এরপর কম্বলের নিচে শুয়ে শুয়ে বই পড়েছি।সন্ধ্যার দিকে ছেলেকে নুডুলস রান্না করে দিয়েছি। রাতে হাবিকে কল দিয়ে পিঠে আনতে বলেছিলাম। সে চিতই ও ভাপা পিঠার নিয়ে এসেছিলো। অবশ্য সামান্য ভাতও রান্না করেছিলাম।এগুলো দিয়েই রাতের খাবার খেয়েছে সবাই।
এরপর আমি ডায়েরি গেম লেখা শুরু করলাম।
আপনার ছেলে কক্সবাজারে রয়েছে সে আপনাকে ওখান থেকে কিছু ফটোগ্রাফি পাঠিয়েছে যেটা দেখেই আজকে আপনার সকালবেলা শুরু হয়েছে আসলে মানুষ যখন একটা জায়গায় ঘুরতে যায় তখন বিভিন্ন ধরনের স্মৃতি তার মধ্যে রেখে আসে।
আজকে আপনি কক্সবাজারে যখন গিয়েছেন তার কিছু স্মৃতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আসলে কিছু কিছু জায়গায় যখন সাইনবোর্ডে লেখা থাকে এখানে যাওয়ার নিষেধ তখন ওখান থেকে ফিরে আসাটাই উত্তম সন্ধ্যায় আবার ভাপা পিঠা চিতই পিঠা আপনার হাসবেন্ড নিয়ে এসেছে ওটা দিয়েই রাতের খাবার শেষ করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit