প্রায় প্রতিদিনই লেটে ঘুম ভাঙলেও আজকে আগেই উঠে গেছি। রুম থেকে একা বের হতে কেমন জানি ভয় ভয় লাগে তারপরও বের হয়ে ছেলেদের রুমে উঁকি দিলাম। দেখলাম ছোট ছেলে ল্যাপটপে রেকর্ডিং ক্লাস দেখতেছে।
আমাকে দেখে বললো রাতে ঘুম আসে নাই তাই সারা রাতই জেগে ছিলো। রোজার সময় এই সমস্যা আমিও ভুগি।ঘুমের কোন টাইমটেবল থাকে না।উল্টা পাল্টা ঘুম আসে। আমি আর আমার বড়ো ছেলে সেহরির সময় পানি ছাড়া আর কিছুই খাই নাই।
বড় ছেলে উঠেও সবার শেষে আর ঘুমাতেও যায় সবার আগে। কারণ ওকে আবার ৬.৩০ এর মাঝে উঠতে হবে। আজকে ওর ক্লাস আছে তাই বাসা থেকে বের হতে সাতটা /সোয়া সাতটার মাঝেই।
ছেলেটার কথা ভাবলে খারাপই লাগে। একদমই সময় পায় না।
ও আমাকে সেহরির সময়ই বলে রেখেছিলো আমার ঘুম ৬টার দিকে ঘুম ভাঙলো ওকে যেন ডেকে দেই।
ওকে ডাকতে গিয়ে দেখি ও আগেই জেগে গেছে। আমাকে বললো যে আর ঘুম আসে নাই ওর।
আমি ওকে ডাকার পরে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি জানি না আমি, একবারে সাড়ে নয়টার দিকে ঘুম ভেঙেছে।
ঘুম থেকে উঠে ক'দিনের জমানো কাপড় ভাজ করলাম। অনেক কাপড় জমে গিয়েছিলো।
সেগুলো ভাজ করে আলমারিতে যার যার জায়গায় তুলে রাখলাম।
যদিও দুই ছেলের পোশাক বিশেষ করে প্যান্ট নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হয় আমাকে।কার প্যান্ট যে কোনটা বুঝতে হিমসিম খেতে হয় আমাকে।দুইটাই এমন কালো কালো পোশাক পরে যে বোঝা কঠিন।
ঘরের টুকটাক কাজ শেষ করে একটু বাইরে যাওয়ার কথা ভাবছিলাম। কিন্তু এমন আলসেমি লাগতেছিলো আাপাতত প্ল্যান ক্যানসেল করে দিলাম।
এমন সময় এক কাজিন কল দিলো।ওর কাছেই জানতে পারলাম যে আমার এক ভাগ্নীর ইউটেরাসে ক
টিউমার হয়েছে আর সেখানে ক্যানসার ধরা পরেছে।
অবশ্য একদমই প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। শুনে মনটাই খারাপ হয়ে গেল। এতো অল্প বয়স, মাত্র বিয়ে হয়েছে কিছুদিন আগে। জীবন এতো অনির্শ্চিত, কখন যে কার কি হবে আগে থেকে কিছুই বলা যায় না।
ছোট ছেলে সারা রাত না ঘুমানোর কারনে ওকে তুলতে আজকে আমার ভালোই সমস্যা হলো। তুলার পরে জানতে চাইলাম আজকে ইফতার কি খাবে। ওকে নিয়েই সমস্যা। এটা খাবো না, ওটা খাবো না।
ওনি পোলাও খাবে বলে ঘোষণা দিলো আজকে। ওর ইচ্ছেতেই আজকে ইফতার বানালাম।
বড় ছেলে বাসায় আসলো একদম ইফতার এর আগ দিয়ে।
এরপর সবাই মিলে একসাথে মিলে ইফতার করে নিলাম।
একটু পরে সবাইকে চা বানিয়ে দিলাম। এরপর ডায়েরি গেমের জন্য লিখতে বসলাম। আর এভাবেই দিনটা কাটালাম আজকে।
আসলেই বর্তমানে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। কখন যে কি হয়, বলা বড় মুশকিল। যাই হোক, আল্লাহ তাআলা যেনো খুব দ্রুত আপনার ভাগ্নীকে সুস্থতা দান করেন।
সব মিলিয়ে আপনার লেখাটি অনেক ভালো লাগলো। আপনি অনেক কাজের মধ্যে দিয়ে আজকের দিনটি পার করেছেন। আর যদি আগের রাতে ঘুম না হয় তাহলে পরের দিন কোনো কাজেই ভালো লাগে না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমরা এতো বেশি কীটনাশক যুক্ত ও বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যুক্ত খাবার খাচ্ছি যার কারনে আমাদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হচ্ছে।
এছাড়া আমাদের লাইফ স্টাইলও এর জন্য অনেকাংশে দায়ী। বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট ফুড, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব আর সেই সাথে আমাদের চারপাশের ভয়াবহ দূষিত পরিবেশ সব কিছু মিলিয়েই এই অবস্থা।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
ভালো থাকবেন সবসময়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রমজান মাসে সবারই স্বাভাবিক শিডিউল একটু ভিন্ন হয়ে যায়। ঘুমেরও বেশি সমস্যা হয়। তবে রহমতের মাসে যেন এটা কোন ব্যাপারই নয়। তবে আপনি একেবারে কিছু না খেয়ে রোজা রাখেন এতে আপনি দুর্বল হয়ে যেতে পারেন। আর বাচ্চাদের হাত থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল, গেজেট সরানো বর্তমানে দুঃসাধ্য ব্যাপার। সব মিলিয়ে সুন্দর একটি দিন আপনি পার করলেন। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে রমজান মাসে নিয়ম গুলো একটু এলোমেলো হয়ে গেছে এটা স্বাভাবিক একটি বিষয়। আপনার বিগত পোস্টেও বুঝতে পেরেছিলাম আপনার ছেলে সবসময়ই ব্যস্ততার মাঝেই দিন পার করে। আপনার এক ভাগ্নির ইউটেরাস ক্যান্সার হয়েছে। শুনে খুব খারাপ লাগলো বর্তমান সময়ের মহিলা মানুষরা এই জরায়ুর সমস্যায় বেশি ভুগতেছে। দোয়া করি উনি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিকই বলেছেন যে, ইদানীং মেয়েরা ইউটেরাসের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগতেছে। তবে অনেক সময় একটু সচেতন হলে কিছুটা হলেও এমন দূর্ভাগ্যজনক জিনিস এড়ানো সম্ভব হয়। যেমন, ইনজেকশন নিলে জরায়ুর ক্যানসার হওয়ার সম্ভবনা থাকে না। কিন্তু আমরা অসেচতন। যার কারনে সমস্যা হয়।
আপনার মন্তব্য পরে খুব ভালো লাগলো। এতে সুন্দর করে একটা মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো এবং সুস্থ থাকবেন সবসময় শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম সত্যি জীবনটা অনিশ্চিত কখন কার কি হবে এটা বোঝা খুব মুশকিল তবে আমাদের প্রার্থনা করছি, আপনার ভাগ্নি কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠুক।
বাবা-মা সবসময় প্রস্তুত থাকে সন্তানরা কোন খাবারটা বেশি পছন্দ করে।
এটা শোনার জন্য। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটা দিন কেটেছে আপনার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জীবন আসলেই খুব অনিরশ্চিত।কার যে কখন কি হবে সেটা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না।
ঠিকই বলেছেন যে, মায়েরা যদি শুনে তার সন্তান কিছু খেতে চায় তাহলে যাতই তার কস্ট হোক না কেন সন্তান এর চাহিদা পূরনের জন্য আপ্রান চেষ্টা করে।
ভালো লাগলো আপনার সুন্দর একটা মন্তব্য পড়ে।
এত চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক সুন্দর করে আপনার দিনলিপি তুলে ধরেছেন। আমার ছোটবেলায় রুম থেকে একা বের হতে খুব ভয় লাগতো। তখন আম্মুকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে রুম থেকে বের হতাম। আপনার পোস্ট পড়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit