Better Life With Steem | The Diary game 27, December , 2024 |

in hive-120823 •  last month  (edited)

green pink simple photo collage (2).png

Edited by Canva

রাতে ননাসের বাড়িতে ছিলাম কিন্তু ঘুম হয় নাই ভালো কারণ একেতো নতুন জায়গা আর তার সাথে প্রায় সারা রাতই গান চলেছে পাশে কোথাও।এতে ঘুম ভালো মতো না হলেও বিষয়টা ভালোই উপভোগ করেছি আমি। কারণ শীতকালে এমন রাতভর গানের আসরের কথা অনেকবারই আমার হাবির মুখে শুনেছি আমি কিন্তু কখনো শোনা হয় নাই।

সকালে উঠে জানতে পারলাম যে আপার বাড়ির পাশেই পরশ বয়াতির বাড়ি। পরশ বয়াতি জীবিত নেই তবে তার বাড়িতে গানের আসর এখনো বসে। আসলে এটা আমাদের গ্রাম বাংলার একটা প্রায় হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য। আগে মানুষের বিনোদনের তেমন একটা সুযোগ ছিল না তখন এধরনের গানের আসর বসতো গ্রামে গ্রামে। কিছুদিন পরেই হয়তো আর এই গ্রামেও এধরনের গানের আসর আর হবে না। এধরণের গান শোনার মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ধরণের ডিভাইসের অত্যাচারে।

green pink simple photo collage (1).png

সকালে উঠার পরে আপা বলেছিলো নাস্তা তার বাসায় নাস্তা করতে কিন্তু আমাদের আগে থেকেই বাড়িতে গিয়ে নাস্তা করার কথা ছিল। আর তাছাড়া আপা নিজেও ঢাকা থেকে দুইদিন আগেই বাড়িতে এসেছে যার কারণে তার বাসায়ও ঐভাবে খাওয়ার কোনো আয়োজন নেই। অবশ্য বাড়িতেও এতগুলি মানুষের নাস্তা বানানো হবে না। বাইরে থেকে কিনেই আনা হবে।

আপার বাড়ি থেকে বের হবার পরই রাস্তার উপর কয়েকটা কুকুর চোখে পড়লো যারা রোদের মাঝে শুয়ে আছে। ঢাকার তুলনায় গ্রামে বেশ ঠান্ডা। রাস্তায় বের হবার সাথে সাথে হাসবেন্ড বললো যে চলো মামীর সাথে দেখা করে বাড়িতে যাই। মামীর বাড়িতে ঢুকতেই আটকে গেলাম। তারা নাস্তা না করে বের হতে দিলো না। আমরা নাস্তা শেষ করার আগেই আমার হাসবেন্ড এর ভাইয়ের মেয়ে ও তার জামাইও চলে আসলো ওই বাড়িতে। সেখানে সবাই এক সাথেই নাস্তা করে নিলাম। এরপরে আরো কয়েকটা আত্মীয় -স্বজনের বাড়িতে ঘুরতে ঘুরতে নিজেদের বাড়িতে গেলাম।

green pink simple photo collage.png

সেখানে পৌঁছে দেখি জন্মদিনের আয়োজন চলছে। একদিকে দুপুরের রান্না হচ্ছে আরেক দিকে বেলুন লাগানো হচ্ছে। একটা মজার জিনিস চোখে পরলো যে ,বেলুনগুলো নিচে লাগানো হয়েছে সেগুলোকে কোথায় থেকে যেন একটা বিড়াল এসে একটু পর পর নখ দিয়ে ফাটিয়ে দিয়েই দৌড় লাগায়।
আস্তে আস্তে বাড়িতে লোকজন আসা শুরু করে দিলো। আসলে খুব কাছের কয়েকটা পরিবারের মানুষ ছাড়া কাউকে বলা হয় নাই তারপরও ভালোই মানুষ হয়ে গেছে। দুপুরের খাওয়া শেষ করার পরে কেক কাটার অনুষ্ঠানও শেষ হয়ে গেলো।

IMG_8667[1].JPG

এদিকে আমি একটু টেনশনে ছিলাম কারণ রাতে আমাদের ঢাকাতে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত রয়েছে। দ্রুত বের হতে না পারলে সেখানে যাওয়া সম্ভব না। যদিও এখন মনে হচ্ছে যে আজকেও আমাদের ঢাকাতে যাওয়া সম্ভব হবে না। কারণ আমার হাসবেন্ড আরেকটা অনুষ্ঠানে গিয়ে আটকে আছে সন্ধ্যা থেকে।
সে বাসায় আসতে আসতে রাত এগারোটার বেশি বাজিয়ে দিলো । তাই আজকের রাতটাও আমরা গ্রামেই রয়ে গেলাম। কথা হলো আগামীকাল যতটা সম্ভব দ্রুত বের হয়ে ঢাকার পথে রওনা দিব। কারণ আগামীকাল দুপুরেও আমাদের একটা বৌভাতের অনুষ্ঠানে যেতে হবে।

আজকের রাতেও আমরা আপার বাসাতেই ঘুমাবো বলে সিদ্ধান্ত নিলাম। আমার ও আমার ছেলেদের অবশ্য বাড়ির দোতলার উপরই থাকার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু কেউ আমাদের এই ইচ্ছতে মত দেয় নাই কারণ উপরে অনেক ঠান্ডা। বাড়ির পাশেই খাল থাকার কারণে ও সাথে উপরে বিভিন্ন ফাঁকা জায়গা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস ঢুকে ঘরকে আরো ঠান্ডা করে তোলে। তাই কিছুটা মন খারাপ নিয়েই আপার বাসায় গিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।



Thank You So Much For Reading My Blog

HfhigaP72YBd6w1Kgyw9eMoDygDx869D1PKa6jG8D9C9MQ5rA8UuUvaGRermEeDs8YYv1jb4TX4QUAAbRoaAJFmmUaGZUojU1gWvH66zbc...wdYfZe5zwHZgv7fSFyfX5YWvwFGCJXq8EuycKeaUaXARJjpb61mUGxLAjp1XsJ6PQbzF28Bu6LQTgryC3MSekzsBvnPpE3TAcMAMTMQbf9uvFuTHezySGMDKr6.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আসলে আমরা যখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গিয়ে থাকি তখন আমাদের ঘুম তেমন একটা ভালো হয় না আমারও এমন হয়ে থাকে আপনার খেতেও ঠিক তাই হয়েছে গ্রামের মধ্যে জন্মদিন পালন করেছেন যেটা দেখে বেশ ভালো লাগছে।

পরিবারের সবাই মিলে এক জায়গায় হলে একটু ব্যস্ততা একটু হাসি ঠাট্টা সব কিছুই লেগে থাকে তবে আপনাদের যেহেতু ঢাকায় আবার একটা বিয়ের অনুষ্ঠানের দাওয়াত রয়েছে সেখান থেকে আপনাদেরকে আবার ঢাকায় পৌঁছাতে হবে তাই আপনি একটু টেনশনে রয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।