আমরা হেঁটে চলে বেড়াতে পারছি, প্রকৃতি তথা প্রিয়জনদের চাক্ষুষ করতে সক্ষম হচ্ছি, আমরা নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে পারছি;
এগুলো যেমন শারীরিক সুস্থতার লক্ষণ, তেমনি মানসিক সুস্থতার কিছু মাপদণ্ড রয়েছে বলে আমি তথা মানসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
আজকে এই বিষয়টি তুলে ধরার কারণ, আমরা নিজেরা বুঝতে পারি যদি শারীরিক কোনো সমস্যায় আমদের পড়তে হয়।
তবে, অনেকাংশে মানসিক অসুস্থতা নিজেরা অনুভব যতটা না করতে পারি, সামনের মানুষগুলো তার চাইতে অনেক বেশি সেই অস্বাভাবিক আচরণ অনুভব করতে পারে।
অস্বাভাবিক আচরণের কিছু লক্ষণ যেগুলো অনেকের মধ্যে থাকলেও তারা তথা তাদের কাছের মানুষরা অনেক সময় বুঝতে অক্ষম!
পরিচিত কারোর মন খারাপ, কান্না অথবা যন্ত্রণায় আনন্দ পাওয়া!
অন্যের দুর্বলতা জেনে সেটা নিয়ে সমালোচনা এবং সুযোগ পেলেই ক্ষতি করবার সুযোগ খোঁজা!
যখন যেটা প্রয়োজন সঙ্গে সঙ্গে সেটার উপস্থিত করতে হবে, নইলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া!
সবটা নিজের করে আকড়ে রাখা, এবং নিজের মতো করে সকলকে পরিচালিত করবার প্রবণতা!
আমি, আমাকে, সর্বাগ্রে প্রাধান্য দেওয়া।
মানুষের বিশ্বাস, ভরসাকে আত্মস্বার্থে ব্যবহার করে মুখ ঘুরিয়ে নেওয়া!
আরেক ধরনের মানসিক বিকার আছে, যেখানে মানুষ সকলকেই সন্দেহের নজরে দেখে এবং সবটা নিজের আয়ত্তে রাখতে চায়!
এই সকল মানুষ কেবলমাত্র নিজের ভালোলাগা কাজ করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে, অন্যরা বাধা দিলে বিরক্ত হয়!
চুপচাপ শান্ত স্বভাবের বাহ্যিক আচরণ হলেও, মনে সবসময় ফন্দি চলতে থাকে!
এই যে কথাগুলো লিখছি, এর বেশ কিছু বাস্তব ঘটনা বিশ্বের ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করা আছে।
এদের মধ্যে নেতিবাচক চিন্তা তথা কর্মকাণ্ড দেখতে পাওয়া যায়, যখনই এদের কেউ বিরুদ্ধচারণ করে!
এখন মানসিক ভারসাম্যের নিরিখে ক্ষতির পরিমাণ এবং ধরন নির্ভর করে।
ছোটো থেকে মানসিক ব্যাধি কতদূর যেতে পারে তার কিছু বাস্তব উদাহরণ দিচ্ছি।
মানসিক বিকার এর সূত্রপাত বংশগত হতে পারে, শৈশবের কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা হতে পারে, আবার পারিবারিক পরিবেশ দায়ী হতে পারে।
মাত্র আট বছরের একজন সিরিয়াল কিলার এর কথা এখানে উল্লেখ করবো, যে একটি দুটি নয় চারটির বেশি খুন করেছে ওই বয়সে!
অবাক লাগছে না শুনতে?
একদম সত্যি কথা, এবং ধরা পড়ার পরে, সে প্রতিটি জায়গায় পুলিশকে নিয়ে গিয়ে দেখিয়েছিল যেখানে সে সেই শিশুদের মাটিতে পুঁতে রেখেছিল।
সূত্রপাত, এই ছেলেটি মা বাবার প্রথম সন্তান, এবং এরপর সেই ছেলেটির একটি বোন আসে পৃথিবীতে।
একদিন এই পরিবারের এক আত্মীয় আসে তাদের বাড়িতে যাদের একটি ছয় মাসের শিশু ছিল, এবার ছেলেটির উপরে শিশুদের দায়িত্ব দিয়ে বাড়ির দুই মহিলা কাছের মন্দিরে যায়;
এই ফাঁকে শিশুটি কান্না শুরু করে, এবং এই কান্না ওই আট বছরের শিশুকে বেশ আনন্দ দেয়, তাই শিশুটির গলা চেপে ধরে, এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই কান্না থেমে গেলে, ছেলেটি বুঝতে পারে শিশুটি মারা গেছে।
বাড়ির থেকে একটু দূরে মাটির নিচে চাপা দিয়ে বাড়ি ফিরে আসে, এরপর তার খুনের ইচ্ছে বাড়তে থাকে এবং পরের শিকার হয় তার নিজের বোন, এমনি করে মন্দিরে শুয়ে থাকা একটি শিশু তার এই বিকৃত মস্তিষ্কের শিকার হয়!
আশ্চর্যের বিষয় ছেলেটির মা বাবা বুঝতে পেরে গিয়েছিল কাজগুলি তাদের একমাত্র পুত্রের কিন্তু তারা বিষয়টি নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয় নি?
যাইহোক, অবশেষে ধরা পড়লে নাবালক বলে তার শাস্তির বিধান হয় প্রাপ্ত বয়স্কদের চাইতে কম, এবং বর্তমানে কেউ জানে না, জেল থেকে বেরিয়ে কোন নামে সমাজে এই ব্যাক্তি ঘুরে বেড়াচ্ছে! এখন কিন্তু সে আর আট বছরের নয়!
এরপর, আরেকটি বিষয়, একটি শান্ত পুরুষ যে মানুষের বিপদে ঝাপিয়ে পড়ে, প্রতিবেশী এক্ বাক্যে তাকে বিশ্বাস করে কারণ, অনেকেই চাকরি করতে সারাদিন বাইরে যায়, আর ছেলেটি বেকার বলে, সকলে নিজেদের ব্যাক্তিগত কাজ করিয়ে নেয় ছেলেটিকে দিয়ে, কিছু অর্থের বিনিময়ে।
ফলস্বরূপ, প্রতিবেশীদের সব ঘরেই তার অবাধ বিচরণ ছিল।
এরপর, শুরু হয় মৃত্যুর মিছিল, কিন্তু ভুলেও কেউ বুঝতে পারেনি, বা বলা যায় সন্দেহ করেনি এত নম্র, শান্ত এবং পরোপকারী ছেলেটি এতগুলো খুন করতে পারে!
একটি এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়ে সিসিটিভিতে তার কানের দুল এর ঝাপসা ছবি পুলিশের চোখে পড়ে;
পুলিশ এমনিতেই মৃত ব্যক্তিদের ব্যাংক ডিটেইলস এর উপরে চোখ রেখেছিল, এবং তারপর যখন সেই খুনি ধরা পরে, তার খুনের বিবরণ গায়ে কাঁটা দেবার মতো।
এগুলো, মানসিক ব্যাধি, এবং এই ধরনের অস্বাভাবিক আচরণ অনেকের মধ্যে দেখা গেলেও আমরা বিশেষ আমল দিয়ে থাকি না, আর এখানেই আমরা ভুল করে থাকি।
রাস্তায় হোক, ঘরে অথবা কোনো রেস্টুরেন্টে সব সময় সচেতন হয়ে পথ চলবেন, এবং কোনো পরিচিত ব্যাক্তির আচরণ অস্বাভাবিক মনে হলে দূরত্ব বজায় রাখবেন।
You have written upon a very important topic ma'am. A majority of people are suffering less or more from ill mental health. I think almost everyone at any stage of his/her life feels anxiety or depression like things. Great to read your thoughts on such an important topic.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Take my big hug 🫂🤗 and love 😘 for this encouraging support my dear friend @eliany.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit