হ্যালো বন্ধুরা, আজকে আমি আপনাদের মাঝে সময়ানুবর্তিতার গুরুত্ব নিয়ে লিখতে শুরু করলাম। সময়ানুবর্তিতা বলতে সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করে যাওয়া। আমাদের জীবনে সবাই আমরা সফল হতে চাই।
Source
আর সফলতার জন্য যে সমস্ত গুণ থাকা আবশ্যক তার মধ্য সময়ানুবর্তিতা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পৃথিবীতে একটিমাত্র মূল্যবান জিনিস যা একবার ফুরিয়ে গেলে তার পুনরায় ব্যবহার করতে পারি না।
আমরা সবাই জানি সময়ের গুরুত্ব অপরিসীম। একবার সময়ের সদ্ব্যবহার না করতে পারলে তার পুনরায় ব্যবহার করা যায় না। সময়ের কাজ সময়ে করলে জীবন সার্থক ও সুন্দর হয়।
সময়ের বৈশিষ্ট্য
সময়ের প্রবাহমানতা সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য। আমরা সবাই জানি, সময় পানির স্রোতের মতো প্রবাহমান। একই জলপ্রবাহে যেমন দুইবার গোসল করা যায় না, তেমনি আমাদের জীবনে একই সময় দুইবার পাওয়া যায় না।
Source
আমাদের পৃথিবীতে কোন শক্তির সময়কে ধরে রাখার মত ক্ষমতা রাখেনা। একটি কথা মনে রাখবেন নদীর জল ভাটির টানে চলে গেলেও আবার জোয়ারে ফিরে আসে। কিন্তু সময় আর কখনো ফিরে আসেনা।
সঠিক সময়ে সঠিক কাজগুলো করতে না পারলে অসময় শত প্রচেষ্টা ও সমর্থ হয়না। আমাদের গ্রাম অঞ্চল একটি কথা আছে সময়ের একফোঁটা এবং অসময়ের দশ ফোঁড়।
মানব জীবনে সময়ের গুরুত্ব
আমরা সবাই জানি আমাদের পৃথিবীতে মানব জীবন, অতি ক্ষুদ্র একটি জীবন। আমাদের এই স্বল্প আয়ু জীবন প্রতিটি মুহূর্তই মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ। কেননা পৃথিবীতে একটি মানুষের অস্তিত্ব অতি সামান্য সময়।
Source
তাই আমাদের সবার উচিত জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত সর্বোত্তম ব্যবহার করা। আমাদের মানব জীবনে যে ব্যক্তি সময়ের কাজ সময়ে করে তাঁর জীবনে কোন বিড়ম্বনায় পড়ে না। তাই আমাদের সবার উচিত কোনো কাজ ফেলে না রেখে সেই কাজটা তাৎক্ষণিক করা।
আমরা যদি আমাদের জীবনকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করি। তাহলে দেখা যাবে আমরা শুধু অধিকাংশ সময়ে গল্পগুজব, আড্ডা, মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকি। বলা যায় জীবনের অধিকাংশ সময় ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে পার করে থাকি।
সময়নিষ্ঠা ব্যক্তি
একজন সময়নিষ্ঠা ব্যক্তি জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে থাকেন। সময়ানুবর্তিতা আমাদের কাজের প্রতি নিজেকে অতি উৎসাহিত করে থাকে।
Source
একজন সচেতন নাগরিক সময়ের সঠিক গুরুত্ব কি তা বোঝেন, তাই তিনি সময়ের সদ্ব্যবহার করতে পারেন। আমাদের এই পৃথিবীতে যে সমস্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিগন রয়েছেন। তাদের জীবনী পড়লে, তারা সময়ের প্রতি কতটা সচেতন ছিলেন তা বোঝা যায়।
বিভিন্ন বিজ্ঞানি, ডক্টর, দার্শনিক, শিল্পী তাদের অনেক গুণের মধ্যে সময়ানুবর্তিতা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের সবার উচিত সময়ের গুরুত্ব দেওয়া।
ছাত্রজীবনের সময়ানুবর্তিতা
আমাদের ভবিষ্যৎ কতটা ভালো হবে তা নির্ভর করে আমাদের ছাত্র জীবন উপর। আমাদের ছাত্র জীবনের ভবিষ্যৎ অনেকটা ফলের বীজ বপনের মতো। এই সময় যে যেমন ভাবে জীবন গড়ে তুলবে তার ভবিষ্যৎ ততটাই উন্নত হবে।
আমাদের এই সময়ে সময়ানুবর্তিতা সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। আমাদের একটি বিষয় মনে রাখতে হবে সময়ের সদ্ব্যবহার যে করতে জানে না, সে কোনো কিছুতেই কৃর্তকার্য হতে পারে না।
যে সময়ানুবর্তিতা মেনে চলে না তার অভাব ও ব্যর্থতা তার পিছু ছাড়ে না। আমাদের কয়েকটি বিষয় লক্ষ রাখলে সময়ে সঠিক ব্যবহার করতে পারবো।
প্রথমত লক্ষ্য স্থির করতে হবে। মনে রাখতে হবে লক্ষ্যহীন মানুষ সময় অপচয় করে।
দ্বিতীয়ত তার কাজ গুলোকে তালিকাভুক্ত করা এবং সে অনুযায়ী কাজ করে যাওয়া।
প্রতিটি কাজ শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ করা। এতে সময়ের অপচয় করার প্রবণতা কমে যাবে।
কি পরিমাণ সময় হাতে আছে সে অনুযায়ী কাজ করা।
যে ব্যক্তি সময়ের গুরুত্ব দিতে জানেনা, সে জীবনে সাফল্য লাভ করতে পারে না। আমাদের সবার জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে সময়ের গুরুত্ব দিতে হবে আগে।
Source
আমাদের পৃথিবীতে যত সফল মানুষ আছে তাদের সাফল্যের রহস্য হচ্ছে সময়ানুবর্তিতা। মনে রাখতে হবে কোনো মানুষই গুণের আধার হয়ে জন্ম নেয় না। মানুষ সফল হয় তার ক্রমাগত চেষ্টা ও কঠোর অধ্যবসায়ের মধ্যে দিয়ে।
আমাদের জীবন অনেক ছোট কিন্তু কাজের পরিধি অনেক। তাই আমাদের এই অতি সামান্য সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত শীর্ষে আরোহণ করতে হলে, যথাযথভাবে সময়কে কাজে লাগাতে হবে।
আমাদের শিক্ষক প্রায় একটি কথা বলতো, যে কৃষক যথাসময়ে বীজ বপন করে না, সে কেমন করে পাকা ফসল ঘরে তুলবে। তেমনি যে ছাত্র নিয়মিত পড়াশোনা করে না, সে কি করে কৃর্তকার্য হবে।
কাজেই এই কথা আমাদের মানতেই হবে যে আমাদের সময়কে অবহেলা করা মোটেই ঠিক না। তাই বলি সময়ের কাজ সময়ে করুন সুন্দর ক্যারিয়ার গঠনে ভূমিকা রাখুন।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমার লেখা এখানে শেষ করবো। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।