আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমি আজকে আবারও চলে আসলাম আমার সারাদিনের কার্যক্রম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনারা অনেকেই জানেন যে পরীক্ষার কারণে আমি সবকিছু থেকে একটু বিরতিতে ছিলাম। স্টিমিট প্লাটফর্মেও কাজ করা হয়নি। শুধু তাই নয় প্রায় অনেক কিছু থেকেই বিরতিতে ছিলাম। তো এখন পরীক্ষা শেষ। এজন্য একটু হাওয়া বদলের জন্য শেরপুর বন্ধুর বাসায় যাবো বলে ঠিক করি।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠবো ভাবার পরেও প্রায় ৯.০০ টা বেজে যায়। বন্ধু একটি কাজে ঢাকা আসছে। তাই আমার মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকা যেতে হবে। তারপর তার সাথে ঢাকা থেকে শেরপুর যাবো এই হচ্ছে প্লান।
ঘুম থেকে উঠে, গোসল করে তৈরী হয়ে নিলাম। ব্যাগে কাপড় গোছাতে গোছাতে মা কে বললাম সকালের নাস্তা দিতে। সকালের নাস্তা হিসেবে ছিলো ছাতু। আপনারা যারা ছাতু খেয়েছেন তারা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না কেমন লাগে এই খাবারটি। আমার তো খুবই মজা লাগে। বিশেষ করে গুড় এবং কলা দিয়ে মিশিয়ে খেতে।
খাবার খেয়েই ১০ টার দিকে রওনা দিয়ে দিলাম বাসা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে। বরাবরের মতই বাসা থেকে বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত রিকসায় আসতে হয়। কিন্ত সারা বাংলাদেশে গত দুদিন ধরে অনেক বৃষ্টিপাত হচ্ছিলো। রিকসায় আসতে আসতেও হালকা ভিজে গিয়েছিলাম। বাস স্ট্যান্ডে এসে দেখি যে বাসে আমি সাধারণত ঢাকা যাই সেই বাস নেই। একটু তাড়াও ছিলো। তাই লোকাল একটা বাসে বাধ্য হয়েই উঠে পড়ি। ১০.১৫ এর দিকে বাসে উঠি। ১.৩০ ঘন্টার রাস্তা। কিন্তু বৃষ্টির জন্য এবং বাসের বাজে সার্ভিসের জন্য আমার পৌঁছাতে প্রায় ১ টা বেজে গেলো।
ফ্রেন্ডের ফোন দিয়ে তোলা
বন্ধুর কাজও মোটামোটি শেষ হয়ে গিয়েছিলো। এরপর সে আমাকে তার অফিস দেখাতে নিয়ে যেতে চাইলো। আমিও না করলাম না। তার সাথে সেখানে গেলাম এবং সেখানেই খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো আমাদের জন্য। অফিসটি দেখে আমি আসলেই মুগ্ধ হয়েছি। খুবই সুন্দর ছিলো। আর বন্ধু সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলো। এসব ব্যস্ততার কারণে সেখানে ছবি তোলার কথা মনেই ছিলো না। একটু পর বন্ধু এর কলিগের সাথে একটা মার্কেটে যাই তার মোবাইল সার্ভিসিং এ দেওয়া ছিলো সেটি আনতে।
এসব করতে করতেই প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায়। আমাদের বাস ছিলো বিকাল ৫.৩০ এ। কিন্তু কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে শুনি আরও সময় লাগবে। এর মধ্যে বন্ধুর অফিসের একজন এর প্রমোশন হয়েছে বলে সে আমাদের ট্রিট দিতে চায় বলে জানালো। প্রথমে রাজী না হতে চাইলেও সে যেনো নাছড় বান্দা। পরে আমরা বললাম কিছু স্নাক্স কিনে দিতে যেনো বাসে বসে খেতে পারি। তাই করলো।
তারপর বাসের জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম। ৫.৩০ এর বাস আসলো ৭ টারও পরে। অনেকটা বিরক্তি নিয়েই বাসে উঠলাম। ঢাকার জ্যাম ছাড়াতেই লাগলো আরও অনেক সময়। যাহোক বাসের মধ্যে বসে খাবার গুলো খেলাম। একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছিলো। খাবার খেয়ে বিরক্তিটা চলে গিয়েছিলো। ২ বন্ধু গল্প করতে করতে যখন শেরপুর পৌঁছালাম তখন ঘড়িতে ১২.৩০।
সারাদিনের অনেক জার্নি শেষে বাসায় ঢুকে মনে হচ্ছিলো যেনো এখনই ঘুমিয়ে যাবো। সাথে আবার ক্ষুধাও লেগেছিলো। সাধারণত আমি যতটুকু খাই তার চেয়ে বেশীই খেয়ে ফেললাম। ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়া মাত্রই যেনো ঘুমের সাগরে তলিয়ে গেলাম।
এভাবেই আমার গতকালকের দিনটি কেটেছিলো। পরবর্তী পোস্টে জানাবো শেরপুরে আমার দিন কেমন কাটছে। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আপনার দিনটি অনেক সুন্দর কেটেছে। আমরা সবাই চাই কিছু ভালো খাবার খেতে। আমরা সব সময় চাই সুন্দর একটা দিন অতিবাহিত করতে। তবে বন্ধুদের সাথে ঘোরার মত সুন্দর সময় কখনোই হতে পারে না। আপনার আগামী দিনগুলো সুন্দর ভাবে কাটুক। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit