Better Life with Steem|| The Diary Game|| 16th September 2024

in hive-120823 •  5 months ago 

IMG_20240916_112405.jpg

আসসালামু আলাইকুম

শেরপুরের ১ম দিন নিয়ে আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আগের পোস্টে বলেছিলাম বায়ু পরিবর্তনের জন্য শেরপুর এসেছি। এ শহরটা যেনো রিফ্রেসমেন্টের জন্য একদম যথাযথ। তো কথা না বাড়িয়ে সরাসরি চলে যাচ্ছি শেরপুরে ১ম দিনে আমার সারাদিনের কার্যক্রমে।

রাত ১২.৩০ এর দিকে বাসায় ফিরে ঘুমাতে ঘুমাতে প্রায় ২টা বেজে যায়। তাই উঠিও একটু লেট করে। প্রায় ১০ টার সময় ঘুম ভাঙে। উঠে ফ্রেশ হয়ে বসে আছি। এমন সময় বন্ধুর আম্মু বললো আজকে একটা মজাদার নাস্তা খাওয়াবে। যা আগে খাইনি। একটু পরেই খাবারটা নিয়ে আসলো। খাবারটা হলো এক ধরনের চিড়া, মাংসের ঝোল দিয়ে মিশিয়ে আনা হয়েছে। শেরপুরের স্থানীয় ভাষায় এটিকে বলে 'চালচিড়া'। সাধারণ চিড়ার থেকে অনেকটাই আলাদা এটি। একটু শক্ত শক্ত। এর বিশেষত্ব হলো একবার খাওয়ার পর আর সহজে ক্ষুধা লাগে না এবং এটি যথেষ্ট পুষ্টিকরও বটে।

IMG_20240916_103320.jpg

খাবার খাওয়ার পর বন্ধু বললো বাইরের প্রকৃতি দেখতে বের হবে। আমিও রাজী হয়ে গেলাম। বাসার পেছন দিকের একটি সরু রাস্তা দিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেলাম দারুণ এক জায়গায়। এ যেনো সবুজের সমারোহ। চারিপাশে সবুজ ধানক্ষেত আর প্রাণ জুড়ানো বাতাস। সেখানে আবার ছোট ছোট পুকুরের মতনও রয়েছে। মাছ চাষ করা হয়। সব মিলিয়ে প্রশান্তির ছোঁয়ায় সিক্ত হয়ে গেলাম।

IMG_20240916_112958.jpg

সেরকমই একটি পুকুরের পাশে ছোট একটি বেঞ্চে বসে থাকলাম অনেক্ষণ। বসে বসে ভাবছিলাম যে সৃষ্টিকর্তার কী অপরূপ সৃষ্টি। এই যে প্রশান্তিময় বাতাস যা আমরা ফ্রী তে পাচ্ছি তার সাথে কি কৃত্রিম এসির বাতাসের তুলনা চলে? কখোনই না। তো যাহোক। সেখানে প্রায় ২ ঘন্টা প্রকৃতি দর্শনের পর বাসায় চলে আসলাম।

এসে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। আন্টির হাতের রান্নাও অনেক ভালো। খুব মজা করে খাওয়ার পর একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম রোদটা একটু কমলে বিকালের দিকে বাইরে যাবো। প্রায় বিকাল ৪ টার দিকে আবার বেরোলাম এলাকা দর্শনে। এখানকার এলাকাটাও অনেক সুন্দর। বাসা থেকে বের হতেই দেখতে পেলাম একটি আচারের ভ্রাম্যমাণ দোকান। যদিও আমি আচারপ্রেমী না, তবুও দেখে আর লোভ সামলাতে পারলাম না। সব মিক্স করে আচার কিনে ফেললাম। খুবই মজার ছিলো। আমার বন্ধুকেও একটু দিয়েছিলাম। ঝালের কারণে তার চোখ দিয়ে পানি বের যায়। অথচ আমি কিছু টেরই পাইনি। আমি বরাবরই ঝাল খেতে খুবই ভালোবাসি।

2.jpg

এরপর হাঁটতে হাঁটতে গ্রামের ভেতর চলে যাই। সকল গ্রামেই মোটামোটি কমন কিছু বিষয় থাকে। সবুজ মাঠ আর গ্রামের রাস্তাটা। এখানেও সেরকম। একটা মাঠে বসে পুরো বিকালটা পার করে দিলাম। তারপর আবার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দেই। অনেক হাঁটাহাঁটির কারণে পিপাসাও লেগেছিলো। তাই বাসার কাছাকাছি এসে দেখি আঁখের রস বিক্রি করতেছে একজন। সেখান থেকে ঠান্ডা ঠান্ডা মিষ্টি এক গ্লাস রস খেয়ে নিলাম।

এরপর বাসায় চলে আসি। বাসায় এসে গল্প গুজব করতে করতেই দেখি রাত ১০ টা বেজে গেলো। আন্টি খাবার দিলো। রাতের খাবার খেয়ে দেয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলাম। আমার বন্ধু একজন ফ্রিলান্সার। কাজের কারণেই অনেক রাত জাগতে হয়। সহজে সে ঘুমায় না। তো ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলেও আবার গল্প করতে করতে মধ্যরাত পেরিয়ে ২টা বেজে যায় ঘুমাতে ঘুমাতে।

এভাবেই শেরপুরে আমার প্রথমদিনটি কেটে যায়। অনেক ঘোরাঘুরি বাকি এখনো। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

Thank You

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আমরা যখন রাতে দেরিতে ঘুমাই পরের দিন সকালে ঘুম থেকে জাগ্রত অনেক দেরি হয়ে যায়, অনেক সময় বিভিন্ন কারণে আমাদের রাত্রে ঘুমাতে ঘুমাতে অনেক দেরি হয়ে যায়, তবে রাত্রে একটু তাড়াতাড়ি ঘুমানো ভালো, সারাদিনের কার্যক্রম দেখে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

চাল চিড়া এটা শেরপুরের একটি বিখ্যাত খাবার এইটা আমি শুনেছিলাম। আমি কখনো এটা খাইনি। তবে আপনার দিনটা অনেক সুন্দর কেটেছে যা আপনার লেখার মাধ্যমে বুঝতে পারলাম। আশা করি আপনার আগামী দিনগুলো আরো সুন্দর কাটবে ধন্যবাদ।

দারুণ লেগেছে আপনার শেরপুরের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা! শহরের ব্যস্ততা থেকে বের হয়ে প্রকৃতির মাঝে রিফ্রেশমেন্টটা যেন সত্যিই প্রশান্তিদায়ক। "চালচিড়া" নামের খাবারটি বেশ ইন্টারেস্টিং শোনাচ্ছে, মাংসের ঝোল দিয়ে চিড়া মিশিয়ে খাওয়ার অভিজ্ঞতা আসলেই নতুন কিছু! এসির কৃত্রিম বাতাসের থেকে প্রকৃতির ফ্রেশ বাতাসের তুলনা তো করাই যায় না! আচারের মজার ঘটনাটাও বেশ মজাদার ছিল, আপনার বন্ধুর ঝাল খাওয়ার অভিজ্ঞতা শুনে হাসি পেয়ে গেল! আশা করছি পরবর্তী দিনগুলোও এরকমই সুন্দর হবে এবং আপনার অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করতে থাকবেন। শুভকামনা রইল ভন লেখছো ভায়া সেই হইছে!