Better Life with Steem|| The Diary Game|| 17th September 2024

in hive-120823 •  3 months ago 

IMG_20240917_162019.jpg

আসসালামু আলাইকুম

শেরপুরের ২য় দিনটিও আনন্দের সাথে কেটে গেলো। গতদিন বাসার আশে পাশের প্রকৃতি দেখেই পুরোটা সময় গিয়েছে। কিন্তু আজ আবার একটু দূরে যাওয়া হয়েছিলো। সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

সকালে ঘুম থেকে উঠে ফেশ হয়ে একটু মোবাইল চালাচ্ছিলাম। আজকেও আন্টি গতদিনের মতন চাল চিড়া খেতে দিয়েছিলো। কিন্তু আজ একটু অন্যভাবে। দুধ দিয়ে মিশিয়ে খেয়েছি। খুবই সুস্বাদু ছিলো সকালের খাবার। খাবার খাওয়ার পর বাইরে একটু ঘুরতে গেলাম। আজ অনেক বেশী রোদ উঠেছিল। তাই বেশীক্ষণ বাইরে থাকতে পারিনি। ঘরে এসে গোসল করে নেই। রাত জাগার কারণে সকালে উঠতে দেরী হয়। তাই দুপুরও তাড়াতাড়ি হয়ে যায়।

IMG_20240917_105504.jpg

যা হোক গোসল করে দুপুরের খাবার খেয়ে নেই। একটু রেস্ট নিয়ে ৩ টার দিকে বের হই শেরপুর পরিদর্শনে। বাংলাদেশে সব জায়গায় প্রচুর পরিমাণে রিকসা দেখা যায়। কিন্তু শেরপুরে রিকসা নেই বললেই চলে। প্রায় সবই ইজি বাইক/ অটো গাড়ি। সেগুলোতে করেই আমরা রওনা দিলাম। এখানে অটো গাড়ির ভাড়াও অনেক কম। প্রায় ৪-৫কি.মি. রাস্তা গিয়েও মাত্র ১০ টাকা ভাড়া ছিলো।

IMG_20240917_162020.jpg

প্রথমেই যে জায়গাটায় গেলাম সেটি ছিলো জি. কে পাইলট হাইস্কুলের সামনে। এটি শেরপুরের অন্যতম ঐতিহাসিক একটি স্কুল। এর পুরো নাম গোবিন্দ কুমার হাইস্কুল। খুবই পুরনো জমিদার আমলের স্কুল এটি। ১৯১৯ সালে নির্মিত হয়েছিল। সামনে একটি সুন্দর পুকুরও আছে।

সেখান থেকে চলে গেলাম এক বন্ধুর দোকানে। ওখান থেকে ওর মোটরসাইকেলে করে গ্রাম পরিদর্শনে বের হলাম। বাইক রাইড আমার বরাবরই ভালো লাগে। তারপর গ্রামের পরিবেশে বাইকে করে ঘুরতে যেনো আরও অনেক ভালো লাগছিলো। ঘুরতে ঘুরতে চলে যাই একটি নদীর কাছে। নদীর নাম মৃগী। ছোট একটি আঁকাবাঁকা বয়ে চলা নদী। সেটার পাশে বসেই কিছুক্ষণ আড্ডা জুড়ে দিলাম।

3.jpg

যখন সেখান থেকে ফেরার পথ ধরেছি দেখি যে কয়েকজন বসে গানের আসর করেছে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেই গানগুলো উপভোগ করছিলাম। আসলে এমন পরিবেশে গানগুলো শুনতে খুবই ভালো লাগছিলো। গান শোনা শেষে আরেক বন্ধুর সাথে দেখা হয়। তাকে নিয়ে আমরা মোট ৪ জন চায়ের দোকানে বসে আরও কিছুক্ষণ আড্ডা দিই।

IMG_20240917_173530.jpg

বাসায় আসার পথে শুনি পাশেই বৃক্ষমেলা বসেছে। তাই আর যাওয়া লোভ সামলাতে পারলাম না। পুরো মেলায় অনেকগুলো দোকান বসেছে যার প্রতিটিতেই রয়েছে হরেক রকমের গাছ। এর মধ্যে অনেক গাছেরই নাম জানিনা। সেখানে অবশ্য ট্যাগ দিয়ে লিখে রাখা আছে। আমার বাসা কাছে হলে অবশ্যই কয়েকটি চারা নিয়ে যেতাম।

IMG_20240917_201304.jpg

সেখান থেকে বন্ধু বললো তাদের শেরপুরের সেরা নান রুটি এবং গ্রীল খাওয়াবে। যেই কথা সেই কাজ। তবে সন্ধ্যা থেকে অনেক কিছুই একটু আধটু করে খাওয়া হচ্ছিলো। তাই খিদে নেই বললেই চলে। এজন্য স্টার কাবাবে গিয়ে খাবার গুলো পার্সেল করে নিলাম। বাসায় আসার পর ফ্রেশ হয়ে খাওয়া শুরু করলাম।

IMG_20240917_212404.jpg
খুবই মজাদার আর পরিমাণেও যথেষ্ট ছিলো। সাথে যে চাটনি দেওয়া হয়েছে তাও ছিলো সুস্বাদু। এত খাবার খেয়ে আর যেনো নড়ার শক্তি ছিলো না। অবশেষে ফ্রেশ হয়ে চলে গেলাম বিছানায় ঘুমানোর জন্য।

এভাবেই আমার আরেকটি দিন কেটে গেলো শেরপুরে। ধন্যবাদ সবাইকে পোস্টটি পড়ার জন্য।

Thank You

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কোন পুরাতন ঐতিহ্যবাহী স্থানে গেলে আমাদের খুব ভালো লাগে, পুরাতন স্কুলগুলো দেখতে অনেকটা অদ্ভুত মনে হয়, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার সময়টা খুব ভালো লাগে, আপনার সারাদিনে কার্যকর দিকে খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

Loading...

সকলে একসাথে মিলেমিশে থাকলে দিনটা যেন খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। সকলে মিলে যদি নতুন কোন জায়গায় যাই তাহলে আমাদের খুবই ভালো লাগে। সুন্দর লেখাটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার শেরপুরের ২য় দিনের অভিজ্ঞতা অসাধারণ! প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো, ঐতিহাসিক স্কুল পরিদর্শন এবং নদীর পাড়ে আড্ডা বেশ উপভোগ্য ছিল। গানের আসর আর বৃক্ষমেলার কথা শুনে খুবই ভালো লাগলো। খাবারেরও যেই আলোচনা করেছেন, তা নিশ্চয়ই দারুণ স্বাদে ছিল! আপনার লেখার স্টাইলও বেশ আকর্ষণীয়, এভাবে আরও অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে থাকুন। আশা করি, আগামী দিনে আরও সুন্দর অভিজ্ঞতা হবে! বন লেখস ভায়া সেই হইছে।