সকলের কি খবর? আশা করি ভাল আছেন। আমার আরেকটি দিনলিপি নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হলাম।
সময়গুলো কিভাবে যেন খুব দ্রুত চলে যাচ্ছে। এ কয়দিন আগেই না নতুন বছর শুরু হল। অথচ বছরের অর্ধেকের বেশি সময় শেষ হয়ে গেছে। এভাবে দেখতে দেখতে আমরা একদিন বুড়ো হয়ে যাব। পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যাব। পরবর্তী প্রজন্ম আসবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। ইচ্ছায় অনিচ্ছায় মেনে নিতে হয়।
আজ আমি আপনাদের সাথে আমার শুক্রবারের সারাটি দিন কেমন কেটেছিল তা সম্পর্কে শেয়ার করব। সকালে ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছা করছিল না। কেন জানি শরীরটা তুলনামূলক দুর্বলই লাগছিল। তবুও উঠে ফ্রেশ হলাম। একটু পরে আম্মু নাস্তা দিয়ে গেলো। খেয়েই পড়াশোনা করতে বসলাম।
এক নাগারে বেশ কিছুক্ষণ পড়াশোনা করার পর খুব একঘেয়েমি লাগছিলো। তাই ভাবলাম একটু ছাদে যাই। ছাদে যাওয়া মাত্রই রোদের ত্যাজ দেখে আর সেখানে দাঁড়িয়ে থাকার সাহস হলো না। যেহেতু শুক্রবার, মুসলিমদের পবিত্র দিন। এই দিনটিকে জুম্মাবারও বলে।তাই গোসল সেরে ফেললাম আযানের আগেই। একটু পড়ে আযান দিলেই তৈরী হয়ে মসজিদে চলে যাই। আমার মতন অনেকেই মসজিদে যাচ্ছিলো। আমাদের এলাকার মসজিদটি ৩ তালা। আমি বেশীরভাগ সময় ২য় তালাতেই বসি। ৩য় তলায় টিনের ছাদ দেওয়া। তাই যেদিন বেশী গরম পড়ে সেদিন ৩য় তলায় বসে থাকা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে।
শুক্রবার মানেই বাংলাদেশের ছুটির দিন। আর ছুটির দিনে বাসায় একটু ভালো মন্দ রান্না হয়। এই সপ্তাহেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আম্মু পোলাও, রোস্ট রান্না করেছিলো। মায়ের হাতের রান্না যেন অমৃত। মসজিদ থেকে বাসায় আসার সময় সফট ড্রিংস কিনে নিয়ে আসি। খুব মজা করে দুপুরের খাবার সম্পন্ন করি। এতটাই খেয়ে ফেলেছিলাম যে পরে নড়তে কষ্ট হচ্ছিলো।
তাই বাসার ভেতরেই একটু হাঁটাহাঁটি করি। কিছুক্ষণ পর বিছানায় শুতেই ঘুমিয়ে পড়ি। সকাল থেকে শরীরটা ভালো লাগছিলো না। কিন্তু দুপুরের কিছুক্ষণ ঘুমের পর দেখলাম ঠিক হয়ে গেছে। ফ্রেশ হয়ে সন্ধ্যার আগে আগে দিয়ে ছাদে গিয়ে কিছু সময় কাটাই। সন্ধ্যায় মাগরিবের আযান দিলে বাসায় চলে আসি।
ছোট ভাই বাইরে গিয়েছিলো একটু কাজে। আসার সময় স্পিড কিনে নিয়ে এসেছে। যদিও এত সফট বা এনার্জি ড্রিংস খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তবুও এক দিনে দুইবারই খেয়ে ফেললাম। আর গুরুপাক খাবারের পর যদি এসব না খাই তাহলে আমার কেমন যেন অস্বস্তি লাগে। আমার মামা একবার বলেছিলো যে, ''তুমি যদি দেখো কীভাবে এরা সফট ড্রিংস বানায় তাহলে আর কোনদিন খাবে না''। এই কথাটা মনে পড়লে ভয়ে মাঝে মাঝে খাওয়া বাদ দেই। কিন্তু আবার ঠিকই খাই।
এরপর আবার পড়তে বসে যাই। গরমকালে রাত অনেক ছোট হয়ে আসে। কারণ সন্ধ্যা নামে ৭ টার সময়। তাই কিছুক্ষণ পড়ার পর দেখলাম রাত ৯ টা বেজে গেছে। আম্মু রাতের খাবার খেতে দিলো। খেয়ে দেয়ে একটু মোবাইল দেখছিলাম। তারপর ঘুমিয়ে পড়ি। এভাবেই আমার আরেকটি দিন অতিবাহিত হয়ে যায়।
একদমই ঠিক কথা যে সময় কিভাবে যে যায় টেরই পাওয়া যায় না।মনে হয় এইতো সেদিন স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম।
কত মানুষকে চিনতাম আজ আর তাদের কেউ নেই। তাদের চেহারাও ভালো করে মনে পরে না।একটা সময় আমরাও এমন হবো ভাবলে খুব একটা ভালো লাগে না, অথচ এটাই স্বাভাবিক।
ভাষার সংস্করণ সবসময় চলতেই থাকে। আমরা যখন ছোট ছিলাম,তখন অনেক শব্দ ছিলো যেগুলো এখন শুনি না আবার এখন নতুন নতুন অনেক শব্দ শুনি। এরকমই একটা শব্দ সোশ্যাল মিডিয়ায় কল্যানে সবজায়গায় ছড়িয়ে পরেছে , আর সেটা হলো জুম্মাবার।অথচ কয়েক বছর আগেও এটা ছিলো না।
শুক্রবার ভালো খাবার রান্না করাটা প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই প্রচলিত।
এসব কোল্ডড্রিংকস না খেতে পারলেই সবচেয়ে ভালো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Hola apreciado amigo. Así como tú también me parece que el tiempo ha transcurrido muy rápido parece mentira que ya estemos a mitad de año. Que bueno que te dediques a estudiar y que aunque tengas ese sentimiento de desgano y pereza, te levantes y decidas empezar tu día. Bendiciónes y éxitos para tí
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you so much for your lovely comment.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে মায়েদের হাতের রান্না খেতে আসলেও রাখতে সুন্দর লাগে, এমন কোন ছেলে মেয়ে নেই যে তারা মায়ের হাতের রান্না খেতে পছন্দ করে। আরে মায়ের হাতের রান্নার ভিতরে অনুভূতি তাই অন্যরকম। যাইহোক আজকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit