আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আপনাদের মাঝে আবারও চলে এলাম আমার দিনলিপি নিয়ে।
সকালবেলা কারেন্ট চলে যায়। এই তীব্র গরমে কারেন্ট চলে গেলে যেন এক অস্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি হয়। সকাল সাড়ে ছয়টার সময় কারেন্ট চলে যায়। কারেন্ট যাওয়ার পরপরই গরমে আমার ঘুম ভেঙে যায়।
এরপর আমি বিছানা থেকে উঠে পড়ি। গোসল সেরে নেই। গোসল করে যেন এক অন্যরকম শান্তি অনুভব করলাম। এরপর আবার ডিউটিতে যাওয়া আরো অনেক সময় বাকি আছে। তাই আমি বাইরে বসে বসে মোবাইল টিপতে থাকি। বাইরে একটু বাতাস ছিল। তাই ভালোই লাগছিল।
৭ঃ৪০ এর দিকে রুমে ঢুকে ডিউটিতে যাওয়ার জন্য রেডি হই। এরপর ৭ঃ৫০ এ রুম থেকে বের হই। জাহিদ ভাই সহ ইন্ডাস্ট্রিতে চলে যাই। সকালবেলায় যে পরিমাণ রোদ উঠেছে, ছাতা মাথায় দিয়ে যেতে হল।
কিউসি রুমে কিছুক্ষণ বসে থেকে শপথ বাক্য পাঠ করা হলে আমি সেকশনে চলে যাই। সেকশনে গিয়ে দেখি অন্যান্য দিনের চেয়ে আজকে একটু হলেও কাজ আছে। সবাই কাজ করতেছে। আর সেখানে একটা প্রোডাক্ট চলতেছে যেটি ছিল আমাদের চেয়ারম্যান ম্যাডামের।
তাই আমি সেই প্রোডাক্টগুলো ভালোভাবে চেক দেই এবং সেখানকার কিছু খারাপ প্রোডাক্ট বাদ দেই। ম্যাডামের এই প্রোডাক্টে কোন প্রকার খারাপ প্রোডাক্ট দেয়া যাবে না। তাই করা নজরদারি রাখতে হবে।
সেখানে কিছুক্ষণ থেকে আমি নয়টার দিকে ক্যান্টিনে চলে যাই সকালের খাবার খাওয়ার জন্য। ক্যান্টিনে গিয়ে আমি খিচুড়ি আর ভাজি নেই। খিচুড়ির সাথে এই ভাজিটি আমার অনেক ভালো লাগে। খাওয়া শেষ করে আবারো সেকশনে চলে আসি।
দেখি যে ম্যাডামের ওই প্রোডাক্ট এর ব্যাকস্টাম্পের কিছু সমস্যা আছে। এরপর আমি সেখানকার সুপারভাইজার কে বিষয়টি জানাই। এরপর তিনি দুইজন লোক লাগিয়ে দেয় সবগুলো প্রোডাক্ট চেক দেওয়ার জন্য।
তারা চেক দিয়ে দিয়ে খারাপ ব্যাকস্টাম্প ওয়ালা প্রোডাক্টগুলো আলাদা করতেছে এবং সেখানকার ব্যাক স্ট্যাম্প গুলো তুলে ভালো ব্যাকস্টাম্প লাগিয়ে দিচ্ছে। তারপর আবার আমি চেক দিয়ে দেখলাম যে সব ঠিক আছে কিনা। দেখলাম যে সবকিছু ঠিকঠাক আছে এবার।
এইসব কিছু করতে করতে গরমের ঘামে আমার শরীর ভিজে গেছে। এবার সেখান থেকে বের হয়ে এসি রুমে গিয়ে বসি। সেখানে কিছুক্ষণ থেকে ঠান্ডা হই। এরপর আবারও সেকশনে চলে আসি।
সেই প্রোডাক্টগুলো আবারো দেখতে থাকি। দেখলাম যে সবকিছু ঠিকঠাক আছে। আর কিছু প্রোডাক্ট লাগালেই শেষ হয়ে যাবে। তাই আমি সেখানে থেকে সবগুলো যখন লাগানো শেষ হলো ,তখন সব দেখে সেখান থেকে বের হই।
রুমে কিছুক্ষণ বসে থেকে আমি লাঞ্চের জন্য বের হই। হোটেলে গিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নেই। দুপুরের খাবার হিসেবে ছিল মাছ তরকারি, আর ভাত। খাওয়া শেষ করে বাসায় চলে আসি। বাসায় কিছুক্ষণ থাকতে ই আবারো ডিউটিতে যাওয়ার সময় হয়ে গেল।
যে পরিমাণ গরম পড়েছে তাতে আর যেতে ইচ্ছে করছিল না। কি আর করার তাও যেতে হবেই। আবারও চলে গেলাম ডিউটিতে। সেকশনে গিয়ে দেখি এবার লোকাল প্রোডাক্ট ডিকেলস করতেছে।
তাই আর সেখানে বেশিক্ষণ না থেকে বের হলাম। এরপর রুমে চলে আসি। দেখি যে সবাই মিলে কিছু প্রোডাক্ট চেক দিচ্ছে। শুনলাম যে সেগুলো নাকি ম্যাডামের প্রোডাক্ট। এগুলোর মধ্যে অনেক পরিমাণ খারাপ প্রোডাক্ট পাওয়া গেছে তাই সেগুলো সব চেক দিতে হবে।
আমিও তাদের সাথে কাজে লেগে পড়লাম। চেক দিতে যেতে ডিউটি টাইম শেষ হয়ে যায়। কখনো মাত্র অর্ধেক চেক দেওয়া হয়েছে। বস বলল যে বাকি অর্ধেক কালকে এসে চেক দেওয়ার জন্য সবাইকে।
এইসব কাজের মাঝে আমার দৈনন্দিন রিপোর্ট করা হয়নি আজকে। কি আর করার ডিউটি টাইম শেষ হয়ে গেছে এখন আর আমি সেখানে থাকবো না। এরপর আমি বের হয়ে আসি।
অনেক গরম, তাই তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসি। এরপর কাপড় চেঞ্জ করে নেই। একটু পরেই আকাশ অনেক মেঘ করে। আর প্রবল বেগে বাতাস বইতে থাকে। গরমের মাঝে এই বাতাসের মাধ্যমে শরীর যেন প্রশান্তি লাভ করল।
আরেকটু পরেই শুরু হল বৃষ্টি। গরমের মাঝে এই বৃষ্টি দেখে ভিজতে ইচ্ছে করলো। তাই জাহিদ ভাই সহ দুজন গেলে ভিজলাম। বেশ কিছুক্ষণ বৃষ্টিতে ভিজি। হঠাৎ করে বৃষ্টিতে বেশি সময় ভিজলে আবার জ্বর আসতে পারে। তাই ভেবে তাড়াতাড়ি রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নেই।
এর মাঝে কারেন্ট ও চলে গেছে। বৃষ্টি হলেও তবু ও হালকা হালকা গরম লাগতেছে। জাহিদ ভাইয়ের চার্জার ফ্যানের বাতাস খাওয়ার জন্য তার রুমে যাই।বসে বসে বাতাস খাই আর ফোন টিপি।
সাড়ে আটটার দিকে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য হোটেলে যাই। রাতের খাবার হিসেবে ছিল ভাত, ডাল, আলু ভর্তা ও শুটকি ভর্তা। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবারও রুমে চলে আসি। এরপর মোবাইলটা হাতে নিয়ে পোস্ট লেখা শুরু করি।
এভাবেই আমার আজকের দিনটি অতিবাহিত হয়। আজকে এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
যা গরম পড়েছে, কারেন্ট চলে গেলে ঘুম এমনিতেই ভেঙে যাবে আর এটাই স্বাভাবিক। ভাজিতে যে পরিমাণ ঝোল রয়েছে আমার তো এটাকে তরকারি বলে মনে হচ্ছে। গরমের থেকে সোজা এসি রুমে গিয়ে বসলে শরীরের আরাম হয় কিন্তু শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই ঝোল ওলা তরকারিটাকেই সিলেটের লোকেরা ভাজি বলে। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এমনিতে প্রচন্ড গরম তারপর যদি কারেন্ট চলে যায় তাহলে সেটা কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেওয়ার মতো অবস্থা। যাই হোক সকালে কারেন্ট চলে যাওয়ার কারনে ঘুমাতে পারেন নি। অফিসে গিয়ে নিজের দায়িত্বগুলো পালন করলেন। প্রোডাক্টগুলো ঠিকঠাক আছে কিনা সেটা যাচাই করলেন যেটা অনেক নিখুঁতভাবে হওয়া দরকার।
অতিরিক্ত বৃষ্টিতে ভেজা ঠিক না নাহলে আবার শরীর খারাপ করতে পারে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যিই এই গরমে মানুষ একদম অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। বিশেষ করে সকালবেলা একটু যে শান্তিতে ঘুমাবো ওই সময় কারেন্ট চলে যায়। যাইহোক ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে অফিসে গিয়েছেন। আপনাদের অফিসে তো দেখি অনেক দায়িত্ব সহকারে কাজ করতে হয়। আসলেই গরমের মাঝে বৃষ্টি এলে সবকিছু একদম ঠান্ডা হয়ে যায়।
সারাদিনের খানিক মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit