আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আশা করি সকলেই অনেক ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। বৃষ্টি ভেজা দিনের গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে আজকে হাজির হয়েছি।
আজকে সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠেছিলাম সাতটার সময়। এরপর বৃষ্টির শব্দ শুনতে পাই। বাইরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অনেক ঠান্ডা। তাই এই ঠান্ডা আবহাওয়ায় বিছানা থেকে উঠতে ইচ্ছে করছিল না। আরো কিছুক্ষণ শুয়ে থেকে ৭:৩০ এর দিকে বিছানা থেকে উঠি।
আবহাওয়া যত খারাপই হোক না কেন ডিউটিতে তো যেতেই হবে। তাই উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হলাম। এরপর বড় ভাইয়ের সাথে তার ছাতা মাথায় দিয়ে ডিউটিতে যেতে থাকি। ছাতা মাথায় দেওয়ার পরও বৃষ্টির পানি গায়ে পড়তেছে বাতাসের কারণে।
জোরে হেটে হেটে ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুকে পড়লাম। এরপর পাঞ্চ করে সোজা কিউসি রুমে যাই। গা অর্ধেক ভিজে গেছে। তাই ফ্যানের মধ্যে কিছুক্ষণ শুকিয়ে নেই। এরপর প্রতিদিনের মতো শপথ বাক্য পাঠ করা হলো।
আজকে নাকি বায়ার আসবে ইন্সপেকশন করার জন্য। তাই আমাকে মাইক্রোওভেন নিয়ে যেতে হবে ডিসপ্লে রুমে। রুমে কিছু অপ্রয়োজনীয় মালামাল ছিল। সেগুলো ওয়্যার হাউজে দিয়ে আসলাম জাহিদ ভাই সহ।
এরপর আমি গাড়িতে করে মাইক্রোওভেন নিয়ে আসলাম। ডিসপ্লে রুমটি ছিল একটু বাইরে। আর বাইরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য আমরা একটা গাড়িতে করে সকল প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিলাম এবং উপরে প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দিলাম।
এরপর আমি ছাতা মাথায় দিয়ে গাড়ি ঠেলে সব নিয়ে যাই ডিসপ্লে রুমে। সেখানে সব দিয়ে আমি ক্যান্টিনে চলে যাই সকালের নাস্তা করার জন্য। ৯ টা ৩০ মিনিট এর মত বেজে গেছে। অনেক ক্ষুধা লেগেছে। তাই তাড়াতাড়ি করে দুটো পরোটা খেয়ে নিলাম।
এরপর আমি সেকশনে চলে আসি। সেকশনে এসে দেখি সবাই ঠিকমতো কাজ করতেছে। আর যে প্রোডাক্ট গুলো লাগিয়েছে সেগুলো সব ঠিকঠাক আছে। তাই আমি আর একটু ঘোরাঘুরি করে দেখলাম এবং একটু পরে কিউসি রুমে চলে গেলাম।
সেখানে একটু সময় থেকে আমি দুপুরের খাবারের জন্য বের হই। তখনো বাইরে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে। জাহিদ ভাই আর আমি একটি ছাতা মাথায় দিয়ে রুমে চলে আসি। এরপর আমি তার ছাতা নিয়ে হোটেলে এসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করি। এরপর রুমে আবার চলে আসি।
একটু পরে আবারো ডিউটিতে চলে যাই। যাওয়ার সময় একটি অঘটন ঘটে যায়। রাস্তায় পানির জমেছিল। আমরা রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। আর সেই মুহূর্তে একটি বাস এসে পানির উপর দিয়ে যায়। আর সেই পানি আমাদের গায়ের উপর পড়ে পুরো শরীর ভিজে যায়।
কি আর করার ওই অবস্থায় ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুকে পড়লাম। এরপর কিউসি রুমে কিছুক্ষণ ফ্যানের বাতাসের মধ্যে শুকালাম। এরপর আমি সেকশনে চলে যাই। সেখানে বিকেল চারটা পর্যন্ত কাজ করি। এরপর আমি কিউসি রুমে চলে আসি এবং প্রতিদিনের মতো রিপোর্ট রেডি করি। এরপর রিপোর্ট স্বাক্ষর করি।
বাসায় আসতে হবে, কিন্তু বাইরে বৃষ্টি পড়তেছে। তবে বৃষ্টি অল্প অল্প ছিল। তাই ভাবলাম যে দুজনে মিলে একটি ছাতা মাথায় দিয়ে যাওয়া যাবে। কিন্তু মাঝ রাস্তায় আসার পরে এত জোরে বৃষ্টি আসলো যে ছাতায় আর কুললো না। তাই আমরা দৌড়ে দোকানের মধ্যে চলে গেলাম।
দোকানে কিছুক্ষণ থাকার পরও দেখলাম যে বৃষ্টি একটুও কমতেছে না। তাই ভাবলাম যে বাসায় গিয়ে তো গোসল করবই, তাই ভিজে ভিজেই চলে যাই। এরপর দোকান থেকে একটি পলিথিন নিয়ে মোবাইল আর মানিব্যাগ সেই পলিথিনের ভেতর ঢুকিয়ে পকেটে নিলাম। এরপর রাস্তায় বের হয়ে পড়লাম ভিজতে ভিজতে বাসায় আসার জন্য। এরপর ভিজতে ভিজতেই বাসায় চলে আসলাম। তারপর আমি গোসল সেরে নিলাম।
কারেন্ট চলে গেছে অনেক আগেই। মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখলাম নেট কানেকশন অনেক দুর্বল। আর এদিকে ফোনে চার্জও কম আছে। তাই আমরা সন্ধ্যা সাতটার দিকে জাকারিয়ার রুমে মুড়ি পার্টির ব্যবস্থা করি।
বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে আর আমরা মুড়ি পার্টি করতেছি। সেই রকম একটা ফিলিংস হচ্ছে। মুড়ি খাওয়া শেষে আমরা ভাবলাম যে চারজন মিলে লুডু খেলি। পাশের রুমের এক ভাইকে ডাক দিলাম। তিনি আমাদের সাথে লুডু খেলতে রাজি হল।
এরপর চারজন মিলে অনেক সময় যাবত লুডু খেলি। নয়টার দিকে হোটেলে গিয়ে রাতের খাওয়া দেওয়া শেষ করি। দশটার দিকে ভাবলাম যে পোস্ট লিখি। কিন্তু নেটওয়ার্ক এত দুর্বল ছিল যে কোনভাবেই পোস্ট লেখা যাচ্ছিল না।
৩০ মিনিটের মতো চেষ্টা করার পর ব্যর্থ হই। তাই ভাবলাম যে আজকে আর পোস্ট করবো না। এরপর আমি গিয়ে শুয়ে পড়ি। আর শুয়ে শুয়ে নাটক দেখি। এরপর রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ঘুমিয়ে যাই।
আজকে এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
আজ সকালে বৃষ্টি হওয়ার কারনে ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছা করছিলো না তবে ডিউটিতে যাওয়ার কথা ভেবে উঠে পড়লেন।তারপর ছাতা মাথায় দিয়ে অফিসে চলে গেলেন। যদিও বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছিলেন, বাতাস হলে বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়াটা স্বাভাবিক।
একটু বৃষ্টি হলেই গ্রামে কারেন্ট চলে যায় আর তখন নেটওয়ার্কের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়, সত্যি রাগ হয় খুব তখন। সন্ধ্যাবেলায় সকলে মিলে মুড়ি পার্টি করেছিলেন। সকলের মধ্যে থেকে কিছু খাওয়াটা সত্যি খুব মজার। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঘুম থেকে উঠে দেখতে পেলেন অনেক জোরে বৃষ্টি হচ্ছে। আর সকাল বেলা বৃষ্টি হলে কেন জানি ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না। যেরকমটা আপনারও হয়েছিল।
যাইহোক, তবুও ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে অফিসে গিয়েছেন। সন্ধ্যা বেলা সবাই মিলে মুড়ি পার্টির আয়োজন করেছেন। সত্যিই সবাই মিলে এভাবে মুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা।
সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাইরে বৃষ্টি পড়লে ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া হলে সত্যিই ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না। আমার তো বৃষ্টি খুব ভালো লাগে। কিন্তু আপনাকে বৃষ্টিতে ভিজতে দিতে অফিসে হয়েছে। বৃষ্টির দিনে ঘরে থাকতেই বেশি ভালো লাগে। আপনি সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit