Better Life With Steem||The Diary Game|| 29 May 2024

in hive-120823 •  8 months ago 

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমি ও অনেক ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ । ২৯ তারিখের পুরো কার্যক্রম নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছে।

InCollage_20240530_201929305.jpg

সকাল ৭ টার সময় ঘুম থেকে জেগে উঠি এলার্মের শব্দে। এরপর ব্রাশটা হাতে নিয়ে ব্রাশ করে ফেলি। গোসল সেরে নেই। ডিউটিতে যাওয়ার জন্য রেডি হই। ৭ঃ৫০ মিনিটে রুম থেকে বের হই।

এরপর কোম্পানির ভিতরে ঢুকে পান্স করে নেই। এরপর সোজা কিউসি রুমে চলে যাই। রুমে কিছুক্ষণ থাকতেই সবাই চলে এলো। এরপর আমরা প্রতিদিনের মতো শপথ বাক্য পাঠ করে যার যার সেকশনে চলে গেলাম।

চাকরির প্রথম অবস্থায় আমার কোম্পানিতে যেতে বেশি একটা ভালো লাগতো না। কিন্তু এখন সবার সাথে ভালোভাবে পরিচিত হয়েছি।তাই কেমন যেন একটা টান অনুভব করি। আর প্রতিদিনই ডিউটিতে যাই।

IMG_20240529_085605870.jpg

সেকশনে গিয়ে কি কি প্রোডাক্ট চলতেছে তা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করি। এরপর দেখি যে সব ঠিক আছে কিনা। দেখলাম যে সবকিছুই ঠিকঠাক আছে। নয়টার দিকে আমি সেখান থেকে বের হয়ে সকালের নাস্তা করার জন্য ক্যান্টিনে যাই।

ক্যান্টিনে গিয়ে খিচুড়ি আর ডিম ভাজি দিয়ে সকালের খাওয়া শেষ করি। আবারো সেকশনে চলে আসি। এই সেকশনে অনেক সমস্যা থাকে। তাই সেখানে সবসময়ই দেখাশোনা করা লাগে।

অল্প একটু ভুল হলেই পুরো অনেক টাকার লস হবে। তাই আমাকে করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে ভালোভাবে যেন সবকিছু দেখাশোনা করা হয়। আমিও আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে দেখাশোনা করি যাতে কোন ভুলভ্রান্তি না হয়।

IMG_20240529_110130525.jpg

ছবিতে যে ডিকেলসটি দেখা যাচ্ছে সেটির স্যাম্পল খোঁজার জন্য আমি কিউসি রুমে আসি। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করি কিন্তু পাইনা। এরপর বড় ভাইকে বললাম যে এর স্যাম্পল গুলো কোথায় আছে তিনিও সঠিকভাবে বলতে পারছে না।

তাই তিনি সহ আমি সব কার্টুন গুলো খুলে খুলে দেখতে থাকি। এরপর অবশেষে খুঁজে পাওয়া যায়। পুরো কার্টুনটি খুলে প্রয়োজনীয় যে সম্পর্ক গুলো দরকার সেগুলো বের করে আলাদা করে।

সেগুলোর ছবি তুলে আবারো কার্টুন বন্দি করে ভালোভাবে রেখে দেই। আমাদের স্যাম্পল অনুযায়ী কাজ করতে হয়।স্যাম্পল যে রকম আছে প্রোডাকশন সে রকম হচ্ছে কিনা তা দেখতে হয়। একটু কম বেশি হলেই সেগুলো নিয়ে কাজ করতে হয়।

আমি সেকশনে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত থাকি। এরপর এসে একটু সময় বসে থেকে দুপুরের খাবারের জন্য বের হই। হোটেলে গিয়ে খাওয়া শেষ করি। দুপুরের খাবার হিসেবে ছিল ভাত, মাছ তরকারি। খাওয়া শেষে বাসায় চলে আসি।

বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে নেই। এরপর শুয়ে শুয়ে বউয়ের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলি। এরপর ব্রেক টাইম শেষ হলে আবারও ডিউটিতে চলে যাই। সেকশনে গিয়ে দেখি যে কাজ কেমন চলছে। দেখলাম যে সব ঠিকঠাক আছে।

IMG_20240529_153933837.jpg

চারটা পর্যন্ত সেকশনে থাকি। এরপর রিপোর্ট লেখার জন্য কিউসি রুমে চলে আসি। রুমে এসে রিপোর্ট লেখা শুরু করি। একটু সময় লিখতেই বস এসে বলতেছে যে ইন্সপেকশন করতে হবে।

শেষ সময়ে এসে এগুলো করতে বলায় বড় ভাই একটু বিরক্ত হয় সাথে আমিও বিরক্ত হই। কিন্তু কি আর করার করতে তো হবেই। তাই আমরা কাজ শুরু করে দেই। অল্প কিছু কার্টুন ইন্সপেকশন করতেই ডিউটি টাইম শেষ হয়ে যায়। এরপর সেগুলো রেখে আমরা ইন্ডাস্ট্রি থেকে বের হই।

আমাদের সাথেই কাজ করতো দুজন বড় ভাই কিছুদিন আগেই অন্য কোম্পানিতে চলে গেছে। সেই দুইজন ভাই আজকে ডিউটির পরে এসেছিল। তাই আমরা সবাই মিলে দুজনার সাথে দেখা করি এবং কথাবার্তা বলি। এরপর হোটেলে গিয়ে সবাই মিলে দই খাই।
IMG_20240529_172337369.jpg

ভালো সময়ই কাটে। এরপর তারা চলে গেলে আমরা যার যার বাসায় চলে আসি। আমি বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে নেই। এরপর কিছুক্ষণ শুয়ে শুয়ে ফোন টিপি। সন্ধ্যার দিকে বউকে একটা ফোন দেই। তার সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটাই।

সাড়ে আটটার দিকে আমি হোটেলে যাই রাতের খাবার খাওয়ার জন্য। ভাত আর ডিম তরকারি দিয়ে রাতের খাওয়া শেষ করি। এরপর রুমে চলে আসি। জাকারিয়ার রুমে গিয়ে কিছুক্ষণ আড্ডা দেই।

পোস্ট লেখার জন্য চেষ্টা করি কিন্তু নেটওয়ার্ক খারাপ থাকার কারণে পোস্ট লিখতে পারিনি। এরপর এসে শুয়ে পড়ি। এভাবে আমার ২৯ তারিখের দিনটি অতিবাহিত হয়ে গিয়েছিল।

আজকে এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

প্রথম প্রথম কোথাও কাজে নিযুক্ত হলে যেতে ইচ্ছা হয় না তবে সবার সাথে পরিচিত হয়ে যাওয়ার পর তখন আর সমস্যা হয় না। ক্যান্টিনে গিয়ে খিচুড়ি আর ডিম ভাজি দিয়ে সকালের নাস্তা করেছিলেন।

একটু ভুলের কারনে ঘটে যেতে পারে অনেক বড় অংকের ক্ষতি। তাই সব সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। হোটেলে গিয়ে সবাই মিলে দই খেয়েছিলেন৷ দই আমার তেমন পছন্দ না। ভালো লাগলো আপনার কার্যক্রম পড়ে। ভালো থাকবেন।

আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

Loading...

আমরা নতুন অবস্থায় কোথাও গেলে কোন কিছুই ভালো লাগবে না এটাই স্বাভাবিক আর আস্তে আস্তে সবার সাথে পরিচিত হলে তখন সবার প্রতি একটা আলাদা মায়া চলে আসে।।

আর হ্যাঁ খিচুড়ি ও ডিমভাজি আমার অনেক পছন্দ, কাজ করেছেন এছাড়াও পুরাতন দুই ভাইয়ের সাথে দেখা হয়েছিল।। সব মিলিয়ে সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছেন।।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

সত্যি বলতে ক্যান্টিনে খিচুড়িটা আসলেই অনেক দারুন সাথে যদি ডিম থাকে তাহলে কথাই হয় না। সত্যি বলতে বড় ভাই গুলো অনেক ভালো ছিল ব্যবহারগুলো অত্যন্ত দারুন। ওদের কথা কখনো ভোলা যায় না। ভালো সুন্দর কাটিয়েছো দিনটি।

ভালো থাকবে সুস্থ থাকবে বেশি বেশি করে পোস্ট লেখে শেয়ার করবে।

আপনাকে ধন্যবাদ

আপনারা চাকরি করেন অনেকটা দূরে যার কারণে ওখানে রান্নাবান্না করার মত, আপনাদের কেউ নেই। তাই হোটেলে গিয়ে সকাল থেকে রাত এবং দুপুর সময়ের খাবার গুলো খেয়ে থাকেন। সকালবেলা আসলে খিচুড়ি দিয়ে ডিম খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম।

অফিসের সম্পন্ন কাজ শেষ করতে করতে বিকাল সাড়ে চারটা। এরপর ওখান থেকে বের হয়ে আবার পরিচিত দুই ভাইয়ের সাথে দেখা করেন। উনারা আপনাদেরকে দই খাওয়ায়। সবাই মিলে অনেক বেশি মজা করেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।