আসসালামু আলাইকুম।
আমি @shariful42. From #Bangladesh.
হাই বন্ধুরা কেমন আছেন, আশা করি ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের সামনে আরেকটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন আপনাদের সাথে শেয়ার
করি আজকের আমার এই সুন্দর পোস্টটি।
সবুজ শ্যামল প্রকৃতিতে ঘেরা আমাদের এই বাংলাদেশ। মাঠে-ঘাটে সবুজে ঘেরা শাক সবজি ফলফলাদি বাংলাদেশের প্রকৃতি দেখলে মনটা ভরে যায়। এই সবুজ প্রকৃতি বাংলাদেশকে রাঙিয়ে তুলেছে আপন মহিমায়, যা কবির কাছে কবিতার চরণ, চিত্রশিল্পীর কাছে রংতুলি, নাভোচারীর কাছে মহাকাশযান এর সমান । এই সবুজ প্রকৃতি তার আপন মহিমার যেন পূর্ণতা পায় শীতকালে। শীতকাল আসলে বাংলাদেশের মাঠ ঘাট ভরে যায় শাকসবজি ফল ফলাদি দিয়ে। তাই অন্যান্য ঋতু অপেক্ষা শীতকালে বাংলাদেশের প্রকৃতি সবুজে ঘিরে যায়। তাই শীত কালকে বলা হয় শাকসবজির মৌসুম।
শীতকালে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে কমবেশি সব ধরনের শাকসবজি উৎপাদিত হয়। কিন্তু সব অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলে শাকসবজি একটু বেশি উৎপাদিত হয় যা অন্যান্য অঞ্চলে তুলনামূলক কম উৎপাদিত হয়। আজকে আপনাদের সামনে উত্তরাঞ্চলের উৎপাদিত কিছু শাক নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি।
বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চল মানে রংপুর বিভাগের আয়তভুক্ত জেলা সমূহকে বুঝানো হয়ে থাকে। যেমন: রংপুর' দিনাজপুর' নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ইত্যাদি জেলা সমূহকে বোঝায়। বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা সমূহে শাক উৎপাদিত হলেও উত্তরাঞ্চলের এসব জেলা সমূহে অন্যান্য জেলার তুলনায় একটু বেশি শাক উৎপাদিত হয়ে থাকে। কিছু কিছু শাক শুধুমাত্র এই উত্তর অঞ্চলে বেশি পরিমাণে দেখা যায় যা অন্যান্য অঞ্চলে খুব সীমিত আকারে দেখা যায়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি শাক হচ্ছে নাপা শাক বৈজ্ঞানিক নাম (Malva parviflora) । এরকম আর বিভিন্ন শাক রয়েছে যা শুধুমাত্র উত্তরাঞ্চলে বেশি দেখা যায়। উত্তর অঞ্চলে শীতকালে নাপাশাক,লাউ শাক, বাবর শাক, পালংশাক, ধনেশাক( ধনেপাতা), সরিষা শাক,কচু শাক, ঢেঁকি শাক, ইত্যাদি আরো নাম না জানা বিভিন্ন প্রকার শাক উৎপাদিত হয়ে থাকে। চলুন এরমধ্যে উত্তরে মানুষের জনপ্রিয় কিছু শাক সম্পর্কে জেনে নেই।
একটা কথা প্রথমেই বলে নেই সেটা হলো এসব শাক বা রেসিপি নামের ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতা থাকতে পারে।আমি এখানে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে এসব শাক যেই নামে চিনে ওই নামগুলি উল্লেখ করেছি।
নাপাশাক :-শীতকালে উত্তরের মানুষের সবচেয়ে পছন্দের শাক হচ্ছে নাপা শাক। জনপ্রিয়তার দিক থেকে শীতকালের শাক হিসেবে উত্তরের মানুষের কাছে প্রথম অবস্থানে থাকে এই নাপা শাক। উত্তর অঞ্চলে বসবাস করে আর নাপাশাক পছন্দ করে না এরকম লোক খুব কমই পাওয়া যায়। নাপা শাকের ভাজি, ঝোল, পেলকা, ইত্যাদিভাবে রান্না করা যায়। শীতকালে উত্তরের মানুষ নাপা শাক ঝোল রেসিপিতে বেশি পরিমাণে রান্না করে থাকে। নাপা শাকের গাছ ৩০সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। নাপাশাক চর্ম ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীর জন্য বিশেষ কার্যকরী একটি শাক।
লাউ শাক :-শীতকালে উত্তরে মানুষের কাছে আরেকটি জনপ্রিয় শাক হচ্ছে লাউশাক। লাউ শাক ভাজি ও ঝোল আকার রান্না করা হয়ে থাকে। লাউ শাকের গাছ অনেক বড় হয়ে থাকে। অনেকে এই শাকের গাছে ছাউনি দেয়।লাউ শাক ভিশন সুস্বাদু একটি শাক । এটি খাইতে যেমন সুস্বাদু তেমন এর বিভিন্ন উপকারিতাও রয়েছে।
বাবর শাক:-উত্তরে মানুষের আরেকটি পছন্দের শাক হচ্ছে বাবরি শাক বাবর শাক। এই শাক ভাজি বা মাছের সাথে ঝোল রেখে রান্না করা হয়ে থাকে। এই শাক খেতে অনেক সুস্বাদু। এই শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, আয়োডিন, আয়রন থাকে যা মানব দেহের জন্য বিশেষ উপকারী। এই শাক পাচ থেকে আট ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।
ধনেশাক বা ধনেপাতা :-উত্তরে মানুষের কাছে জনপ্রিয় একটি শাক হচ্ছে এই ধনেশাক। ধনেশাক মূলত সকল প্রকার তরকারির স্বাদ সুগন্ধ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ধনেশাক দিয়ে তরকারি রান্না উত্তরে মানুষের কাছে খুব জনপ্রিয়। তাই তারা সকল প্রকার তরকারিতে ধনেশাক ব্যবহার করেই থাকে। ধনেশাক যেমন স্বাদ বাড়ায় তেমনি মানুষের স্বাস্থ্যের উপকার ও রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।
পেঁয়াজের লতি :-পেঁয়াজের লতি বা পেঁয়াজের গাছ উত্তরের মানুষের কাছে আরেকটি জনপ্রিয় খাবার। এটি মূলত শাক নয় তবে অনেকে শাকের মতো করে রান্না করে খায়। এটি ভাজি, বা বিভিন্ন তরকারিতে তরকারি স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। এটা কিছু কিছু মানুষ খেতে পছন্দ না করলেওউত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ এটি পছন্দ করে।
নাম জানা নাজানা আরো বিভিন্ন প্রকার শাক দিয়ে ভরা আমাদের এই উত্তরাঞ্চল। সবগুলো এই পোস্টে তুলে ধরলাম না। উত্তরের এইসব সুস্বাদ বিভিন্ন প্রকার শীতকালীন শাকসবজি খাওয়ার জন্য সবার নিমন্ত্রণ রইল। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
https://x.com/SharifulIs73060/status/1870911753158308339?t=zg_fbXE9_NVyotAf8ke_1A&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit