জীবনের ভালো মন্দ গুলোকে মেনে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

in hive-120823 •  11 months ago 
premium_photo-1685306876216-3a0b61b4967c.jpeg

Source

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।

সবাইকে শুভেচ্ছা।

জীবনে উত্থান পতন আসবেই, ভালো মন্দ হবেই সকল পরিস্থিতি নিজে ধৈর্য থাকা আর এ পরিস্থিতি গুলোকে মোকাবিলা করাই বুদ্ধিমান এর কাজ। মানুষের জীবনে খারাপ সময় আসবে কিন্তু অনেক আছে খারাপ সময় আসলে ধৈর্য হারা হয়ে যায়। কিন্তু আপনি কিভাবে মন্দ বা খারাপ সময় গুলো কিভাবে মোকাবেলা করবেন। সততা, নিষ্ঠা শিক্ষা দিয়ে খারাপ সময় ও মন্দ লোকের মোকাবেলা করতে হয় । আর যারা ভালো মানুষ তারা ভালো হলে খুশি হয় আর খারাপ হলে সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা করে ধৈর্য ধরে থাকে।

আজ একটা গল্প বলবো একটা মানুষ কিভাবে তার ভালো সময় ও মন্দ সময় ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করে তা বলবে অনেক কিছু শিখার আছে এই গল্পে চলুন শুরু করি।

এক গ্রামে একজন বৃদ্ধ বাস করতো তার শক্তিশালী ও সুদর্শন ঘোড়া ছিল। ঘোড়াটি বৃদ্ধ লোকের কৃষি কাজ, ভারী মালামাল বহন ও চলাচল এর কাজে ব্যবহার করতো। একদিন হঠাৎ করে বৃদ্ধ লোকের ঘোড়াটি হারিয়ে গেল। বৃদ্ধ লোকের স্ত্রী এ বিষয় নিয়ে অনেক মন খারাপ হয়েছে কিন্তু বৃদ্ধ লোকটি কোন রকম অস্থির না হয়ে যেন কোন চিন্তা নেই তার ঘোড়া হারানো নিয়ে। পাড়াপ্রতিবেশি সবাই বলতে লাগলো লোকটির কি দূর্ভাগ্য তার ঘোড়াটি হারিয়ে গেল।

তখন বৃদ্ধ লোকটি একটু মুচকি হাসি দিয়ে বললো হতেও পারে।

এর কিছু দিন পর বৃদ্ধ লোকটির ঘোড়া আবার ফিরে এলে এবং সাথে করে আরো তিনটি ঘোড়া নিয়ে হাজির হলো। বৃদ্ধ লোকের ঘরে আবার আনন্দের মূহুর্ত বইতে লাগলো। বৃদ্ধ লোকের ঘোড়া ফিরে আসা দেখে পাড়া প্রতিবেশি সবাই বলতো লাগলো আপনার কি ভাগ্য আপনার ঘোড়া ফিরে এসেছে সাথে আরো তিনটি ঘোড়া নিয়ে এসেছে।

বৃদ্ধ লোকটি আবার আগের মত মুচকি হেসে বললো, হতেও পারে।

এর কয়েক দিন পরে বৃদ্ধ লোকের ছেলে বন্য ঘোড়া গুলোর মধ্যে একটিতে চড়তে গিয়ে পড়ে পা ভেঙে গেল। তখন আবার সেি প্রতিবেশিরা আফসোস করতে করতে এসে বললো হায় তোমার কি দুঃখ তোমার ছেলের পা ভেঙে গেল তোমার জন্য অনেক কষ্ট হচ্ছে।

তখন বৃদ্ধ লোকটি বিচলিত না হয়ে আগের মত মুচকি হেসে বললো, হতেও পারে

এর একদিন পর রাজার সৈন্যরা আসলে ওই গ্রামের যুবক ছেলেদের যুদ্ধের জন্য নিয়ে যেতে কারণ তাদের পাশের রাজ্য আক্রমণ করেছে। কিন্তু বৃদ্ধ লোকের ছেলের পা ভাঙা হওয়ায় সৈনরা ছেলেটিকে যুদ্ধের জন্য নেয়নি। আর বাকি গ্রামের সকল যুবকদের নিয়ে গেছে। এ দৃশ্য দেখে আবার সেই প্রতিবেশিরা এসে বললো আপনার কি ভাগ্য আপনার ছেলের পা ভাঙা থাকায় তাকে আর যুদ্ধে যেতে হয় নি।

তখন বৃদ্ধ লোকটি আগের সেই মুচকি হাসি দিয়ে বললো, হতেও পারে।

বৃদ্ধ লোকটি সঠিক জীবনে যেরকম পরিস্থিতি আসুক না কেন অস্থির না হয়ে বিচলিত না হয়ে শান্ত থেকে তা সামাল দিতে হবে।

ধন্যবাদ আমার পোস্ট ধৈর্যের সাথে পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন নিজের যত্ন নিবেন।

আল্লাহ হাফেজ।

I am Bangladeshi. My mother's language is Bengali. I can't write well in English. That's why I prefer to write in Bengali. Hope you will love my writing. Today in my post I have discussed about the
It is wise to accept the ups and downs of life.

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

জি ভাই আমি আপনার সব কথাগুলোর সাথে সহমত পোষণ করছি। বিপদে পড়লে কখনো ধৈর্য হারা হওয়া চলে না। মনে রাখব বিপদ আসবে তার সমাধান হবে। আপনি যেমন একটা গল্পের মাধ্যমে আমাদের তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে আপনার লেখাটি দারুন হয়েছে এবং এখান থেকে আমাদের অনেক কিছু শিক্ষা নেওয়ার আছে।

যাই হোক ভালো থাকবেন প্রিয় ভাই সবসময়।

ছোট বেলায় পড়া ঈশপের গল্প আজকে আপনার লেখায় নতুন করে পড়ে ছোটবেলাকার কথা মনে পরে গেল।সাথে এটা ভেবে ভালো লাগলো এত আগে লেখা তার শিক্ষামশিক্ষামূলক লেখাগুলো আমরা আজও ব্যবহার করে যাচ্ছি। এখানেই তার মতো লেখকের সার্থকতা।
যা-ই হোক, লেখার শুরুতেই আপনি ঠিকই লিখেছেন যে, জীবনে চলার পথে ভালো মন্দ যাই আসুক না কেন ধৈর্য ধরে এসব পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে আমাদেরকে।
খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য

Posted using SteemPro Mobile

আপনার পোস্ট চৌর্যৃত্তির আওতায় পড়ে, আপনি ঈশপের গল্পের বাংলা তর্জমা করে বসিয়ে দিয়েছেন, কাজের এটি কখনোই আপনার নিজের লেখার মধ্যে পড়ে না।
Cc:- @sampabiswas

ম্যাম এটি খুবই দুঃখজনক একটি বিষয়। বারংবার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করার পরেও এই ধরনের কার্যকলাপ নিন্দনীয়। বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই ইউজারের সাথে কথা বলবো। ধন্যবাদ আপনাকে মেনশন করার জন্য। পরবর্তীতে যাতে এমন কোনো ঘটনা না ঘটে আমি খেয়াল রাখবো। 🙏

ম্যাম আমি গল্পটি ফেসবুকে পেয়েছি যেখানে ইশপের কোন নাম উল্লেখ ছিল না। আর আমি কখন ইশপের গল্প পড়ি নি আর জানতাম না। এটা আমার ভুল বশত হয়েছে আমি ইশপের গল্প নকল করি নি এটা আমার অনিচ্ছাকৃত হয়েছে।

Loading...

আসলেই আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন।কারণ জীবনের চলার তাগিদে ভালো এবং খারাপ সময় দুটোই আসবে। সেগুলোকে সময়ের সাথে সাথে মানিয়ে নিয়ে চলাটাই সবথেকে বুদ্ধিমানের কাজ। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

ভাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং এই বিষয়ে আপনি দৃষ্টান্ত একটু উদাহরণ দিয়েছেন। বৃদ্ধ লোকটি যে ঘোড়া হারিয়ে গিয়েছে তারপরেও উনি ধৈর্য ধরে অবশেষে ঘোড়াটি ফিরে পেয়েছেন।

এরপর বৃদ্ধ লোকটির ছেলের পা ভেঙে গিয়েছে এবং তারপরে বৃদ্ধ লোকটি হতাশ না হয়ে শুকরিয়া আদায় করেছেন। অবশেষে গ্রামের সকল মানুষ যখন রাজ্য ঠেকাতে যুদ্ধ করতে গেল তখন ভাঙা পা নিয়ে সেই বৃদ্ধ ছেলেটিকে যুদ্ধ করতে যেতে হয়নি এবং এর জন্য গ্রামের সকলে তার প্রশংসা করছিল।

আসলে আমাদের জীবনে ভাল এবং মন্দ সময় আসবে। সুতরাং আমাদেরকে প্রতিটি সময়কে উপেক্ষা করতে হবে এবং খারাপ এবং ভালো সময় ধৈর্য ধারণ। তবে আমরা আগামীকাল ভালো কিছু পেতে পারি।

আমাদের কারো জীবন জীবনের পথ চলা সহজ না তাই সবাইকে খারাপ ভালো সবকিছু সম্মুখীন হতে হয় আর সব থেকে ভালো হয় এগুলো কি আমাদের মেনে নেওয়া। আপনার পোস্ট টি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন আর আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট এর জন্য অপেক্ষা করছি।আর আমার দেখে অনেক খারাপ লাগলো যে আপনার পোস্টটি Plagiarism এর আন্ডারে পড়ে গেছে।

জীবনে মধ্যে দুঃখ কষ্ট ভালো মন্দ একটি বিষয় আসবে তাই বলে আমাদের ধৈর্য্য হারা হলে চলবে না ৷ আমাদের সব মেনে নিয়ে সামনের দিকে এগোতে হবে তাহলেই দেখবেন জীবন কতটা সুন্দর ৷

ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷