কয়েকদিন আগে রিকশায় করে একটি কাজে যাচ্ছিলাম। স্বভাবতই আমি কোন যানবাহনে উঠলে চারপাশের পরিবেশ উপভোগ করি। চারপাশের সবুজ পরিবেশ উপভোগ করতে করতে হঠাৎ আমার চোখ একটি গাঢ় হলুদ রঙের ফুলে চোখ আটকে গেছে। রিকশাচালকে বলে রিকশা থামিয়ে ফুলটির কাছে এটি শৈশবের প্রিয় ফুল পলাশ। এর সৌন্দর্য এতটা আকর্ষনীয় ছিল যে আমর চলার পথে থমকে যেতে হয়ে ছিল যেহেতু আমর তাড়া ছিল তাই বেশি ছবি তুলতে পারিনি। চলুন আপনাদের সাথে ভাগ করা যাক পলাশ ফুলের সৌন্দর্য।
যে কয়টি বসন্তের আগমনের বার্তা দেয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই পলাশ। বসন্ত কালে যখন এই ফুল ফুটে তখন যেন প্রকৃতির মধ্যে আগুন লাগে যে এই ফুলের সৌন্দর্য একবার দেখবে সে বারবার এই ফুলের সৌন্দর্য দেখতে চাইবে। কারোর যদি মন খারাপ হয় আর সে যদি পলাশ ফুলের সৌন্দর্য দেখে তাহলে তৎক্ষনাৎ তার মন ভালো হশে যাবে৷ মহসড়কের পাশের পলাশ গাছ গুলো যখন আগুনঝরা পলাশ ফুল ফুটে তখন দৃশ্যটি খুবই মনোমুগ্ধকর হয়।
পলাশ ফুল যখন ফুটে তখন গাছের একটি পাতাও থাকে না। ফুল এতো পরিমানে ফুটে ডাল পর্যন্ত দেখা মুশকিল হয়ে পড়ে। এই ফুল লালছে কমলা বা হলুদ রঙের হয় যা মানুষের মন সহজে কাড়ে। এই গাছ উচ্চতায় ১২ থেকে ২০ ফুট পর্যন্ত হয়। শাখা-প্রশাখায় বিস্তৃত সুপুষ্পক উদ্ভিদ হল এই পলাশ গাছ। এর পাতা দেখতে অনেকটা মান্দার গাছের পাতার মত গাঢ় সবুজ রঙের পাতা হয়। ফুল থেকে বীজ হয় যা থেকে এর বংশবৃদ্ধি পায়।
শৈশবে এই পলাশ ফুল নিয়ে কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমরা শৈশবে গাছের তলায় যে ফুল গুলো কুড়িয়ে পেতাম দেখে দেখে তাজা গুলো নিতাম। সংগ্রহ করার পর উপর হলুদ পাপড়ি সরিয়ে ভিতরে বাকানো যে সাদদ অংশটি থাকতো তা দিয়ে বাঁশি বাজাতাম। ওই বাঁশির আওয়াজ অনেকে হাঁসের বাচ্চার মত আওয়াজ করতো। এর ফুলের বাকল ফেলে কত মধু খেয়েছি মিষ্টি হওয়াতে বেশ মজাও লাগতো। ওই দিন ফুল গুলো দেখার পর শৈশবের অনেক স্মৃতি চোখের সামনে ভাসতে লাগলো।
এই ফুলের কিন্তু ঔষধি গুনাগুনও রয়েছে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এর অনেক ব্যবহৃত হয়। এতে রয়েছে এন্টি -ইনফ্লমেটরি, এন্টিফাংগালের বৈশিষ্ট্য। এর ফুল,পাতা, ছাল বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। এটি চর্ম রোগ জ্বর, ডায়রিয়া ও ডায়াবেটিস এর সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হয় যা অতন্ত্য কার্যকরী। এর বীজ চুলকানী এবং একজিমার জন্য ভালো কাজ করে। ত্বকের ব্রন, ফুসকুড়ি ও এলার্জির জন এর বাকল বেশ কার্যকরী। এছাড়াও মূত্রবালীর সমস্যা আর্শ এর সমস্যার জন্য এই গাছের অনেক উপকারিতা রয়েছে।
নির্বিাচরে গাছ নিধনের ফলে ও উন্নয়নের দোহাই দিয়ে সড়ক মহাসড়কের সৌন্দর্য মন্ডিত গাছ গুলোকে কেটে ফেলা হচ্ছে। যার দরুন আজ এরকম সৌন্দর্য মন্ডিত গাছ গুলো বিলুপ্তির পথে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম হয়তো ফুল গাছ গুলো বইয়ের পাতায় দেখবে। সরাসরি সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে না। যা খুবই দুঃখের বিষয়। আমাদের গাছ গুলোকে নির্বিচারে কাটা বন্ধ করতে হবে। আজ এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
I am Bangladeshi. My mother's language is Bengali. I can't write well in English. That's why I prefer to write in Bengali. Hope you will love my writing. Today in my post I have discussed about the Flowers of nature's fiery beauty Butea monosperma.
Device name: | Vivo Y21 |
---|---|
Camera: | 13 megapixels |
Shot by: | @shasan705 |
Location: | Bangladesh 🇧🇩 |
পলাশ ফুলকে আমাদের এখানে আঞ্চলিকভাবে অনেকে বক ফুল নামেও চেনে। এই ফুলগুলো গাছে ফুটলে সত্যি খুব সুন্দর দেখায়। আপনার ফটোগ্রাফিতেও খুব সুন্দর লাগছে তবে সরাসরি দেখলে মনটা ভরে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Hii !!
I have never seen such flower inspired by fire before. It is looking like radiating flashes of fire. It is shaped as the burning Diyas 🪔.
I feel happy to witness such beauty of nature and its creativity in everything. You have captured it beautifully or it would not be easy to get its vibes.
Thank you
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit