শৈশবের আম কুড়ানোর স্মৃতিময় দিনগুলো।

in hive-120823 •  5 months ago  (edited)
pexels-armando-h-210148640-16003685.jpg

Source:

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

সবাইকে স্বাগতম
pexels-brett-sayles-5073491.jpg

Source:

আজ আমাদের এখানে দুপুর থেকেই আকাশ হালকা মেঘুলা হয়ে রয়েছে দুপুর একটু গড়াতেই হালকা ঝোড়ো হাওয়া শুরু হতে লাগলো। পরিবেশটা অনেক দারুণ লাগলো। আমার মন চাচ্ছিল এই ঝড়ের মধ্যে একটু হাঁটতে তাই বাড়ির পিছনে যেখান অনেক গাছগাছালি রয়েছে সেখানে একটু হাঁটতে লাগলাম। হঠাৎ আমার আম গাছের উপর চোখ পড়লো আর তখনই আমার শৈশবের ঝড়ের দিনে আম কুড়ানোর স্মৃতি গুলো চোখের সামনে ভাসতে লাগলো। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে স্মৃতি গুলো শেয়ার করি।

pexels-ravikant-11944349.jpg

Source:

শৈশবে যখনই ঝড় শুরু হতো বাড়ির বাচ্চা বুড়ো সবাই মিলে আম গাছের তলায় গিয়ে অপেক্ষা করতাম কখন জানি আম পড়বে। যখনি আম পড়তো সবাই মিলে ঝাপিয়ে পড়তো সেই আমের উপর যার প্রথমে যে নিতে পারবে। অবশ্য বড়োরা একটু দুরত্ব বজায় রাখতো। প্রথমে যে আম গুলো আধা পাকা হতো ওই একটু বাতাসে পড়ে যেত। অনেক ঝড়ের তীব্রতায় ডাল সহ ভেঙে পড়তো।

সমস্যা হতো যখন সমবয়সী সবাই মিলে একটি আমের উপর ঝাপিয়ে পড়তাম। যদি একটি আমের উপর দুইজন এর হাত পড়তো তাহলে তো মহাযুদ্ধ লেগে যেত এ বলতো এটা আমি আগে হাত দিয়েছি ও আমি আগে হাত দিয়েছি। এক পর্যায়ে মারামারির অবস্থা হয়ে যেত। কেউই তাদের এই ঝগড়া থামতে পারতো না। এই ঝগড়া তখনই থামতো যখন আরেকটা আম পড়তো।

pexels-armando-h-210148640-16282515.jpg

Source:

এই আম কুড়াতে গিয়ে কত জনের সাথে ঝগড়া করেছি কত জনে লর হাতে মার খেয়েছি কত জনকে যে মেরেছি। মার দিয়ে আর মার খেয়ে যদি নিস্তার পেতাম সমস্যা থাকতো না। সমস্যা হতো ঘরে এসে উত্তম মাধ্যম খেতাম সে জন্য। একে ঝড়ের মধ্যে বের হয়েছি দ্বিতীয়ত ঝগড়া করেছি। কিন্তু মার খাওয়ার দুঃখ মলিন হয়ে যেত যখন হাত ভর্তি আম থাকতো। এটাতো মহাযুদ্ধের ফলাফল। আহ কি শান্তি।

আম গুলো এনে যে গুলো আধাপাকা সেগুলোকে আলাদা রাখতাম আর কাঁচা গুলোকে চালের মধ্যে অথবা কুড়োর মধ্যে লুকিয়ে রাখতাম যাতে তাড়াতাড়ি পেকে যায়। আম গুলো সুরক্ষিত গুপ্ত স্থানে লুকিয়ে রাখার তিন-চার দিন পর একবার দেখতাম পেকেছে কিনা। কিন্তু পাকতো না পাকতো আরো চার-পাঁচ দিন পর। তখন আমটা খেয়ে একটা তৃপ্তি পেতাম। কারন নিজের কুড়ানো আম খাওয়ার মজাই আলাদা ছিল৷

এখনো আম গাছ গুলো আগের মত দাঁড়িয়ে আছে গাছে আছে থোকায় থোকায় আম। কিন্তু সেই সময় গুলো নেই। নেই সেই মানুষ গুলো। ঝড় হলে আম ঠিকই পড়ে কিন্তু কুড়ানোর কেউ নেই৷ আম পড়ে থাকে গাছের তলায় যখন কারো চখে পড়ে তখন কেউ গিয়ে আমটা নেয় তা না হলে আম পড়ে পচে থাকে। খুব করে চাই শৈশবের দিন গুলো আসুক জীবনে আবার রাঙিয়ে দিয়ে যাক আবার বন্ধুরা মিলে হৈ-হুল্লোড় করি।

ভালো থাকুক বন্ধু গুলো ভালো থাকুক সবাই।

আল্লাহ হাফেজ।

I am Bangladeshi. My mother's language is Bengali. I can't write well in English. That's why I prefer to write in Bengali. Hope you will love my writing. Today in my post I have discussed about the Memories of picking mangoes on stormy childhood days

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

এই আম কুড়াতে গিয়ে কত জনের সাথে ঝগড়া করেছি কত জনে লর হাতে মার খেয়েছি কত জনকে যে মেরেছি। মার দিয়ে আর মার খেয়ে যদি নিস্তার পেতাম সমস্যা থাকতো না। সমস্যা হতো ঘরে এসে উত্তম মাধ্যম খেতাম সে জন্য।

আম কুড়াতে গিয়ে কত যে ঝগড়া করেছি তার ঠিক নেই। একটা আম পড়লে সেটা ধরতে অনেকেই ছুটে যেতার আর শেষ পর্যন্ত কে নেবে সেটা নিয়ে লেগে যেত ঝগড়া এবং আম ভাগ করা নিয়ে তো আছেই। কাচা আম খেতে গিয়ে সারা মুখে আটা লেগে গেছে এবং তার জন্য মায়ের কাছে বকুনি শুনতে হয়েছে তার ঠিক নেই। আপনার পোস্টের মাধ্যমে যে ছোটবেলায় ফিরে যাওয়ার অনুভুতি হলো।

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।