Health benefits of Taro Roots/ কচুর মুখির স্ব্যাস্থ উপকারিতা।

in hive-120823 •  6 months ago 
IMG_20240512_154610.jpg

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

সবাইকে সুস্বাগতম
IMG_20240512_154707.jpg
IMG_20240512_154701.jpg
কচুর মুখি যাকে আমরা আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় ছরা বলে থাকি। এটি একটি মাটির নিছে জন্মানো সবজি। মূলত এটি হল কচু গাছের মূল যা থেকে কচু গাছ জন্মায় এই কচুর মুখি অতন্ত্য পুষ্টিকর একটি সবজি। এটি দেখতে অনেকটা আলুর মত ভিতরের অংশ ধবধবে সাদা হয়ে থাকে। একসময়ে এই সবজিকে শুধু মৌসুমে পাওয়া যেতো কিন্তু বর্তমানে প্রায় সারা বছর পাওয়া যায়। গুন ও স্বাদে ভালো হওয়ায় অনেকের আবার পছন্দের সবজি। তবে বর্তমানে এর দাম একটু বেশি।
IMG_20240512_154626.jpg

আমার মায়ের হাতের এই কচুর মুখি আর ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে রান্না করা রেসিপিটা একেবারে অমৃত হয়। শুধু আমার মা না আমাদের এখানে এই কচুর মুখি আর ইলিশ মাছের মাথার রেসিপি সবাই রান্না করে। ইলিশ মাছ ছাড়াও এই কচুর মুখি নিরামিষ রান্না করলেও খেতে বেশ দারুণ লাগে। তবে এই কচুর মুখির উপরের হালকা আবরণ পরিষ্কার করতে বেশ ঝামেলা পোয়াতে হয়। এটা যেমন স্বাদের তেমনি পরিষ্কার করতে কষ্টের।

IMG_20240512_154616.jpg

এই কচুর মুখি পরিষ্কারের ঝামেলা থাকলেও এর স্বাদের কোন জুড়ি নেই তেমনি এর অনেক স্ব্যাস্থ উপকারিতাও আছে। এর থাকা পুষ্টি গুন গুলো আমাদের দেহের দৈনন্দিন এর পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, বি, সি ও ডি আরো আছে কপার, ম্যাগনেসিয়াম জিংক, ম্যাংগানিজ, ক্যালসিয়াম, বিটা ক্যারোটিন, আয়রন, পটাসিয়াম সেলেনিয়াম নামক খনিজ পদার্থ গুলো। এই পদার্থ গুলো আমাদের দেহের জন্য অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ।

IMG_20240512_154648.jpg
IMG_20240512_154600.jpg

এবার এর স্ব্যাস্থ উপকারিতা গুলো জেনে নেওয়া যাক।

√√ কচুর মুখি এনার্জি ধরে রাখতে পারে ও ক্লান্তিভাব দূর সহায়তা করে। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স পরিমানে কম থাকায় এটি খেলোয়াড়দের জন্য অনেক উপকারী।

√√ কচুর মুখিতে ক্যালরির পরিমান কম থাকায় ওজন কমাতে সহায়ক। যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য এটি ভালো খাবার।

√√ এতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার রয়েছে যা আমাদের পরিপাক তন্ত্রের জন্য অনেক উপকারী। এটি দীর্ঘক্ষন পেট ভরা রাখতে সহয়তা করে ফলে।

√√ এই সবজিতে চর্বি ও কোলেস্টেরল এর মাত্রা কম থাকায় ধমনি শক্ত হওয়া প্রতিরোধ করে যা হৃদযন্ত্রের জন্য অনেক উপকারী।

√√ ফাইবার থাকায় এটি পরিপাক প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করে পাশাপাশি এটি পরিপাকের বর্জ্য নিষ্কাশনে সাহায্য করে।

√√ এতে থাকা ভিটামিন সি আমাদের দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে এবং এতে থাকা পটাসিয়াম দেহের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অনেক ভালো কাজ করে।

√√ কচুর মুখিতে আরো আছে কপার ও আয়রন যা দেহে লোহিত রক্ত কণিকা তৈরিতে সাহায্য করে এবং দেহের রক্ত সল্পতা দূর করতে দারুণ কাজ জরে।

√√ এর বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে ও ভালো রাখতে সহয়তা করে।

√√ কচুর মুখিতে থাকা ভিটামিন এ ও সি ত্বকের লাব্যনতা ধরে রাখতে সহয়তা করে এবং এর অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট দেহের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বিরত রাখে এবং এর অ্যান্টি -অক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতি রোদ করতে সক্ষম।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এই কচুর মুখিকপ খালু হাতে ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে কারন খালি হাতে ধরলে চুলকানি বা হাত জ্বালাপোড়া হতে পারে। তাই রান্নার সময় খালি হাতে স্পর্শ না করে গ্লাভস করা বা কাঁটার পর গরম পানি হাত ধুয়ে নিলে ভালো হবে। এবং অবশ্যই ভালো করে সিদ্ধ করে খেতে হবে তা না হলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। গুগল থেকে কিছু তথ্যের ধারণা নেওয়া হয়েছে।

আজ এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন নিজের যত্ন নিবেন ধন্যবাদ।

আল্লাহ হাফেজ।

I am Bangladeshi. My mother's language is Bengali. I can't write well in English. That's why I prefer to write in Bengali. Hope you will love my writing. Today in my post I have discussed about the health benefits of Taro Roots.

Device name:Vivo Y21
Camera:13 megapixels
Shot by:@shasan705
Location:Bangladesh 🇧🇩
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আপনাকে এই গুলো কচুরমূখি বলে থাকেন আর আমরা এই দিকে এই গুলাগে সজি বলে থাকি ৷ আর কিছুদিন পর গেলেই আমাদের এই দিকেও সজি বের হবে যেটা সবজী হিসেবে খেতে ভারি মজা ৷ বিশেষ করে সজির সাথে কাকড়া একসাথে রান্না খুব টেষ্ট লাগ ৷ কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমান সময়ে কাকড়া বিলুপ্তির পথে ৷

তার পাশাপাশি স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো পড়ে বেশ উপকৃত হইলাম ৷

যাই হোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷

  • আমাদের বাড়িতে কচুর মুখির চাষ করে থাকি।৷ কচুর মুখি খেতে বেশ ভালো লাগে তবে মাঝে মাঝে গাল চুলকায়। কচুর মুখি ও ইলিশ মাছ একসাথে রান্না করলে অনেক বেশি ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।