আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হল প্যানক্রিয়াস বা অগ্নাশয়। এর প্রধান কাজ হল আমাদের দেহের হজম প্রকৃিয়াকে ঠিক রাখা এবং রক্তের সুগারের মাত্রা ঠিক রাখা। এই প্যানক্রিয়াস এন্ডোক্রাইন ফাংশন এর মাধ্যমে ইনসুলিন ও গ্লুকাগন হরমন উৎপাদন করে রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক রাখে। মোট কথা এই অগ্নাশয় আমাদের দেহের অভ্যন্তরিন কার্যক্রম ঠিক রাখে যা আমাদের অনেক রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
তবে যখন এই প্যানক্রিয়াস বা অগ্নাশয় আমাদের দেহে ইনসুলিন উৎপাদন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে বা উৎপাদন হলেও তা কার্যকর ভাবে ব্যবহার করতে পারে না তখন দেহে দেখা দেয় ডায়াবেটিস নামক মারাত্মক ব্যাধি। যাকে বলা হয়ে থাকে সকল রোগের মা। ইনসুলিন দেহের কোষ গুলোর মধ্যে শর্করা প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ রাখে। মোট কথা ইনসুলিন কোষের চাবি হিসাবে কাজ করে। এই অগ্নাশয় দূর্বল হয়ে যাওয়ার কারনে ইনসুলিন উৎপাদনে ব্যাগাত ঘটে তাই ডায়বেটিস হয়ে থেকে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি প্রাকৃতিক ভেষজ যা নিয়মিত খাওয়া হলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
★করলাঃ করলা রক্তের গ্লুকোজ এর পরিমান দ্রুত কমাতে সহয়তা করে। আমি এক জন বিশেষজ্ঞ এর কাছে জানতে পেরেছি ছোট জাতের করলা কে পিষে এর রসের মধ্যে পায়ের তালু চুবিয়ে রাখলে ডায়াবেটিস দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এক্ষেত্রে করলা রসের তেতো স্বাদ যতক্ষন পর্যন্ত জিহ্বায় না আসে পায়ের তালু ততক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে।
★জামঃ জাম বীজে একটি উপাদান রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহয়তা করে এবং ইনসুলিন ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে। এই বীজ যাদের ঘন ঘন প্রসাব হওয়ার সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা রাখে। বর্তমানে বাজারে জাম বীজের গুড়ো কিনতে পাওয়া যায়।
★নীমঃ ভেষজ দুনিয়ায় নীমকে বলা হয় মহৌষধ। বলা হয়ে থাকে যার বাড়িতে নীম গাছ রয়েছে তার রোগবালাই কম হয়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে নীম ইনসুলিন কোষকে পুনরুজ্জীবিত করতে বেশ কার্যকরী। নীমে ফল ফুল পাতা সবকিছুই রোগ সারাতে পারে। তাই নিয়মিত নীম খাওয়ার অভ্যাস করুন।
★ আমলকীঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী এই আমলকীর রস কারণ এতে রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওঅ্যান্টি-ডায়বেটিক এর মত অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যা রক্তের মধ্যে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহয়তা করে। তাই নিয়মিত আমলকীর রস অথবা গুড়ো খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। বর্তমানে বাজারে আমলকীর গুড়ো কিনতে পাওয়া যায়।
★ঢেঁরসঃ আমাদের অতি পরিচিত একটা সবজি হচ্ছে ঢেঁড়স। এটি দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি রক্তে কলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এবং একই সঙ্গে এটি দেহকে গ্লুকোজ শোষনে কমাতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এটি অতন্ত্য কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা ঢেঁরস রাখা উচিত অথবা কাঁচা ঢেঁরস ভেজানো পানি খেতে পারেন।
★দারুচিনিঃ রক্তে বাড়তি গ্লুকোজ কমানোর জন্য দারুচিনি অনেক ভালো কাজ করে। দৈনিক ৬ গ্রাম করে দারুচিনি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে এতে কলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
★মেথিঃ একটি গবেষণায় দেখা গেছে দৈনিক ১০ গ্রাম করে একটানা ছয় মাস মেথি খেলে দেহের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে যাদের ডায়াবেটিস হয় নাই তারা নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। রাতে এক গ্লাস পানিতে ১০ গ্রাম করে মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেতে হবে।
নিজে সুস্থ থাকুন এবং নিজের যত্ন নিবেন ধন্যবাদ।
I am Bangladeshi. My mother's language is Bengali. I can't write well in English. That's why I prefer to write in Bengali. Hope you will love my writing. Today in my post I have discussed about the Natural herbs to control diabetes.
বিশ্বজুড়েই বিশেষ করে আমাদের তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলেতে ডায়াবেটিস মহামারীর আকার ধারন করেছে। আর এই রোগটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি খুব দহজ কদিন আগে স্কয়ার হসপিটালের একজন ডাক্তা।র বলতেছিলেন যে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এর জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হলো ডিসিপ্লিন।
তবে প্রাকৃতিক ভাবে এই অসুখ নিয়ন্ত্রণ করার যে বিষয়টা আপনি বর্ননা করেছেন এটা চমৎকার।
ভালো থাকবেন সবসময়
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এক সময় এই রোগ হাতে গনা কয়েকজন এর হতো কিন্তু বর্তমানে তা মহামারী আকার ধারন করেছে ভবিষ্যতে হয়তো আর খারাপ অবস্থা হবে তাই আমাদের আরো বেশি সচেতন হতে হবে খাদ্যাভাসে এবং নিয়ম শৃঙ্খলায়। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ার পর এত সুন্দর একটা মতামতের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়েছে। মানুষ ক্যান্সার কেও জয় করা শিখে গেছে এখন। কিন্তু ডায়াবেটিসের মত এত বহুল অসংক্রামক রোগের কোন চিকিৎসা আজ পর্যন্ত বের হয়নি। এমন কি এটি নিয়ন্ত্রণে রাখাও যথেষ্ট কঠিন ব্যাপার। জীবনযাপন পদ্ধতি, ঔষধ, খাবার সবকিছু এটার সাথে জড়িত। মাঝে মাঝে আফসোস হয় তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞান কি নিয়ে এত অহংকার করে!!! যাইহোক আপনি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কিছু খাবারের কথা
বলেছেন। এ খাবারগুলো আমাদের দেশে যথেষ্ট সহজলভ্য। ডায়াবেটিক রোগীরা এই খাবারগুলো নিশ্চিন্তে গ্রহণ করতে পারেন। সব মিলিয়ে আপনার তথ্য সমৃদ্ধি এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আগে ডায়াবেটিস রোগটা শুধু বয়স্ক মানুষের দেখা দিতো। কিন্তু এখন রোগ মানে না কোন কিছু বাধা ছোট বড় সকলেই ডায়াবেটিস রোগটা দেখা দিচ্ছে। তবে ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনার কয়েকটি টিপস দিয়েছেন। আর সত্যিই আপনার সম্পূর্ণ লেখাগুলো প্রশংসনীয়। আশা করি আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক উপকৃত কাজে লাগবে।
থ্যাংক ইউ আপনি খুব একটি টপিক নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করলেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস খুবই পরিচিত একটা রোগ। বিশেষ করে সবার ঘরে ঘরে এই রোগী রয়েছে। তবে সবাই চেষ্টা করে কিভাবে ভালো থাকা যায়। আজকে আপনি খুব চমৎকার একটা বিষয় আমাদের সাথে উপস্থাপন করেছেন। প্রাকৃতিকভাবে যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তাহলে আমি মনে করি এটাই সবচাইতে উত্তম। কারণ অনেকেই ইনসুলেন ব্যবহার করে ওষুধ খায়। এতে করে কিন্তু ডায়াবেটিস সামান্য কমে আবার বেড়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার টপিক আলোচনা করার জন্য। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনাকে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আমার বাসায় ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে। তাই আমার খুব উপকার হলো আপনার পোস্টটি পড়ে। হাতের নাগালে জিনিসগুলো রয়েছে একটু ইচ্ছে করলে এগুলো ব্যবহার করতে পারব। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
রাখতে পারব। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit