মেহগনির ফল এর যত গুনাগুন।

in hive-120823 •  2 months ago 
GB5JMddbvrRigZFDXGEdhTzMijZ.jpg

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

সবাইকে স্বাগতম।
G2FZQqHWOiRlseaHFGvqgcmkRpJ.jpg
GEbLhRQJzyhoNZEUNpnnKLnqDRL.jpg
মানব স্বাস্থ্য ও ফসললের জন্য অতন্ত্য উপকারী একটি গাছের নাম হল মেহগনি। এই গাছের ফল বাকল ও পাতা অনেক উপকারী অনেক ভেষজ গুনাগুন রয়েছে। লোক কথায় আছে এ গাছে পাখি বাসা বাঁধে না এমনকি এ গাছে পাখি বসেও না। এ গাছের ফলে মজবুত কাষ্ঠল বিশিষ্ট আবরন থাকে ও ভিতরে গুচ্ছভাবে লাল পাতলা আবরণ দিয়ে বীজ গুলো সুরক্ষিত থাকে। এর ফল বা বীজ অতন্ত্য তিতা হয়ে হাত দিয়ে স্পর্শ করলেও হাত তিতা হয়ে যায়। চলুন গাছ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
GEbLhRQJzyhoNZEUNpnnKLnqDRL.jpg

শীতের শেষে বসন্তের শুরুতে এ গাছের সব পাতা ঝরে পড়ে যায় এবং কিছুদিন পরে নতুন পাতা গজাতে শুরু করে। তখন গাছে গাছে ক্ষুদ্র আকৃতির ফুল ফুটে। মেহগনি গাছ মূলত কাঠের জন্যই ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরিতে এ গাছের কাঠ অনেক উপযোগী। তবে গাছের যে অনেক ভেষজ গুনাগুন রয়েছে তা অনেকেই জানো না। মেহগনি গাছ একটি দ্বীবীজপত্রী গুপ্তবীজী উদ্ভিদ। এগাছ লম্বায় ৫০ থেকে ৬০ ফুট বাড়তে পারে।

G8KhDDWGnkmqfbjlGbOFVKVrJHP.jpg
G2_tHnEUfFotGiwsRRokTbpfRfS.jpg

মেহগনি গাছের বীজ দিয়ে অনোক উৎকৃষ্ট মানের জৈব সার তৈরি করা যায়। যা অনেক পরিবেশ বান্ধব। ফসলি জমিতে যেমন ধান, গম, ভুট্টা, শাকসবজি, ফল ইত্যাদি গাছে পোকামাকড় দমনে এর বীজের কীটনাশক ব্যবহার করা যায়। এত ফসলে কোন রকমের ক্ষয়ক্ষতি হয় না বরং এতে ফলন ভালো হয়।

মেহগনি বীজ দিয়ে জৈব সার তৈরি করার পদ্ধতি হল :

★ দুই থেকে তিন কেজি মেহগনির বীজ সংগ্রহ করে সেই বীজ ছোট ছোট টুকরা করে ১০ লিটার পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে তিন চার দিনের জন্য। তিন চার দিন পর ভিজানো পানি ছেঁকে তার সাথে ৫০ গ্রাম পরিমান ডিটারজেন্ট মিক্স করে আরো পাঁচ গুন পানি মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। এই কীটনাশক ছিটানোর ফলে ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় ধ্বংস হয়ে যাবে যার দরুন ফলন বৃদ্ধি পাবে।

★ আধা পাকা মেহগনির বীজ ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম ভালো করে থেঁতলে তার সাথে ৫০০ পাতা দিয়ে একটি মাটির হাঁড়িতে ৪০ থেকে এক ঘন্টা ঝাল দিতে হবে ঝাল দেওয়ার একটু পর ৫০ গ্রাম সাবান ও ১০ গ্রাম তুঁতে মিশিয়ে ভালোভাবে নাড়তে হবে ফুটানো হলে নামিয়ে এই উপাদান ঠান্ডা করে তার সাথে পাঁচ গুন পানি মিশিয়ে তা আক্রান্ত গাছে ছিটালে উপকার পাওয়া যায়।

GVbOhBGMtzFUYwgTJwmePkNdiVJ.jpg
GJQsGasneZJlgifKwSlwlVvEBsK.jpg
এখন আমরা জেনে নিবো মেহগনি বীজের ভেষজ গুনাগুন :

✔ ডায়বেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী মেহগনি বীজে। এর ভিতরের সাদা শ্বাস প্রতিদিন পানিতে ভিজিয়ে খেলে সুগারের মাত্রা কমে যায় ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

✔ মেহগনি গাছের ফলের নির্যাস হজমশক্তি বৃদ্ধিতে অনেক ভালো ভূমিকা রাখে নিয়মিত সেবনে হজমশক্তি বৃদ্ধি পাবে সাথে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তারও নিয়মিত খেলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।

✔ নিয়মিত মেহগনির বীজ সেবনে রক্ত জমাট ও অনিদ্রা জনিত সমস্যা জন্য বেশ কার্যকরী।

✔ সর্দি, কাশি বা জ্বরের ক্ষেত্রে হাফ চা চামচ মেহগনি লর গুড়োর সাথে মধু মিশিয়ে এক কাপ পানি দিয়ে কসুম গরম করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

✔ অর্শ বা পাইলস থেকে পরিত্রান পেতে প্রতিদিন মেহগনি বীজ ভেজানো পানি পান করলে তা থেকে ধীরে ধীরে মুক্তি মিলবে।

জেনে রাখা জরুরি -ঃ উপরে উল্লেখ্য চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগের আগে অবশ্যই একজন চিকিৎসক এর পরামর্শ নিয়ে তারপর ব্যবহার করবেন ধন্যবাদ।

আল্লাহ হাফেজ।

I am Bangladeshi. My mother's language is Bengali. I can't write well in English. That's why I prefer to write in Bengali. Hope you will love my writing.

Device name:Vivo Y21
Camera:13 megapixels
Shot by:@shasan705
Location:Bangladesh 🇧🇩
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমার মামা বাড়িতে মেহগনি গাছ আর সেগুন এর বিশাল এক বাগান আছে। বলতে গেলে এই গাছ এর সাথে আমার পরিচয় এই বাগানের মাধ্যমেই।
তবে মেহগনি গাছের কাঠ ভালো হয় এতোটুকুই জানা ছিল আমার। বেশি কিছুই তেমন একটা জানা ছিল না আমার।
তবে এই গাছ সম্পর্কে অনেক বেশি কিছু জানা সম্ভব হলো আপনার লেখার মাধ্যমে।
বিশেষ করে এর ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে।

আপনার এই লেখাটি পড়ে আমার মত অনেকেই উপকৃত হবে। চমৎকার এই লেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময়ই এই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

Loading...

মেহগনি ফলের অনেক ঔষধী গুণাবলি রয়েছে। এই ফল দিয়ে অনেক ঔষধও বানানো হয়। তবে ছোটবেলায় একবার মেহগনি ফলের সাস মুখে দিয়েছিলাম আর আজও তার স্বাদ ভুলতে পারিনি। এত বেশি পরিমানে তিতা সেটা বলে বুঝানো যাবে না।

আপনার পোস্টটা অনেক তথ্যবহুল ছিলো। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।