"অনেকদিন পর বাড়ির পথে"

in hive-120823 •  9 days ago 

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে অনেকদিন পর গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জার্নি নিয়ে গল্প শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :

The Diary Game_ _ 13 May,2024_20241109_223410_0000.png

Edit by canva

গতকালকে শুক্রবারের দিন ছিল। আমি বিগত পোস্টে বলেছি, আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যেখানে চাকরি করি, সেখানে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ছুটিতে বাসায় চলে যাব। পরে বাসা থেকে ছুটি কাটিয়ে আবারো নতুন চাকরিতে জয়েন করব। আমার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা আসার ট্রেন ছিল বিকেল ৫:৩০ মিনিটে। তাই সকাল থেকে মোটামুটি দুপুর ৩:০০টা পর্যন্ত ডিউটি করেছি।

আর হ্যাঁ! আমাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সর্ব প্রথম ঢাকাতে যেতে হবে। তারপরে ঢাকা থেকে আবারো পার্বতীপুর স্টেশন যেতে হবে। বলতে গেলে মোটামুটি অনেক দূরের একটা জার্নি। যাইহোক, মোটামুটি দুপুর ৩:০০টার দিকে ল্যাবে সব কাজ শেষ করে রুমে গিয়েছি। পরে তাড়াতাড়ি সবকিছু গুছিয়ে ৪:০০টা নাগাদ বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।

সবার সাথে অনেকদিন থাকার পর, এভাবে চলে আসার সময় খুব খারাপ লেগেছিল। কিন্তু কিছুই করার নাই, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। হসপিটালের সামনে থেকে সর্বপ্রথম একটা রিক্সা নিয়ে সিএনজি স্ট্যান্ডে যেতে হয়। পরে রিক্সা নিয়ে সিএনজি স্থানে গিয়েছি। আমি যেখানে চাকরি করি সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর প্রায় ১ ঘন্টার রাস্তা।

IMG_20241108_160303.jpg

সিএনজি স্ট্যানে যাওয়া মাত্রই সিএনজি পেয়েছিলাম। সিএনজিতে যাওয়ার সময় রাস্তার দুই পাশে নদী ছিল। জায়গা গুলো একদম দেখার মত ছিল। ঐ সময় মনে হয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়ে ছবি তুলি। তারপরেও সিএনজিতে থাকাকালীন অবস্থায় একটা ছবি তুলেছিলাম। যাইহোক, মোটামুটি ১ ঘন্টার ভিতরেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিএনজি স্টানে পৌঁছে গিয়েছি। পরে সেখান থেকে আবার একটা রিক্সা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছি।

IMG_20241108_162754.jpg

ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে পৌঁছা মাত্রই আগে টিকিট কাউন্টারে গিয়েছি। কারণ অনলাইনে আমি টিকিট পাইনি। তাই স্ট্যান্ডিং টিকিট কাটার জন্য কাউন্টারে গিয়েছি। টিকিট সংগ্রহ করার পর ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় ট্রেন আসতে অনেক সময় লেগেছে। এর মাঝে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে জংশনের উপর উঠে একটা স্টেশনের ছবি তুলেছিলাম। সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় ছবিটা তুলেছিলাম এজন্য ছবিটি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর হয়েছিল। পরে মোটামুটি ৬:০০টা নাগাদ ট্রেন এসেছিল।

IMG_20241108_165352.jpg

আলহামদুলিল্লাহ ট্রেনে উঠে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন থেকে ঢাকা আসতে মোটামুটি ২ ঘন্টা সময় লাগে। আর হ্যাঁ! আমার ঢাকা থেকে বাসায় যাওয়ার ট্রেনের সময় ছিল রাত ১১ঃ৩০ মিনিট। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা যেতে সর্বোচ্চ রাত ৮:০০টা বাজতে পারে। তাই আগে থেকে চিন্তা করেছিলাম ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এই সময়টুকু আমার বন্ধুর সাথে দেখা করব।

IMG20241108221250.jpg

বন্ধুর ফোন দিয়ে তোলা

প্রথমে আমার কমলাপুর স্টেশনে নামার কথা ছিল। পরে সেখানে না নেমে তেজগাঁও স্টেশনে নেমেছি। সেখান থেকে বন্ধুর লোকেশন অনুযায়ী তার কাছে পৌঁছে গিয়েছি। আমার বন্ধু ঢাকার মোহাম্মদপুরে থাকে। পরে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে তার সঙ্গে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়েছি। অনেকদিন পর তার সাথে আড্ডা দিয়ে বেশ ভালই লেগেছে। ঢাকা শহর মানে ব্যস্তময় নগরী।

পরে সেখান থেকে বের হয়ে আবারো বিমানবন্দরে স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। কারণ সেখান থেকে আমাকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হতে হবে। আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছি। কিন্তু ট্রেন আসার একটু আগেই পৌঁছে গিয়েছি। তাই ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। মোটামুটি রাত ১২:০০ টার দিকে ট্রেন আসার পর ট্রেনে উঠেছি। এরকম দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে বাড়ি যাওয়ার আনন্দটাই অন্যরকম।

IMG_20241109_081956.jpg

IMG_20241109_080817.jpg

বিমানবন্দর স্টেশন থেকে আমাদের পার্বতীপুর স্টেশনের যাত্রা মোটামুটি ৮-১০ ঘন্টার জার্নি। আলহামদুলিল্লাহ সকাল ৮:০০টার দিকে সুস্থভাবে আমাদের পার্বতীপুর স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছি। অনেকদিন পর নিজ এলাকায় এসে মনটা ভালো হয়ে গিয়েছিল।

পরে স্টেশন সেখান থেকে একটা গাড়ি নিয়ে সোজা বাসায় চলে এসেছি। বাসায় আসা মাত্রই মা আমাকে দেখে অনেক খুশি হয়েছে। সত্যি কথা বলতে, অনেকদিন পর বাসায় এসে নিজের পরিবারের মানুষগুলোকে সামনাসামনি দেখার মুহূর্তটা আসলেই বলার মত নয়। আজকে এই পর্যন্তই ছিল।

ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

নিজের এলাকায় ট্রেন থেকে হোক বা গাড়ি থেকে যখনই নামা হয়, মনের মধ্যে একটা অন্য রকমের আনন্দ অনুভূত হয়। এটা যখন আমি আমার বাপের বাড়িতে যাই, খুব ভালোভাবে অনুভব করতে পারি। সত্যিই আপনার কাজে জায়গা থেকে বাড়িটা অনেকখানি দূরে। তবে মাঝখানে বন্ধুর সাথে কিছুটা সময় কাটিয়েছেন এটা জেনে খুশি হলাম। কাজের জায়গা হোক বা পড়াশোনার জায়গা, বেশ কিছুদিন থাকার পর সেই জায়গা গুলো ছেড়ে আসতে একটা খারাপ লাগা কাজ করে ঠিকই, তবে জীবনে এগোতে গেলে কোনো একটা জায়গায় থেমে থাকলে হবে না, পরিবর্তন গুলোকে মেনে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই জীবনের আসল মানে। আপনার আগামী পথ চলার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো। তবে মাঝের দিনগুলো পরিবারের সকলের সাথে খুব আনন্দ কাটান, এটাই চাই। ভালো থাকবেন।

সত্যিই দিদি! অনেক দিন পর নিজের এলাকার স্টেশনে পৌঁছালে মনের ভেতর একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। হ্যাঁ! আপনি একদম ঠিক বলেছেন, অনেকদিন এক জায়গায় কাজ করার পর সেখান থেকে চলে আসাটা আসলেই অনেক কষ্টকর।
তবে জীবনের তাগিদে এটা মেনে নিতেই হবে কিছুই করার নেই।
ইনশাআল্লাহ নিজের পরিবারের সাথে খুব আনন্দময় দিন পার করতেছি।
আমার জন্য দোয়া করবেন যেন সামনের দিনগুলো অনেক ভালো হয়।

চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে নিজের বাড়ি যাচ্ছেন প্রথমে আপনার ঢাকায় আসতে হবে ট্রেনে উঠে আমি ট্রেন অনেক দেখেছি মালয়েশিয়া ট্রেনে উঠেছি তবে বাংলাদেশে ট্রেনে এখনো উঠতে পারেনি ইচ্ছা আছে যদি কখনো বাংলাদেশে যেতে পারি তাহলে ট্রেনে জার্নি করব।

যাই হোক নিজের বাড়িতে কিছু দিন থেকে আবারও চাকরি নিবেন আশা করি খুবই সুন্দর চাকরি আপনি দ্রুত পেয়ে যাবেন আপনার একটি দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।