আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আপনাদের মাঝে গতকালকের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক:
আলহামদুলিল্লাহ গতকালকে ঘুম থেকে উঠেছি সকাল নয়টা নাগাদ। যদিও বিকেল ডিউটি ছিল তারপরও তাড়াতাড়ি উঠেছি। তাড়াতাড়ি উঠার পিছনে একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। বাসায় তেমন কোন বাজার ছিল না। তাই বাজারে গিয়ে কিছু বাজার নিয়ে আসতে হবে।
ঘুম থেকে উঠার পরেও কিছুক্ষণ শুয়েছিলাম। রান্না করে খাওয়া কি যে কষ্ট, যারা খায় তারাই একমাত্র বলতে পারবে। তবে রান্না করে খেলে নিজের ইচ্ছামত রান্না করে খাওয়া যায়। এই এক পাশ দিয়ে আমি সুবিধা মনে করি। যাইহোক, ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়েছি।
পরে বড় ভাইসহ বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। তবে বাজারে যাওয়ার পথে সকালের নাস্তা খেয়েছিলাম। আমাদের বাসার সামনে একটি দোকানে অনেক সুন্দর সিঙ্গারা পাওয়া যায়। আজকের এই যুগেও এখনো ঐ দোকানে পাঁচ টাকার সিঙ্গারা পাওয়া যায়। নাস্তা খাওয়ার শেষ করে বাজারে চলে গিয়েছি।
বাজারে গিয়ে সর্বপ্রথম মুরগি নিয়েছিলাম। আমরা বেশিরভাগ সময়ই মুরগির মাংস খাই। সত্যি কথা বলতে, মাংস রান্না করতে তেমন ঝামেলা হয় না। মুরগি কেনা শেষ করে কিছু সবজি নিয়েছিলাম। বর্তমানে আগের তুলনায় কিছুটা সবজির দাম কমেছে। কিন্তু বর্তমানে বাজারের কোন ঠিক নেই।
আলহামদুলিল্লাহ সব বাজার শেষ করে বাসায় চলে এসেছি। বাসায় আসার পর দুজনে রান্নাবান্নার কাজে বেশ ব্যস্ত ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ রান্না শেষ করে গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। এরপর দুপুরের খাবার খেয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। গতকালকে ল্যাবে আমাদের দুইজনের ডিউটি ছিল। দুজন থাকলে অন্তত কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়।
গতকালকেও বিপিএলের খুলনা টাইগার্স বনাম ঢাকা ক্যাপিটালের খেলা ছিল। কাজের ফাঁকে কিছু সময় খেলা দেখেছি। গতকালকে মনটা অনেক খারাপ ছিল। বিকেলের দিকে খালা সবাইকে চা খেতে দিয়েছিল। এত চেষ্টা করে চা খাওয়ার অভ্যাসটা বাদ দিতে চাচ্ছি, কিন্তু তারপরেও হচ্ছে না। আসলে চা খাওয়া আমার পুরনো দিনের অভ্যাস।
তবে সবাই দোয়া করবেন, আমার এই অভ্যাসটা যেন আমি ছাড়তে পারি। গতকালকে একটা রিপোর্ট নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। সাইন্টিফিক অফিসার গতদিনে ছুটিতে ছিল। পরে ভাইকে ফোন দিয়ে কথা বলে টেস্টের বিষয়টা ক্লিয়ার করেছি। এরপর ভাইয়ের পরামর্শ অনুযায়ী রিপোর্ট ছেড়েছিলাম।
আমার ক্ষেত্রে আমি সব সময় চেষ্টা করি একজন রোগীকে নির্ভুল রিপোর্ট দেওয়া। শুধু আমি নই, আমার মত সকল টেকনোলজিস্টের উচিত সঠিকভাবে টেস্ট করে একজন রোগীকে নির্ভুল রিপোর্ট দেওয়া। কারণ একজন রোগী চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেকটাই আমাদের উপর নির্ভরশীল।
আমি বিগত কয়েকদিন থেকে অনেকটা অসুস্থ হয়েছি। হঠাৎ করে আমার এতগুলো সমস্যা ধরা পড়বে আমি বুঝতেই পারিনি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারি।
বিকেলে ডিউটি থাকায় সকালে ওঠার খুব বেশি তারা ছিল না।। নয়টার দিকে ঘুম থেকে ওঠার পর নাস্তা করে বাজারে গিয়েছেন আর বাজার করে আসার পর সঠিক সময়ে ডিউটিতে গিয়েছিলাম আবার দেখতে পারলাম বিপিএল খেলা দেখেছেন।। সব মিলিয়ে সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছেন।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার ডায়েরি পড়ে মনে হলো যেন একটা পুরো দিনের অভিজ্ঞতা একসঙ্গে দেখে ফেললাম! বাজার করা থেকে শুরু করে অফিসের কাজ, খেলা দেখা, এমনকি চা খাওয়ার অভ্যাস ছাড়ার চেষ্টার কথাও সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে রোগীদের সঠিক রিপোর্ট দেওয়ার প্রতি আপনার যত্নশীল মনোভাব প্রশংসনীয়। অসুস্থতার কথা শুনে খারাপ লাগলো, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এটাই কামনা করছি। শুভকামনা রইলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit