আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। গতকালকে থেকে আমি একটু অসুস্থ ছিলাম। তারপরও আল্লাহতালার কাছে শুকরিয়া আদায় করি। আজকে আপনাদের মাঝে সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতো আজকেও সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছি। আজকে শুক্রবারের দিন ছিল। আর শুক্রবার দিন মানেই আমাদের মুসলমানদের জুমার নামাজের দিন। এজন্য সবাই বলি আলহামদুলিল্লাহ। বিগত পোস্টে হয়তো বলেছি শুক্রবার দিনে আমাদের প্রতিষ্ঠানে অনেক বেশি কাজ হয়।
কারণ শুক্রবারে বাইরে থেকে অনেকগুলো ডাক্তার চেম্বার করার জন্য আসেন। যাইহোক, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ল্যাবে গিয়ে সকালের কাজগুলো করেছিলাম। শুক্রবার দিনে বলতে গেলে সকাল ৭টা থেকে কাজ শুরু হয়। মোটামুটি সকাল ১০ টা পর্যন্ত একটানা কাজ করেছি। আর শুক্রবারের দিনে আমার সহকারীরা একটু তাড়াতাড়ি চলে আসে।
সহকারীরা আসার পর রুমে গিয়ে গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। গোসল করার পর হোটেলে গিয়ে নাস্তা খাওয়ার সময় পায়নি। আবারো ল্যাবে গিয়ে কাজ করেছি। এর মাঝে একজন খালাকে দিয়ে নাস্তা আনার জন্য পাঠিয়েছিলাম। পরে ল্যাবে বসেই সকালের নাস্তা সেরে নিয়েছি।
আসলে শুক্রবার দিনে এত বেশি কাজ যা বলার মত নয়। মানে নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো সময় পাওয়া যায় না। যাইহোক, নাস্তা খাওয়ার পর আবারো কাজ শুরু করেছি। এর মাঝে আমাদের মাইক্রোস্কোপ মেশিনের একটু সমস্যা হয়েছিল।
এরকম ব্যস্তময় দিনে কোন মেশিনের সমস্যা হলে আসলে অনেক বিপদে পড়তে হয়। পরে হঠাৎ করে চিন্তা হলো আমাদের মালিকের নতুন প্রতিষ্ঠানে দুইটি মাইক্রোস্কোপ আসে। সেখান থেকে একটি মাইক্রোস্কোপ নিয়ে এসে কাজ করেছি।
দুপুরে জোহরের নামাজের সময় হলে মসজিদে গিয়েছি। আমাদের প্রতিষ্ঠানের পাশেই অনেক বড় একটি মসজিদ আছে। আলহামদুলিল্লাহ সেখানে গিয়ে জুমার নামাজ আদায় করেছি। আবারো ল্যাবে এসে কিছু কাজ ছিল, সেগুলো শেষ করে রুমে এসে দুপুরে খাবার খেয়েছি।
খাওয়া শেষ করে আজকে বেশিক্ষণ রেস্ট করতে পারিনি, তাড়াতাড়ি ল্যাবে চলে গিয়েছি। আর হ্যাঁ! একটা কথা তো বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, গতকালকে রাত থেকে আমার অনেক মাথা ব্যাথা। এজন্যই গতকালকে পোস্ট লিখতে পারিনি। আজকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মোটামুটি ভালই ছিলাম। বিকেলের দিকে আবার মাথা ব্যথা শুরু হয়েছিল। পরে আমি আর কাজ না করে কিছুক্ষণ রেস্ট করেছি।
সন্ধ্যার দিকে সব কাজ শেষ করে বড় ভাইয়ের সাথে বাইরে বের হয়েছি। কিন্তু আজকে মাথা ব্যথার জন্য কোন কিছুই ভালো লাগেনি। এমন কি খাওয়ার রুচিও ছিলনা। কিছুক্ষণ বড় ভাইয়ের সাথে থেকে হোটেলে এসে নাস্তা খেয়েছি। হালিম আমার অনেকটা পছন্দের খাবার তাই হালিম খেয়েছিলাম।
পরে আবারো হসপিটালে এসে একজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। কারণ ঢাকার "ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক" সেন্টারের চাঁদপুর "ল্যাবএইড" শাখায় চাকরির জন্য কথাবার্তা চলছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আমার চাকরিটা হয়ে যায়। কারণ অনেক ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার ইচ্ছা সবার থাকে। সেরকমটা আমার নিজেরও আছে। পরে কথা বলা শেষ করে পোস্ট লিখতে বসেছি।