আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও মোটামুটি ভালো আছি। ভালো-মন্দ নিয়েই মানুষের জীবন। আজকে আপনাদের মাঝে সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
প্রতিদিনের নিয়ম অনুযায়ী আজকে একটু দেরিতেই ঘুম ভেঙেছে। শুধু একটু দেরি বললে ভুল হবে, অনেক দেরিতেই ঘুম ভেঙেছে। কিন্তু ঘুম থেকে উঠেই একটা জিনিস খেয়াল করেছি, আমার চোখের নিচে একটু ফুলে গেছে। হঠাৎ এরকম চোখের নিচে ফুলে যাওয়ার কারণ বুঝতে পারি নি।
ফুলে যাওয়ার সাথে হালকা করে ব্যথাও ছিল। চিন্তা করলাম চোখে কোন ব্যাথা পাইনি, তাহলে এরকম ফুলে যাওয়ার কারণ কি। যাইহোক, যেটা বলতে চাইলাম, আমি আজকে ঘুম থেকে উঠেছি দুপুর ১২:০০টা নাগাদ। সত্য কথা বলতে, বিকেলে ডিউটি থাকলে নিজের মধ্যে অনেক অলসতা চলে আসে। অনেক বেশি ঘুমালে শরীর একটু দুর্বলও লাগে।
ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়েছি। যেহেতু অনেক দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছি এজন্য আর বাইরে নাস্তা খেতে যাইনি। জালানা দিয়ে বাইরে দেখলাম আকাশটা মেঘলা ছিল। এদিকে বড় ভাই রান্নাবান্নার কাজে বেশ ব্যস্ত ছিল। ব্যাচেলর জীবনের এই একটাই কষ্ট। তারপরও চলতে হবে কারণ জীবনে কিছু করতে হলে কষ্ট করতেই হবে।
আজকে আমার বিকেল ৩:০০টার সময় ডিউটি ছিল। দুপুর ২ঃ০০ টার দিকে তাড়াতাড়ি গোসল করে রেডি হয়েছি। আজকেও দুপুরের খাবার হোটেলে খেতে হবে, তাই সময়ের আগেই অফিসে যাওয়ার জন্য বের হয়েছি। যাওয়ার পথে হোটেল থেকে দুপুরের খাবার খেয়েছি।
অফিসে যাওয়ার সময় আমার সাথে বড় ভাইও ছিল। পরে বড় ভাইসহ রিক্সায় অফিসে গিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ অফিসে পৌছে সরাসরি ল্যাবে গিয়েছি। বিগত পোস্টে বলেছিলাম, আমাদের প্রতিষ্ঠানের মালিক আমাদের ল্যাব পরিদর্শন করতে আসবেন। তাই নিজের কাজে বেশ ব্যস্ত ছিলাম।
আমাদের প্রতিষ্ঠানের মালিক সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পছন্দ করেন। এজন্য পুরো ল্যাব নিজের মত করে সবকিছু গুছিয়েছি। বাইরের ছোট ছোট ডাইগনস্টিক সেন্টার এবং হাসপাতালের থেকে ল্যাবএইডের নিয়মগুলো একটু ভিন্ন রকম।
ল্যাবে কাজ করার মাঝে কোন দিক দিয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেছিল বুঝতেই পারিনি। এক হিসেবে কাজে ব্যস্ত থাকলে তাড়াতাড়ি সময় চলে যায়। যাইহোক, দুঃখের বিষয় হল আজকেও প্রতিষ্ঠানের মালিক আসার কথা বলে, আসেনি। কিন্তু তিনি না আসলে তো আর কিছুই করার নেই।
সন্ধ্যার পর একটু ক্ষুধা লেগেছিল তাই বাইরে ভাপা পিঠা খেতে গিয়েছি। শীতের সময়ে রাস্তার পাশে অনেক ভাপা পিঠার দোকান পাওয়া যায়। কারণ নিজের বাড়িতে মায়ের হাতে শীতের পিঠা খাওয়ার সুযোগ নেই। তাই মাঝে মাঝে বাইরে খাওয়ার চেষ্টা করি।
পরে রাত ১০:০০টা পর্যন্ত কাজ করি ল্যাব বন্ধ করেছি। আর হ্যাঁ! আজকে বাসায় সবাই মিলে রাতে খিচুড়ি খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই বাসায় আসার পথে বাজার করে নিয়ে এসেছি। পরে সবাই মিলে একসাথে রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আপনাদের সবার জন্য খিচুড়ির দাওয়াত রইলো। আজকে এই পর্যন্তই ছিল।
মনে হয় রাতে ঘুম বেশি হয়েছে যার ফলে চোখ ফুলে গেছে এরকমটা হয় হয়তো আপনারা এই কারণে হয়েছে।। আর হ্যাঁ ব্যাচেলর জীবনে রান্নাবান্না করার মত কষ্টকর কাজ বোধহয় আর কিছু নেই। বিকেলে অফিস থাকায় নিজের মধ্যে কিছু তা অলসতা কাজ করে আসলে আমারও কিছু কিছু কাজে অলসতা চলে আসে যেটা পরবর্তীতে করলেও সমস্যা হবে না এই কাজগুলোতে।। ধন্যবাদ একটি দিনের কার্যক্রম এত সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit