Better Life With Steem | | The Diary Game | | 04 January, 2025

in hive-120823 •  17 days ago  (edited)

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আপনাদের মাঝে গতকালকের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :

The Diary Game_20250105_100525_0000.png

Edit by canva

আলহামদুলিল্লাহ অন্যান্য দিনের তুলনায় গতকালকে অনেক দেরিতেই ঘুম ভেঙেছে। বিকেলবেলা ডিউটি থাকলে যা হয়। ঘুম থেকে উঠে দেখি দুপুর ১টা বেজে গিয়েছে। আসলে এত বেলা হয়ে ঘুম থেকে উঠা নিজের শরীরের জন্য খারাপ। এটা আমি নিজেই খুব ভালো করে উপলব্ধি করতে পারি। কিন্তু শীতের দিনে কেন জানি উঠতেই ইচ্ছে করে না।

IMG_20250104_145354.jpg

বাইরে খেয়াল করলাম অনেক রোদ উঠেছে। পরে তাড়াতাড়ি উঠে গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। ফ্রেশ হয়েছি ঠিকই, কিন্তু খুব ক্ষুধা লেগেছিল। রুমে খাওয়ার মত তেমন কিছুই ছিল না। আমার ডিউটি ছিল বিকেল ৩টার সময়। আমার সাথে এক বড় ভাইয়েরও ডিউটি ছিল। পরে রেডি হয়ে দুজনে মিলে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।

IMG_20250104_151258.jpg

আলহামদুলিল্লাহ অফিসে পৌঁছে মাত্রই আগে দুপুরের খাবার খেয়েছি। এত বেশি ক্ষুধা লেগেছিল যা বলার মত নয়। এই খাওয়া দাওয়ার জন্য মা প্রতিদিন ফোন দিয়ে গালাগালি করে। খাওয়া শেষ করে ল্যাবে এসে প্রতিদিনের মতো নিজের কাজ শুরু করেছি।

আর হ্যাঁ! গতকালকে ল্যাবে আমার একার ডিউটি ছিল। পুরো ল্যাব আমাকে সামলাতে হয়েছে। মাঝখানে একটা টেস্ট নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। টেস্ট'টা ছিল মূলত "স্টক"জনিত টেস্ট। আর টেস্টের রিপোর্টে সমস্যা ছিল।

IMG_20250104_164956.jpg

পরে সিনিয়র ভাইয়ের সাথে ফোনে কথা বলে আমি রিপোর্ট ছেড়েছিলাম। মাঝে মাঝে এরকম সমস্যা হলে আমি অবশ্যই সিনিয়র ভাইদের সাথে পরামর্শ করে রিপোর্ট দেই। আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি বাকি সময় পর্যন্ত আর ঝামেলা হয়নি।

IMG_20250104_184245.jpg

সন্ধ্যার দিকে আমাদের সাইন্টিফিক অফিসার ভাই এসেছিলেন। ভাইয়ের অবশ্য গতকালকে ছুটির দিন ছিল। কিন্তু একটা কাজে ভাবি এবং ভাই দুজনে এসেছিল। পরে সবার জন্য বাইরে থেকে চিকেন বার্গার নিয়ে এসেছিলাম।

IMG_20250104_194412.jpg

খাওয়া-দাওয়া শেষ করার পর ভাবির কিছু টেস্ট করিয়ে দিয়েছি। রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব হয়নি, তাই হাতে লিখে দিয়েছি। ভাই এবং ভাবি চলে যাওয়ার পর আমি আবারো নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আসলে একাই ডিউটি করা একটা চ্যালেঞ্জের বিষয়।

আমার এই বিষয়টা উপলব্ধি করে কাজ করতে বেশ ভালই লাগে। বিশেষ করে ল্যাবএইডের মতো প্রতিষ্ঠান একাই সামলানো অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন, যেন সব দায়িত্ব ঠিকঠাক ভাবে পালন করতে পারি।

IMG_20250104_212320.jpg

মোটামুটি রাত 9 টার দিকে একজন রোগী এসেছিলেন। বাচ্চাটির হাতে মূলত "MT"(Manteux Test) এর ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। আমি ভালোভাবে দেখে কোথাও ফুলে গেছে কিনা, সেটা খেয়াল করেছি। কিন্তু আমরা যেখানে ভ্যাকসিন দিয়েছি সেখানে ফুলে যায়নি বা কোন রিয়াকশন হয়নি।

কিন্তু ঐ জায়গা বাদে একটু নিচে ফুলে গিয়েছে। কিন্তু এটা ভ্যাকসিনের জন্য নয়। বাচ্চার হয়তো অন্য কোন Skin Disease এর জন্য হয়েছে। যাইহোক, মোটামুটি রাত দশটা পর্যন্ত কাজ করে ল্যাব বন্ধ করেছি। আজকে এই পর্যন্তই ছিল।

ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

ডিউটি বিকেলে থাকায় সকালে ওঠার কোন তারা ছিল না শান্তি মত ঘুম পাড়িয়ে ধীর গতিতে সকালে ঘুম থেকে উঠেছেন।। খাওয়া দাওয়া করে ডিউটিতে গিয়েছেন এবং দায়িত্ব নিয়ে ডিউটি পালন করেছেন।। আর হ্যাঁ মা এমনই প্রতিটি সন্তানের খাওয়া-দাওয়া নিয়ে অনেক সচেতন থাকে।।

সত্যি কথা বলতে ভাই বিকেল ডিউটি থাকলে একদম রিলাক্সে ঘুম থেকে উঠি। মানে তাড়াতাড়ি ডিউটিতে যাওয়ার কোন চাপ থাকে না। এই দিক থেকে একটা সব থেকে বড় সুবিধা পেয়েছি।
মায়েরা সবসময় এমনই হয় সন্তানদের খেয়াল রাখার চেষ্টা করেন। এই খাওয়া দাওয়ার জন্য মা প্রতিদিনই ফোন দিয়ে বকাবকি করে।

ল্যাব এর কাজ যখন নিজের উপর পড়ে তখন অনেক বেশি সমস্যা হয়ে যায় তবে আপনি খুব সুন্দর ভাবেই সে দায়িত্বটা পালন করেছেন আপনার একজন সিনিয়র ভাই এসেছে উনার ওয়াইফ এর কিছু পরীক্ষা ছিল সেগুলো সম্পূর্ণ করে নিয়েছেন ধন্যবাদ এত ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের সাথে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।

  ·  13 days ago (edited)

সর্ব প্রথম কথা হচ্ছে আমাদের ল্যাবের রিপোর্ট এর কাজগুলো খুব নিকটভাবে করতে হয়। কারণ এই রিপোর্টের উপর একজন রোগীর চিকিৎসা নির্ভর করে। তাই সবসময় দায়িত্বর সাথে কাজ করার চেষ্টা করি।
যিনি সিনিয়র হয়ে এসেছিলেন উনি আমাদের ল্যাবএইডের সাইন্টিফিক অফিসার। সেদিন ভাবি আসার কারণে ভাবির কিছু টেস্ট করিয়ে দিয়েছিলাম।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ