Better Life With Steem | | The Diary Game | | 04 July, 2024

in hive-120823 •  last month 

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে ছোট্ট একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো:আমার গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে।তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক:

20240705_142941_0000.png

Edit by canva

আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতোই গতকালকেও সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠেছি। কিন্তু গতকালকে ঘুম থেকে উঠার জায়গাটা ছিল ভিন্ন। কারণ বিগত পোস্টে আমি সবাইকে অবগত করেছি, আমি নীলফামারীতে আমার আপুর বাসায় ছিলাম।

সকালবেলা আমায় আবারও নীলফামারী থেকে পার্বতীপুরে চলে আসতে হবে। কারন আমার ল্যাবে ডিউটি ছিল। দায়িত্বের কাছে যে আমি বন্দি। সবকিছু মাফ হলেও ডিউটি কোন ভাবেই মিস দেওয়া যাবে না। যাইহোক, ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে ছিলাম।

IMG_20240704_082909.jpg

এদিকে আপু আমার জন্য নাস্তা বানিয়েছে। আহ! অনেকদিন পর আপুর হাতের নুডুলস খেয়েছি। সেই সাথে আরো গরম গরম খিচুড়ি রান্না করেছিল। সকালবেলা হালকা ঝিরঝির বৃষ্টি ছিল। বৃষ্টির সাথে খিচুড়ি খাওয়ার মুহূর্তটা একদম অন্যরকম ছিল।

নাস্তা খাওয়া শেষ করে আমি তাড়াতাড়ি রেডি হয়েছি। এদিকে আপুর ও আবার ডিউটি আছে। আর হ্যাঁ! ল্যাবে এসে দুপুরে খাওয়ার জন্য আপু বাটিতে করে খিচুড়ি দিয়েছিল। আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবেই আপুর বাসা থেকে বের হয়ে ল্যাবে আসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।

IMG_20240704_093513.jpg

যাদের বাসা উত্তরবঙ্গে তারা হয়তো জানেন, নীলফামারীর রাস্তাগুলো খুব সুন্দর। সর্বপ্রথম ভ্যান গাড়ি করে হাইওয়ে রাস্তায় এসেছিলাম। রোডে আসা মাত্রই একটি অটো গাড়ি পেয়েছি। অটো গাড়ি করেই নীলফামারী থেকে সৈয়দপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।

আলহামদুলিল্লাহ সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে পৌঁছে আবারো একটি ভ্যানগাড়ি করে ল্যাবে আসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। আমাদের বাসা থেকে আপুর বাসা খুব একটা বেশি দূরে নয়। কিন্তু যেতে একটু সময় লাগে তার কারণ হলো কয়েকবার গাড়ি পরিবর্তন করতে হয়।

IMG_20240704_114324.jpg

আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে ল্যাবে পৌঁছে গিয়েছি। তবে আসতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল। এজন্য মাঝ রাস্তায় আমি মালিক ভাইকে ফোন দিয়ে জানিয়েছিলাম আমার যেতে একটু সময় লাগবে। ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে সেরেছি। ল্যাবে প্রবেশ করা মাত্রই বেশ কয়েকটি কাজ হয়েছিল। মোটামুটি দুপুর পর্যন্ত কাজ করেছিলাম।

IMG_20240704_141336.jpg

পরে খাওয়ার সময় হয়ে গেলে খেয়ে নিয়েছি। সত্যিই খিচুড়ির সাথে গরুর মাংস খাওয়ার স্বাদ একদম অন্যরকম। খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতোই বিকেল পর্যন্ত শুয়ে রেস্ট করেছি। বিকেলের দিকে হঠাৎ চারদিক থেকে আকাশ অন্ধকার হয়ে এসেছিল। পরে কিছুক্ষণের মধ্যেই তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। একটানা সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছিল।

আমি আপুর বাসা থেকে ডিউটিতে এসেছি, এজন্য আমার সাথে গাড়ি ছিলনা। আর সন্ধ্যার পর আবহাওয়া আরো খারাপ হয়েছিল। তাই দেরি না করে তাড়াতাড়ি ল্যাব বন্ধ করেছি। এর মাঝে মা আমাকে ফোন দিয়ে বাসায় কিছু সবজি নিয়ে যেতে বলেছে।

IMG_20240704_213254.jpg

আলহামদুলিল্লাহ ল্যাব বন্ধ করে ভ্যান গাড়ি করে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। বাসায় যাওয়ার পথে আমাদের এলাকার বাজারে সবজি নিয়েছিলাম। পরে সুস্থভাবে বাসায় পৌঁছে গিয়েছি।

ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বৃষ্টির মধ্যে গরম গরম নুডুলস নিশ্চয় খুব মজা হয়েছিলো। আমি মনে করি, বৃষ্টির মধ্যে খিচুড়ি একটা উপযুক্ত খাবার। অন্যান্য দিন আমাদের এখানেও বৃষ্টি হয় তবে আজ আর বৃষ্টি হয় নি। ল্যাব থেকে বাড়িতে আসার সময় কিছু বাজার করেছিলেন। কিছু কিছু সময় বাজার করা দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

বৃষ্টি ভেজা সকালে গরম গরম খিচুড়ি আর নুডুলস খাওয়ার স্বাদ একদম অন্যরকম। আমাদের উত্তরবঙ্গে বর্তমানে কমবেশি প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু সেদিন অন্যান্য দনে তুলনায় বৃষ্টি হয়নি। তাই ভালোভাবেই আমি নীলফামারী থেকে ল্যাবে ডিউটিতে এসেছি।
বাসায় যাওয়ার পথে মা আমাকে কিছু বাজার করে নিয়ে যেতে বলেছিল। মায়ের কথা মতো বাজার করে নিয়ে গেছিলাম।

আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।

আর কি বলবো ভাই বৃষ্টির সময় খিচুড়ি খেতে আসলে অনেকটাই মজা লাগে আপনি যেমন খিচুড়ি ক্ষেত্রে অনেক পছন্দ করেন। ঠিক আমিও আপনার মতন খিচুড়ি খেতে অনেকটাই পছন্দ করি এবং যদি আরো হালকা পাতলা বৃষ্টি হয় তাহলে তার মজাটাই আলাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

আমার মনে হয় ভাই প্রতিটি মানুষই বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে পছন্দ করে। কারণ বৃষ্টি সময়ে খিচুড়ি খাওয়ার মুহূর্তটা যেন আরো আনন্দময় হয়ে ওঠে। সেদিন আমি আপুর বাসায় ছিলাম। আর আমার আপুর হাতের খিচুড়ি অনেক সুস্বাদু হয়। তাই আপু আমাকে সকালবেলা গরুর মাংসের সাথে গরম গরম খিচুড়ি খেতে দিয়েছিল।
তবে ভাই খিচুড়ি আমাকে তেমন পাতলা ভালো লাগে না।

আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

Loading...

বোনেদের বাসায় ভাইদের যত্ন সব সময় বেশি থাকে।। সকালে নাস্তা খেয়েছেন আর ল্যাবে আসার জন্য বোন খিচুড়ি দিয়েছে শুনে ভালো লাগলো।। আর হ্যাঁ কর্মজীবন এমনই যায় কিছু করি না কেন কর্ম আমাকে করতেই হবে।।

ঠিক বলেছেন ভাই, বোনদের বাসায় ভাইদের খাতির যত্ন অনেক বেশি হয়। আপনার বোন আছে, আপনিও হয়তো আমার মতো সেটা ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারেন। আপুর বাসায় একদিন ছিলাম। কিন্তু কি খেতে দিবে আর না দিবে। যা বলার মত ভাষা ছিল না।
আমরা প্রত্যেকে কর্মজীবনে যুক্ত আছি। সে ক্ষেত্রে আমাদের সঠিকভাবে ডিউটি পালন করতেই হবে।

আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ।

জি ভাই আমি এটা খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারি আর এজন্যই বলতে পারছি যে বোনের আদর ভাইয়ের প্রতি কতটা আনন্দের।।