Better Life With Steem | | The Diary Game | | 05 January, 2025

in hive-120823 •  16 days ago 

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আপনাদের মাঝে গতকালকের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :

The Diary Game_20250106_105042_0000.png

Edit by canva

আলহামদুলিল্লাহ গতকালকে ঘুম থেকে উঠেছি সকাল ৭টা নাগাদ। সত্যি কথা বলতে, আমি যে এত সকালে ঘুম থেকে কিভাবে উঠেছি। আমি নিজেও বলতে পারি না। কারণ এই শীতের সকালে ৭টার সময় ঘুম থেকে উঠা মানে এক প্রকার যুদ্ধ করা। কিন্তু ঐ যে, একটা কথা আছে না, চাকরি জীবন, কিছুই করার নেই।

IMG_20250105_075359.jpg

ঘুম থেকে উঠে বাইরে খেয়াল করলাম চারদিকে একদম কুয়াশায় ভরা। চাঁদপুরে আসার পর থেকে গতকালকে আমার দেখা সবথেকে বেশি কুয়াশা পড়েছিল। মনে হয়েছিল চারদিকে একদম অন্ধকার। যাইহোক, পরে তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়েছি। আর হ্যাঁ! আমরা বাসায় চারজন মিলে থাকি। গতকালকে চারজনেরই সকাল ডিউটি ছিল। পরে সবাই মিলে রেডি হয়ে অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।

IMG_20250105_080601.jpg

অফিসে যাওয়ার পথে রাস্তাঘাট একদম ফাঁকা ছিল। শীতের সকালে অবশ্য ফাঁকা থাকাটাই স্বাভাবিক। আর আমরা যে বাসায় থাকি, ঐখান থেকে লঞ্চ ঘাট বেশি দূরে না। যার কারনে নদীর ঠান্ডা আবহাওয়া আসে। আলহামদুলিল্লাহ অফিসে পৌঁছে ল্যাবে গিয়ে সবকিছু চালু করেছি।

এরকম কুয়াশা ভরা সকালে রোগীর কোন চাপ ছিল না। তাই কিছুক্ষণ বসে মোবাইল চালিয়েছি। এরপর ঢাকার কিছু রিপোর্ট ছিল সেগুলো প্রিন্ট করেছিলাম। মানে আমাদের এখানে যেগুলো টেস্ট হয় না, সেগুলো আমাদের ল্যাবএইড এর ধানমন্ডি হেড অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

IMG_20250105_092234.jpg

পরে রিপোর্ট হয়ে গেলে আমরা এখান থেকে প্রিন্ট দিয়ে রোগীকে দিয়ে থাকি।এর মাঝে একটা ছোট বাচ্চার ব্লাড কালেকশন এসেছিল। তবে ল্যাবএইডের ভিতরে নয়, চাঁদপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে স্যাম্পল কালেকশন করে আনতে হবে। পরে বড় ভাই স্যাম্পল কালেকশন করার জন্য গিয়েছিল।

IMG_20250105_144538.jpg

শীতের দিনে কাজের গতি এত খারাপ অবস্থা হবে, যা বলার মত ছিল না। রোগীরা মনে হয়, শীতের কারণে প্রয়োজন থাকার সত্ত্বেও বাইরে বের হয়নি। মোটামুটি দুপুর পর্যন্ত অবসর সময় কাটিয়েছি। দুপুরের দিকে হালকা রোদ উঠেছিল। আমার ডিউটি ছিল বিকেল ৩টা পর্যন্ত। পরে দুইটার পর খাওয়ার সময় হলে খেয়ে নিয়েছি।

IMG_20250105_112538.jpg

খাওয়া শেষ করে আবারও ল্যাবে গিয়ে কাজ করেছিলাম। যদিও তেমন একটা কাজ ছিল না, তারপরও অফিসের কিছু কাজ থাকে যেগুলো করতে হয়। মোটামুটি ৩টার দিকে বিকেল শিফটের ভাই চলে এসেছিল। বড় ভাইকে সব কিছু বুঝিয়ে দিয়ে আমি বাসায় চলে এসেছি। বাসায় আসার পর গোসল দিয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে ছিলাম। কারণ সকালবেলা তাড়াতাড়ি উঠার কারণে তেমন একটা ঘুম হয়নি।

IMG_20250105_215415.jpg

ঘুম থেকে উঠে দেখি রাত ৮টা বেজে গিয়েছে। আবার রাতে খাওয়ার জন্য মেসে যেতে হবে। পরে ফ্রেশ হয়ে আবারো খাওয়ার জন্য গিয়েছি। আমরা সবাই মূলত অফিসের মেসে খাই। অফিসে গিয়ে দেখলাম রাতের বেলাও রোগীর কোন চাপ নেই। বেশি শীত হলে এরকম সমস্যা হয়ে থাকে। যাইহোক আজকে এই পর্যন্তই ছিল।

ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ওয়ালাইকুম আসসালাম প্রথমে তো আপনার সালামের জবাব নিয়ে নিলাম কারণ আমরা মুসলমান সালামের জবাব নেয়াটা আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। কালকে অনেক বেশি কুয়াশা পড়েছে আমাদের এখানেও এত পরিমানে কুয়াশা ছিল যে সকাল 9 টা দশটা পর্যন্ত কোন কিছুই দেখা যাচ্ছিল না আসলে কালকেই মনে হচ্ছিল অনেক বেশি ঠান্ডা পড়েছে কিন্তু কুয়াশা যতটা পড়েছে ঠান্ডার পরিমাণটা অনেকটাই কম ছিল।

আসলে যারা বাড়ির বাহিরে কাজ করে তাদেরকে খাবারের জন্য ম্যাচে যেতে হয় তবে আপনাদের অফিসের ম্যাচ রয়েছে জানতে পেরে ভালো লাগলো যেখানে আপনারা খাবার গ্রহণ করে থাকেন আর প্রয়োজন থাকলেও মানুষ এখন বাড়ি থেকে বের হতে অনেক বেশি ভয় পায় গাড়িতে যেমন ঠান্ডা থাকে ঠিক তেমনি চারপাশে কুয়াশা মানুষের শরীরটাকে আরো বেশি অসুস্থ করে তোলে ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।

প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আমার সালাম গ্রহণ করার জন্য। আমাদের মুসলমানদের প্রত্যেকেরই উচিত সালাম দেয়া এবং সালাম গ্রহণ করা।
সেদিন সকাল বেলায় এত পরিমাণ কুয়াশা ছিল একদম চারদিকে কুয়াশায় ভরা।
ব্যাচেলার জীবনে বাইরে থাকলে খাওয়া-দাওয়া অনেক কষ্ট হয়ে যায়। তবে আমাদের অফিসে মেস থাকার কারণে খাওয়া-দাওয়া তেমন একটা সমস্যা হয় না।

ধন্যবাদ

Loading...

ওয়ালাইকুম আসসালাম ভাই, আপনার দৈনিক জীবনে কার্যক্রম পড়ে প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। চাকরির জীবন ভাই, কষ্টের জীবন যা কিছু হুক চাকরিতে যেতেই হবে, কিছু করার নাই পরিস্থিতির শিকার। আপনার পোস্টটি পরে জানতে পারলাম, আপনারা বাসার থেকে নদীর ঘাট অতি নিকটে, এর জন্যই ঠান্ডা বাতাস সব সময় পেয়ে থাকে। আমি সবসময় বলি আপনি কঠোর পরিশ্রম একজন মানুষ, ফ্যামিলি ছাড়া আপনি একা বসবাস করেন। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট করে মন্তব্য শেয়ার করার জন্য। চাকরি জীবন খুব মারাত্মক একটি জিনিস ভাই।
যেখানে নিজের ইচ্ছা না থাকার সত্ত্বেও অনেক কিছু করতে হয়। বলতে গেলে নিজের সুযোগ বলতে কিছু নেই।
হ্যাঁ ভাই আমাদের বাসা থেকে খুব কাছেই চাঁদপুর মেঘনা নদী। এজন্যই ঠান্ডা আবহাওয়াটা অনেক বেশি।