আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের ন্যায় আজকে সকাল ১০:০০ টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠেছি। যদিও আজকে বিকেল ডিউটি ছিল। তারপরও ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠেছি। ঘুম থেকে উঠার কারণ হলো কিছু কাপড় পরিষ্কার করতে হবে এবং সেলুনে যেতে হবে।
ঘুম থেকে উঠেই আগে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়েছি। তখন মোটামুটি ১০.৩০টা বেজেছিল। পরে রেডি হয়ে সেলুনে চুল কাটানোর জন্য গিয়েছি। চাঁদপুরে আসার পর থেকে চুল কাটানো হয়নি।আমার মনে হয়, সব ছেলেদেরই অপরিচিত জায়গায় গিয়ে চুল কাটাতে বেশি ঝামেলা হয়।
যাইহোক, সেলুনে যাওয়া মাত্রই আমি সিরিয়াল পেয়েছিলাম। ভাবছিলাম সিরিয়াল পেতে হয়ত অনেক দেরি হবে। সেলুনের কাজ শেষ করে সোজা বাসায় চলে এসেছি। আর হ্যাঁ! বাসায় আসার পথে নাস্তা খেয়ে এসেছি।
বাসায় আসার পর কাপড় পরিষ্কার করে ছাদে শুকাতে দিয়েছি। আজকে রোদের তাপমাত্রা অনেকটাই কম ছিল। তবে শীতকালে এরকম রোদ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তারপরেও আমি বলি, আমাদের উত্তরবঙ্গের থেকে চাঁদপুরে শীতের আভাস অনেকটাই কম। কাপড় শুকাতে দিয়ে রুমে এসে গোসল করে তাড়াতাড়ি রেডি হয়েছি।
যেহেতু দুপুরের খাবার অফিসে গিয়ে খেতে হবে, এজন্য ডিউটি টাইমের একটু আগেই বের হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ অফিসে যাওয়ার পর সর্বপ্রথম দুপুরের খাবার খেয়েছি। কিন্তু খেতে গিয়ে দেখি মাছের তরকারি রান্না করেছে। মাছ খেতে আমার একদম ভালো লাগে না, কিন্তু কিছুই করার নেই।
খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতোই ল্যাবে কাজ শুরু করেছি। আজকে একটু ল্যাবে কাজের চাপ কম ছিল। তবে ল্যাবের একজন ভাই ছুটিতে ছিল। এজন্য মোটামুটি বাকি কাজ আমারই করতে হয়েছে। আজকে ল্যাবের কাজের পাশাপাশি ব্লাড স্যাম্পল কালেকশন ও আমি নিজেই করেছি।
সন্ধ্যার পর একটি ছোট বাচ্চার "Monteux Test" এসেছিল। যেটা'কে আমরা সংক্ষেপে "MT" বলে থাকি। যদি কারো একটা না অনেকদিন যাবত জ্বর থাকে তাহলে এই টেস্টটা ডাক্তার দিয়ে থাকেন। আর এই টেস্ট মূলত স্কিনের নিচে দিতে হয়। আর হ্যাঁ! স্ক্রিনে দেওয়ার জন্য অবশ্যই ইন্সুলিন সিরিজ ব্যবহার করা হয়। যদিও বাচ্চাটি ছোট ছিল, কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ ভালোভাবে দিতে পেরেছি।
সন্ধ্যার দিকে একটু ক্ষুধা লেগেছিল, তাই বাইরে থেকে বার্গার নিয়ে এসেছি। পরে ভাই সহ বার্গার খেয়েছি। আজকে সারাদিন কাজের তেমন চাপ না থাকলেও সন্ধ্যার পর একটু কাজের চাপ হয়েছিল। সবথেকে বড় ব্যাপার হলো ল্যাবের একজন স্টাফ ছুটিতে থাকলে তার কাজের চাপ গুলো আমাদের উপর পড়ে। সন্ধ্যার দিকে কাজে বেশ ব্যস্ত ছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ রাত ১০:০০টা নাগাদ সব কাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি ল্যাব বন্ধ করেছি। পরে বাসায় আসার পর বড় ভাই সব একটু ছাদে গেছিলাম। আজকে অনেক সুন্দর চাঁদ উঠেছিল। আর আপনারা আগে থেকে জানেন, চাঁদের ছবি উঠাতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আজকে এই পর্যন্তই ছিল।