Better Life With Steem | | The Diary Game | | 11 January, 2025

in hive-120823 •  10 days ago 

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আপনাদের মাঝে গতকালকের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :

The Diary Game_20250112_100019_0000.png

Edit by canva

আলহামদুলিল্লাহ গতকালকে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছি। তবে সকালে ঘুম থেকে উঠার পিছনে একটা বিশেষ কারণ ছিল। আমি গতকালকে থেকে অফিসের মেসে খাওয়া বাদ দিয়েছি। বাদ দেওয়ার একটাই কারণ ঐখানে মূলত বেশিরভাগ সময় মাছ খাওয়ায়।

আমি মাছ তেমন একটা পছন্দ করি না, যার কারণে সমস্যা। এজন্য চিন্তা করেছি আমি আবারও বাসায় রান্না করে খাব। তাই গতকালকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই বাসার আরো একজন ভাইসহ বাজারে গিয়েছি। দুজনে রান্না করে খাওয়ার জন্য কিছু বাজার করেছিলাম।

IMG_20250111_120223.jpg

তবে বাজারে গিয়ে দেখলাম সবজির দাম আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের দুজনের জন্য যা যা প্রয়োজনীয় জিনিস সব নিয়েছিলাম। ব্যাচেলর জীবনের এই একটাই দুঃখ। যে জায়গাতেই যাই না কেন খাওয়া-দাওয়ার সমস্যা।

আলহামদুলিল্লাহ বাজার করা শেষ করে নাস্তা খেয়েছিলাম। এরপর সোজা বাসায় চলে এসেছি। বাসায় আসার পর দুইজনে মিলে রান্নাবান্নার কাজ করেছি। একার পক্ষে রান্নাবান্না করা একটু কষ্ট হয়ে যায়। দুজনে মিলে করলে খুব তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করা যায়।

IMG_20250111_145802.jpg

আমাদের ডিউটি ছিল দুপুর তিনটার সময়। রান্নাবান্না শেষ করে তাড়াতাড়ি গোসল করে দুপুরের খাবার খেয়েছি। খাওয়া শেষ করে আলহামদুলিল্লাহ দুজনে মিলে অফিসে উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। গতকালকে রোদের তাপমাত্রা বেশ ভালোই ছিল। চাঁদপুরে গত কয়েকদিন আগেই যা ঠান্ডা পড়েছিল।

IMG_20250111_161046.jpg

এখন আবার আগের মতই অনেক রোদ উঠে। আলহামদুলিল্লাহ অফিসে পৌঁছে সোজা ল্যাবে গিয়েছি। গতকালকে আমার ল্যাবে একার ডিউটি ছিল। তবে বিকেলবেলা কাজের কোন চাপ ছিল না। তাই অনেকটা অবসর সময় কাটিয়েছি।

IMG_20250111_170239.jpg

সন্ধ্যার আগে খালা চা নাস্তা দিয়েছিল। শীতের দিনে চা খাওয়া মন্দ নয়। আমার তো বেশ ভালই লাগে। চা খাওয়া শেষ করে হাতের কিছু কাজ ছিল সেগুলো সেরেছিলাম। গতকালকের যদিও ল্যাবের কাজ কম ছিল। কিন্তু ঢাকায় যেগুলো স্যাম্পল পাঠানো হয়, সেগুলো অনেক ঝামেলার কাজ ছিল।

গতকালকে বেশিরভাগই FNAC স্লাইডের স্যাম্পল পাঠানো হয়েছে। আর এই স্লাইডগুলো খুব সাবধানে প্যাকেট করতে হয়। কারণ একটা স্লাইডের সাথে আরেকটা স্লাইড লাগলেই একদম সব শেষ।

IMG_20250111_193522.jpg

আলহামদুলিল্লাহ ভালো ভাবে প্যাকেট করে ঢাকার স্যাম্পল পাঠিয়ে দিয়েছি। আমাদের এখানে এই টেস্টগুলো সব সময় আসে না। যার কারণেই সেগুলো ঢাকায় পাঠানো হয়। আর হ্যাঁ! স্যাম্পল প্যাকেট করে শুধু ঢাকায় পাঠালেই হয় না। সেগুলো আবার সফটওয়্যার থেকেও ডেলিভারি করে দিতে হয়।

IMG_20250111_222611.jpg

মোটামুটি রাত দশটা পর্যন্ত কাজ করে ল্যাব বন্ধ করেছি। সাতটার পর যদিও তেমন কাজ ছিল না। কিন্তু এই ঢাকার স্যাম্পলের জন্য অনেকটা ব্যস্ততার মাঝেই ছিলাম। যাইহোক, পরে কাজ শেষ করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। আজকে এই পর্যন্তই ছিল।

ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

ব্যাচেলর জীবনে যেহেতু এত কষ্ট তাহলে একটা বিয়ে করে ফেলেন মজা করে বললাম একটা ছেলে যখন কর্মজীবী হয়ে ওঠে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারে তারপরেই তাকে বিয়ে করা উচিত তাহলে সংসারের মধ্যে অশান্তি হয় না আপনি এবং আপনার ভাই মিলে আপনাদের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করেছেন বাজার করেছেন যেটা দেখে বেশ ভালো লাগলো।

একদমই ঠিক বলেছেন শীতের সময় একটু চা কিন্তু মন্দ নয় অনেকেই আবার গরমের সময়ও চা খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে তবে আমার সমস্যা হচ্ছে আমি চা খেতে তেমন একটা পছন্দ করি না আর খাই ও না অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।

আপনি একদম মনের কথা বলেছেন আপু। চাইলেই বিয়ে করা যায় কিন্তু বিয়ে করলেই যে সব সমস্যার সমাধান হবে এমনটাও কিন্তু নয়। দোয়া করবেন আপু আগে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রস্তুত করি। তারপর ইনশাল্লাহ বাকিটা দেখা যাবে।
বাসায় যে বড় ভাই থাকে দুইজনে মিলে সব সময় রান্নাবান্নার কাজ করি। দুজনে কাজ করলে তেমন একটা সমস্যা হয় না।

সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

কথা আছে কিছু পেতে হলে কিছু হারাতে হয়। কর্মজীবনে কষ্ট না করলে কখনোই সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়,, এতদিন অফিসের মেসে খেয়েছেন সেখানে খাবার পছন্দ না হওয়ার কারণে এখন থেকে আপনি নিজে রান্না করে খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এটা একটা ভাল দিক তবে খানিকটা কষ্ট করতে হবে, তবে নিজের হাতে রান্না খাওয়ার জন্য এতোটুকু কষ্ট করাই যেতে পারে, আশা করছি আপনার কাজের মত রান্নাটাও খুব দক্ষতার সাথে করবেন প্রথম দিনের নতুন বাজার করে রান্নাবান্না সম্পন্ন করেছেন দেখে ভালো লাগলো।

এভাবেই নিজের কাজ নিজে করতে থাকুন এবং আমাদের সাথে শেয়ার করুন, সারাদিনের কার্যক্রমটি পরিবেশ ভালো লাগলো।

একদম মনের কথা বলেছেন আপু, কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে। আমি কয়েকদিন আগে অফিসের মেসে খেতাম। কিন্তু সেখানের খাবার ভালো না হওয়ার কারণে আবারও বাসায় রান্না করা শুরু করেছি।
যদিও তেমন একটা রান্না করতে পারি না তারপর নিজের মত করে চেষ্টা করতেছি।
আমাদের ব্যাচেলার বাসায় তো আর ফ্রিজ নেই। তাই সব সময় বাজার করেই রান্না করার চেষ্টা করি।

সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।