আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
আলহামদুলিল্লাহ আজকে একটু সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছি। যদিও আজকে বিকেল ডিউটি ছিল তারপরেও সকালে উঠেছি। সত্যি কথা বলতে, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠলে মনটা অনেক ফ্রেশ থাকে।
কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে বিকাল ডিউটি হওয়ার কারণে অনেক দেরিতেই ঘুম থেকে উঠি। তাই আজকে ইচ্ছে করেই একটু তাড়াতাড়ি উঠেছি। ঘুম থেকে উঠে বাইরে দেখি অনেক বাতাস আর অনেক ঠান্ডা। আজকে সকালবেলায় মনে হয়েছে, চাঁদপুরে সর্বোচ্চ শীত পড়েছে।
এ কথা বলার কারণ হলো আমি আসার পর থেকে চাঁদপুরে প্রতিদিনই প্রচন্ড তাপমাত্রায় রোদ উঠে। শীতের আভাস তেমন একটা পাইনি। সেই তুলনায় আজকে ভালোই ঠান্ডা ছিল। যাইহোক, ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়েছি। কিন্তু ফ্রেশ হওয়ার পর ঠান্ডার কারণে আর বাইরে নাস্তা খেতে যাই নি। রুমে বিস্কিট ছিল সেগুলো খেয়েই সকালের নাস্তা সেরেছি।
দুপুর ১২:০০টার দিকে মা আমায় ফোন দিয়েছিল। পরে মা এবং আপুর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ ফোনে কথা বলেছি। বাড়ির বাইরে থাকলে কেউ খোঁজ না নিলেও মা-বাবা এবং আপু খোঁজ নিবেই। এটাই হচ্ছে আমার জীবনের সবথেকে বড় পাওয়া।
পরে গোসল করে রেডি হয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। প্রথমেই বলেছি আজকে শীত ছিল, এজন্য জ্যাকেট পরে ডিউটিতে গেছি। আলহামদুলিল্লাহ অফিসে পৌঁছে আগে দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম। এরপর ল্যাবে প্রবেশ করে নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এর মাঝে খালা চা পাঠিয়েছিল।
শীতের দিনে চা হলে তো আর কোন কথাই নেই। শুধু শীতের দিনে নয়, আমার চা খেতে সব সময়ই ভালোই লাগে। আজকে বিকেলের দিকে বলতে গেলে কাজের কোন চাপই ছিল না। এর কারণ হলো প্রচন্ড শীতে মানুষ বাসা থেকে বাইরে বের হতে চায় না।
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না, শীতের দিনে মানুষ খুব কম অসুস্থ হয়। আমার কাছে মনে হয়, এটা সৃষ্টিকর্তার একটি নিয়ামত। দোয়া করি, প্রতিটি মানুষ যেন সব সময় সুস্থ থাকে। সন্ধ্যার দিকে ক্ষুধা লেগেছিল পরে বাইরে গিয়ে ভাপা পিঠা খেয়েছি। চাঁদপুরে আবার রাস্তার আশেপাশে অনেক শীতের পিঠার দোকান পাওয়া যায়। পরে মোটামুটি রাত ৯:০০ টা পর্যন্ত কাজ করে রাতের খাবার খেয়েছি।
রাতের খাবারটা তেমন একটা ভালো লাগেনি, তারপরেও একটু খেয়েছিলাম।কারণ এখানে তো আর নিজের মা নেই। নিজের পছন্দের খাবার রান্না করে দিবে। খাবার খেয়ে ল্যাবে গিয়ে সব কাজ শেষ করে ল্যাব বন্ধ করেছি। পরে বড় ভাইরা মিলে একসঙ্গে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। বাসায় আসার পর অনেক বেশি শীত লেগেছিল। পরে বড় ভাই অনেক সুন্দর করে সবার জন্য কফি বানিয়েছিল। সত্যিই কফিটা খেতে দারুণ হয়েছিল। এরপরে প্রতিদিনের মতো পোস্ট লিখতে বসেছি।
প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই ভাই,এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য,ভালই লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। আপনি সারাদিন কি - কি করেন। আপনার পোষ্টের ভিতরে একটি কথা আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি বললেন
এটা সত্য ভাই জীবনে চলার পথে কত মানুষ আসবে আর যাবে। কিন্তু পরিবারের চেয়ে ভালোবাসা পৃথিবীর বুকে আর কেউ দিতে পারবে না। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ভাই, নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি এটাই বিশ্বাস করি ভাই। বাড়ির বাইরে থাকলে কেউ খোঁজ নিক আর না নিক। আমার নিজের মা-বাবা আমার খোঁজ নিবেই। এটাই হচ্ছে আমার জীবনের সবথেকে বড় পাওয়া। শুধু আমার ক্ষেত্রে নয়। আমার মনে হয়, প্রতিটি সন্তানদের ক্ষেত্রে এরকমটা হয়।
ঠিক হয়ে বলেছেন ভাই জীবনে চলার পথে অনেক মানুষ আসবে এবং যাবে। কিন্তু দিনশেষে একমাত্র পরিবারের মানুষই পাশে থেকে যায়।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit