Better Life With Steem | | The Diary Game | | 13 January, 2025

in hive-120823 •  18 days ago 

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আপনাদের মাঝে গতকালকের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :

Our Biggest Adventure_20250114_110015_0000.png

Edit by canva

আলহামদুলিল্লাহ গতকালকে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছি। আগের থেকে এখন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠার জন্য চেষ্টা করতেছি। কারণ এভাবে প্রতিনিয়ত দেরিতে ঘুম থেকে উঠা একটা বাজে অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে। এর থেকেও তাড়াতাড়ি উঠার পিছনে একটা বড় কারণ বাসায় রান্না করতে হয়।

যাইহোক, ঘুম থেকে উঠে বাইরে দেখি অনেক রোদ উঠেছে। গতকালকে আমার ডিউটি ছিল দুপুর একটায়। ঘুম থেকে উঠেই তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়েছি। যেহেতু, তাড়াতাড়ি ডিউটি ছিল তাই নাস্তা খাওয়ার জন্য বাইরে যাই নি।

IMG_20250113_123751.jpg

পরে দুপুরে খাওয়ার জন্য রান্নাবান্না করেছি। পুরোপুরি রান্না করতে পারি না। তারপরও নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করি। আবারো বাসায় রান্না করে খাওয়ার একমাত্র একটাই কারণ। আমাদের অফিসের মেসে বেশিরভাগ সময়ে মাছ খাওয়ায়। আর আমি মাছ তেমন একটা খাইতে পারিনা।

IMG_20250113_125623.jpg

আলহামদুলিল্লাহ রান্নার কাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। পরে দুপুরের খাবার খেয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। যদিও আমার ডিউটি ছিল ১২ঃ৩০ মিনিটে, কিন্তু আমি ১টার সময় গিয়েছি।

কারণ অফিসে বড় ভাইকে ফোন দিয়ে শুনেছি কাজের তেমন একটা চাপ নেই। আর হ্যাঁ! গতকালকে রান্না করার সময় হাতে একটু আগুনের তাপ লেগেছিল। ব্যাচেলর জীবনে রান্না করে খেলে যা হয়। প্রথমে ভাবছিলাম তেমন একটা কিছু হবে না।

IMG_20250113_154822.jpg

তবে অনেকক্ষণ ঠান্ডা বরফ দিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় অফিসে যাওয়ার পর বেশি করে হাত জ্বলা শুরু করে। পরে বাসায় ফোন দিয়েন বড় ভাইকে একটা ক্রিম নিয়ে যেতে বলেছি। পরে অফিসেই হাতে ক্রিম লাগিয়ে দিয়েছি।
সত্যি কথা বলতে, এভাবে হঠাৎ এমন হবে কখনোই ধারণা করিনি। যাইহোক, ব্যাচেলর জীবনে এরকম ছোটখাটো জিনিস হবেই। পরে বিকেলের দিকে খালা সবার জন্য চা দিয়েছিল, সবাই চা খেয়েছি। হাতে ক্রিম লাগানোর পর তেমন একটা কাজ করতে পারি নি। তাই কিছুটা সময় অবসরে ছিলাম। এরপর আবারও নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলাম।

IMG_20250113_204538.jpg

IMG_20250113_155046.jpg

গতকালকে আমাদের রংপুর বনাম খুলনা টাইগার্সের বিপিএল খেলা ছিল। আর যাইহোক, রংপুরের খেলা না দেখলে মন শান্তি হবে না। তাই কাজের ফাঁকে রংপুরের খেলা দেখেছি। কিন্তু শেষের দিকে এসে রংপুর এভাবে জিতে যাবে কখনোই আশা করিনি। আমি তো পুরোপুরি হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম রংপুর হেরে যাবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এরকমটা হবে আসলেই সেটা অকল্পনীয় ছিল।

IMG_20250113_212735.jpg

মোটামুটি রাত নয়টার পর ল্যাবের কিছু ডকুমেন্টের কাজ করেছি। মানে ল্যাবে কতগুলো রিএজেন্ট স্টকে আছে এবং নতুন করে কি কি অর্ডার দিতে হবে এগুলোর হিসাব করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ সব কাজ শেষ করে ল্যাব বন্ধ করেছি। এরপর সবাই একসাথে বাসার উদ্দেশ্য রওনা হয়েছিলাম। আজকে এই পর্যন্তই ছিল।

ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনার অভিজ্ঞতা এবং ব্যাচেলর জীবনের ছোট ছোট চ্যালেঞ্জগুলো খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। রান্না করার সময় হাত পুড়ে যাওয়ার ঘটনাটি সত্যিই অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল, তবে আপনি কিভাবে ধৈর্য ধরে তা মোকাবিলা করেছেন, সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাছাড়া রংপুরের খেলা দেখে মনটাও ভালো হয়েছে, সেগুলোর বর্ণনা পড়তে খুব মজা হয়েছে! আপনার কাজের প্রতি কর্তব্যবোধ এবং জীবনের প্রতি আপনার ইতিবাচক মনোভাব অনেক অনুপ্রেরণাদায়ক। আল্লাহর রহমত ও মঙ্গল আপনার ওপর বর্ষিত হোক। ভালো থাকবেন।

সত্যি কথা বলতে কি ব্যাচেলর চাকরি জীবন আসলেই এক একটা দিন মানে এক একটা চ্যালেঞ্জ। সময় মত ডিউটি করা আবার রান্না-বান্না করে খাওয়া অনেকটা কষ্টকর।
সেদিনে হাত পুড়ে যাওয়াটা একদম অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। আর এরকম রান্না করতে গেলে ছোটখাটো দুর্ঘটনা হবেই। এটা স্বাভাবিক।
আমি সব সময় দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করি। আমার জন্য দোয়া করবেন আপু।

আপনার মন্তব্য পরে ভালো লাগলো ধন্যবাদ

TEAM 5 Congratulations! This post has been voted through steemcurator07. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.

Picsart_24-12-31_15-00-29-616.jpg

Curated By: @vivigibelis

Thank you. @vivigibelis

একটা ছেলে হয়ে রান্নাবান্না করা নিজের কাজগুলো সামলে নেওয়ার মধ্যেও কিন্তু দক্ষতার প্রয়োজন আপনি সেই দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তবে রান্না করতে গিয়ে আপনার হাত পুড়ে গেছে যেটা দেখে আসলে খারাপ লাগলো আশা করি আপনি আপনার হাতের চিকিৎসা সঠিকভাবে করবেন আসলে সঠিকভাবে রান্না করতে পারেন না তারপরেও চেষ্টা করছেন চেষ্টা করতে হবে একদিন সবকিছু আপনি পারবেন মানুষ হঠাৎ করেই কিন্তু চান্দের দেশে যেতে পারে না অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।

আপনার মত সবাই বলে ছেলে মানুষ সময় মত ডিউটি করা আবার রান্না বান্না করে খাওয়া আসলেই অনেক কষ্টকর। কিন্তু তারপরও চেষ্টা করে যাচ্ছি দেখা যাক কতদূর পর্যন্ত করতে পারি।
সেদিনের হাত পুড়ে যাওয়াটা পুরোটাই অনাকাঙ্খিত ছিল। পড়ে যাওয়ার পরপরই আমি হাতে মলম দিয়েছি।
দোয়া করবেন আপু একদিন যেন সবকিছু নিজের মতো করে গুছিয়ে নিতে পারি।

আপনার জন্য ও সব সময় শুভকামনা রইল।