Better Life With Steem | | The Diary Game | | 13 July, 2024

in hive-120823 •  4 months ago 

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :

Blue Modern Travel Mood boards Photo Collage_20240714_143232_0000.png

Edit by canva

আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতোই গতকালকেও সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠেছি। তবে গতকালকে সকাল বেলাটা খুব ভালো ছিল। অনেক সুন্দর ঠান্ডা আবহাওয়া ছিল যা বলার মত নয়। ঘুম থেকে উঠে বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে গাছ থেকে আম পেরেছিলাম। আমাদের গাছের আমও প্রায় শেষের দিকে।

বিগত দিন রাতে আমাদের গ্রামের একজন আমাকে ফোন দিয়েছিল। ফোন দিয়েছিল মূলত, ডিউটি থেকে আসার সময় এলার্জির ইনজেকশন আনতে বলেছিল। ডিউটি থেকে আসার সময় ইনজেকশন বাসায় এনেছিলাম।

IMG_20240713_084314.jpg

তাই সকালবেলা ইনজেকশন নিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়েছি। বাড়িতে গিয়ে ইনজেকশনটা শরীরে পুশ করে দিয়েছি। বাসায় আসার সময় খেয়াল করলাম, আমাদের মসজিদের কাজ অনেকটাই শেষ। এখন শুধু প্লাস্টার এবং রঙের কাজ বাকি আছে। আলহামদুলিল্লাহ মসজিদের কাজ দেখে খুব ভালো লাগলো।

IMG_20240714_175745.jpg

বাসায় এসে তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়েছিলাম। এদিকে মা দুপুরের খাবার নিয়ে যাওয়ার জন্য খাবার রেডি করেছে। আমি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে ল্যাবে পৌঁছে গিয়েছি। ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো করেছিলাম।

IMG_20240713_142253.jpg

তবে গতকালকে সকালবেলায় বেশ কয়েকটা কাজ হয়েছিল। এদিকে প্রতিষ্ঠানে নতুন এসি লাগানোর জন্য ইলেকট্রিক মিস্ত্রি এসেছিল।ডাক্তারের চেম্বারে এসি লাগানো ছিল না। তাই নতুন এসি লাগানোর জন্য মিস্ত্রি এসেছিল। তাদের কাজ শেষ করতে মোটামুটি দুপুর হয়ে গিয়েছিল। বাকি সময় আমি ফার্মেসিতেই ছিলাম।

দুপুরে খাওয়ার সময় হলে খেয়ে নিয়েছি। খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতোই বিকেল পর্যন্ত শুয়ে রেস্ট করেছি। বর্তমানের আবহাওয়া বোঝা বড়ই দায়। কারণ কখন যে রোদ উঠে আবার কখন বৃষ্টি আসে বোঝা মুশকিল। বিকেলের দিকে বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করেছিলাম। তবে বিভিন্ন জায়গায় ফোনে কথা বলেছিলাম।

IMG_20240713_143743.jpg

যাইহোক, আপনাদেরকে আজকে একটি বিষয় জানাবো। আমি যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি, সেখানে চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছি। চাকরি ছাড়ার কারণ হলো আমার অন্য এক জায়গায় ভালো চাকরি হওয়ার কথা চলতেছে। তাই বিকেলবেলা চাকরির বিষয় নিয়ে কথা বলতেই অনেক ব্যস্ত ছিলাম। এদিকে আমার বন্ধু ফোন দিয়েছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছুটিতে বাসায় এসেছে। ডিউটি থেকে যাওয়ার সময় তার সাথে দেখা করতে বলেছিল।

মোটামুটি রাত ৮:০০টা নাগাদ ল্যাব বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। বাড়ি বলতে সর্বপ্রথম বন্ধুর সাথে দেখা করেছিলাম। অনেকদিন পর বন্ধুর সাথে দেখা করে বেশ ভালই লেগেছিল। পরে বন্ধু বলল পার্বতীপুর বাজারে যাবে। দুজনে মিলে পার্বতীপুর বাজারে গিয়ে আমার এক বান্ধবীর সাথে দেখা করেছি।

IMG_20240713_210044.jpg

পার্বতীপুর শহরে আমার ঐ বান্ধবী ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করে। তিনজনে মিলে বেশ ভালোই আড্ডা দিয়েছিলাম। পরে সবাই মিলে একটি হোটেলে গিয়ে চা খেয়েছি। অনেকদিন পর অনেক সুন্দর একটা সময় পার করেছিলাম। পরে মোটামুটি রাত হয়ে গেলে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।

ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

মানুষের উপকার করা মহৎ একটি কাজ, ল্যাবে থেকে আসার সময় ইনজেকশন নিয়ে আসে আবার সেটা সকালে দিয়ে আসা শুনে ভালো লাগলো।। মসজিদের কাজ প্রায় শেষ দেখে ভালো লাগছে আসলে মসজিদ আল্লাহর ঘর এটা মেরামত আমাদের দায়িত্ব।।

এলাকার একজন চাচার অতিরিক্ত এলার্জি হওয়ার কারণে বাসায় আসার পথে আমাকে ইনজেকশন নিয়ে আসতে বলেছিল। সকালবেলা সেই চাচার বাসায় গিয়ে ইনজেকশন পুশ করেও দিয়েছি। হ্যাঁ ভাই মসজিদের কাজের উন্নতি দেখলে সবারই অনেক ভালো লাগে।
যাইহোক ভাই আমার ইনজেকশন পুশ করার বিষয়টা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম।

TEAM 2

Congratulations! This post has been voted through steemcurator04. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.

Post.jpg


Curated by : @anailuj1992

@anailuj1992 Thank you mam.

আপনার সারাদিনে কার্যক্রম দেখে খুব ভালো লাগলো, মানুষের উপকার করা খুব ভালো কাজ, আপনাদের মসজিদের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে দেখে খুব ভালো লাগলো, এটা দ্বারা বোঝা যায় আপনি মসজিদকে অনেক ভালোবাসেন, অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আমার কার্যক্রম করে আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম ভাই। আমাদের মুসলমানদের জন্য সর্বস্তরের জায়গা হল মসজিদ। এমন কোন মুসলমান নাই যে তারা মসজিদ এবং আল্লাহর ঘর কে ভালোবাসে না। সত্যি মসজিদের কাজের উন্নতি দেখে আমিও অনেক খুশি হয়েছিলাম।
আমার পোস্ট করে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।