আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও শীতের রাতে পোস্ট লিখতে বসেছি। সত্যি কথা বলতে, আমার কাছে শীত অনেক বেশি ভালো লাগে। জানি না, সবার কাছে শীত বেশি ভালো লাগে, নাকি গরম। তাহলে চলুন বন্ধুরা, শীতের রাতে আজকের কার্যলিপি শেয়ার করা যাক :
আমার তো আজকে অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক দেরিতে ঘুম ভেঙেছে। ঘুম থেকে উঠে দেখি ১২:৩০ মিনিট বেজে গেছে। শীতের দিনে দুপুর ১২টা মানে অর্ধেক দিন শেষ হয়ে যাওয়া। কিন্তু ঘুম ভাঙলেও সকালবেলা কেন জানি কম্বলের নিচ থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না।
শীতের সময় আমার মত অনেকের মাঝে এরকম অলসতা চলে আসে। তার উপর বিকেল ডিউটি হওয়ার কারণে উঠতেই ইচ্ছে করে না। যাইহোক, ঘুম থেকে উঠেই জানালা খুলে দেখি বাইরে অনেক রোদ উঠেছে। রোদের আভাস দেখে বেশ ভালই লাগলো।
পরে আর বেশি দেরি না করে তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়েছি। এর মাঝে মা আমাকে ফোন দিয়েছিল। আজকে মা আমায় বলতেছে, আমি নাকি অনেক সুখের চাকরি পেয়েছি। মানুষ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ডিউটি করে। কিন্তু আমার ডিউটি বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। তবে শিফটিং ডিউরির চাকরি করে অনেক মজা আছে।
দুপুরের দিকে তাড়াতাড়ি গোসল করে রেডি হয়েছি। যেহেতু, ৩:০০টায় ডিউটি ছিল, আর দুপুরের খাবার ঐখানে গিয়ে খেতে হবে। তাই একটু আগেই বের হয়েছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ অফিসে পৌঁছে আগে দুপুরে খাবার খেয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় দুপুরের খাবার আমার কাছে একটুও ভালো লাগেনি। এদিকের মানুষ মাছ অনেক বেশি খায়। তবে আজকে ছোট মাছের তরকারি ছিল।
যাইহোক, দুপুরের খাওয়া শেষ করে সোজা ল্যাবে গিয়েছি। আজকে বিকেলবেলা মোটামুটি কাজের চাপ ভালোই ছিল। আজকে ল্যাবের একজন স্টাফ ছুটিতে ছিল। এজন্য কাজের চাপটা অনেকটাই আমার উপরে এসে পড়েছে। আর হ্যাঁ! আজকে কাজের ফাঁকে ল্যাবে অনেকগুলো ছবিও তুলেছিলাম। ল্যাবের বড় ভাই আমাকে ছবিগুলো তুলে দিয়েছে।
কাজের মধ্যে কোন দিক দিয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেছিল বুঝতেই পারিনি। অফিস থেকে প্রতিদিন চা দিয়ে যায়। কিন্তু আজকে সন্ধ্যায় কফি দিয়েছিল। কফি'টার স্বাদ একদম অতুলনীয় ছিল। কাজের মাঝে এরকম চা বা কফি খেতে ভালই লাগে। আর হ্যাঁ! আজকে কফির পাশাপাশি মুড়ি পার্টির ও আয়োজন করেছিল।
মুড়ি খেতে আমার তেমন একটা ভালো লাগে না। কিন্তু তারপরও আজকে খেয়েছি। সত্যি কথা বলতে, মাঝে মাঝে কিছু খেতে না ইচ্ছে করলেও, সবার সাথে খেতে ভালই লাগে। যাইহোক, সন্ধ্যার খাওয়া দাওয়া শেষ করে নিজের কাজে আবারো ব্যস্ত ছিলাম।
এরপরে কোন দিক দিয়ে রাত ১০:০০টা বেজে গিয়েছে বুঝতেই পারিনি। আর শীতের দিনে রাত ১০:০০টা মানে অনেক রাত। পরে ল্যাব বন্ধ করে প্রতিদিনের মতো বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। বাসায় যাওয়ার পথে রাস্তায় বেশ ঠান্ডা লেগেছে। আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে বাসায় পৌঁছে গিয়েছি।