Better Life With Steem | | The Diary Game | | 14 January. 2024

in hive-120823 •  17 days ago 

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আপনাদের মাঝে গতকালকের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :

the Diary Game_20250116_014855_0000.png

Edit by canva

আলহামদুলিল্লাহ গতকালকে একটু সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছি। বিগত পোস্টে বলেছিলাম, আমি এখন আগের চেয়ে সকাল সকাল উঠার চেষ্টা করি। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠলে মন একদম ফ্রেশ থাকে। সেই সাথে পুরো একটা দিন উপভোগ করা যায়।

আর বিশেষ করে, সকালবেলা আমার রান্নার কাজ থাকে। ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়েছি। পরে সকালের নাস্তা খাওয়ার জন্য বাইরে গিয়েছি। আর হ্যাঁ! নাস্তা খাওয়া শেষ করে বিকাশের দোকানে গিয়ে বাসায় কিছু টাকা পাঠিয়েছি।

IMG_20250114_120621.jpg

IMG_20250114_115728.jpg

পুরো এক মাস কষ্ট করার পর যখন বাসায় কিছু টাকা পাঠাতে পারি। তখন মনের ভিতর অনেক বেশি আনন্দ কাজ করে। মনে হয়, পুরো এক মাসের ক্লান্তি এক মুহূর্তই শেষ হয়ে যায়। টাকা পাঠানোর পর আমি একটু ল্যাবএইড এর অফিসে গিয়েছি। কারণ অফিসের ফ্রিজে আমাদের মুরগির মাংস রাখা ছিল। সেখান থেকে মাংস নিয়ে সোজা বাসায় চলে এসেছি।

IMG_20250114_143453.jpg

আলহামদুলিল্লাহ বাসায় এসে দুপুরে এবং রাতে খাওয়ার জন্য রান্না করেছি। রান্না যদিও তেমন পারিনা তারপরও নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করি। ব্যাচেলর জীবনে এই একটাই সমস্যা। তারপরও সবকিছুর জন্য শুকরিয়া আদায় করি। যাইহোক, রান্নাবান্নার কাজ শেষ করে গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি।

IMG_20250114_162027.jpg

এরপর দুপুরের খাবার খেয়ে ৩:০০টার সময় অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। বিকেল ডিউটি হলে এই একটাই সুবিধা। বাসায় সব কাজ শেষ করে সুন্দর মত অফিসে যাওয়া যায়। আলহামদুলিল্লাহ অফিসে গিয়ে নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এর মাঝে খালা সবার জন্য চা নাস্তা দিয়েছিল। আমি এর আগেও অনেকবার বলেছি, চা আমার অনেক পছন্দের একটি জিনিস। আর শীতের দিনে তো কোন কথাই নেই।

গতকালকে কাজের মোটামুটি ভালই চাপ ছিল। তবে কাজ বেশি থাকলেই আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। তাহলে দেখা যায়, কাজের ব্যস্ততার মাঝেই সময় চলে যায়। ল্যাবএইডে জয়েন করার পর থেকে যতই দিন যাচ্ছে, ততই নতুন কিছু শিখতে পারতেছি। এটাই হচ্ছে আমার কাছে সব থেকে বড় পাওয়া।

IMG_20250114_191155.jpg

কারণ এই অভিজ্ঞতাগুলো সামনের দিকে আমি কাজে লাগাতে পারব। একটা কথা আছে না, কাজ শেখার কোন শেষ নেই। আমাদের এই সেক্টরে যতই সিনিয়ার হই না কেন, তারপরও শেখার কোন শেষ নেই। কাজের ব্যস্ততার মাঝে সন্ধ্যার দিকে একটু অবসর সময় পেয়েছি। এর মাঝে বাসা থেকে বড় ভাই ফোন দিয়ে বলেছিল বাসায় রান্না করার মতো চাল নেই। ডিউটি থেকে যাওয়ার পথে চাল নিয়ে যেতে বলেছিল।

IMG_20250114_220733.jpg

আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি রাত দশটা পর্যন্ত কাজ করে ল্যাব বন্ধ করেছি। এরপর বাসায় যাওয়ার পথে মুদি দোকান থেকে চাল নিয়েছিলাম। রান্না করে খাওয়া অনেক কষ্টকর, কিন্তু নিজের ইচ্ছা মত খাওয়া যায়। চাল নিয়ে সোজা বাসায় চলে গিয়েছি। আজকে এই পর্যন্তই ছিল।

ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ছেলেরা যখন কর্মজীবী হয়ে ওঠে তখন নিজের বাবা-মার কাছ থেকে অনেক দূরে থাকতে হয় ঠিক তেমনি মেয়েরা যখন বড় হয়ে যায় তখন তাদেরকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয় এই নিয়ম-নীতি সমাজের মধ্যে অনেক আগ থেকেই চলে আসছে আপনি ঠিকই বলেছেন আসলে সারা মাস কাজ করার পরে নিজের প্রিয় মানুষের কাছে যখন নিজের পরিশ্রমের টাকাটা পাঠানো হয় তখন অনেক বেশি আনন্দ লাগে।

সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠা আমাদের সবার জন্য ভালো কেননা সকালবেলার পরিবেশটা অনেক বেশি ঠান্ডা থাকে আর আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হাঁটাহাঁটি করলে আমাদের শরীর ভালো থাকে সেই সাথে আপনি লিখেছেন আপনি আজকে মুদি বাজার থেকে চাল কিনে নিয়ে গেছেন আসলে ছেলেদের রান্না করা খুবই কষ্টকর হয়ে যায় তবে আপনি ঠিক বলেছেন নিজের ইচ্ছামত যে কোন জিনিস রান্না করে খাওয়া যায় অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।

আপনি একদম বাস্তব কথা বলেছেন আপু। সন্তানরা যখন বড় হয় তখন বিভিন্ন কাজের জন্য বাইরে চলে যায়। আর মেয়েরাও বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে চলে যায়।
পুরো এক মাস কষ্ট করার পর যখন বেতন হাতে পাই সারা মাসের ক্লান্তি চলে যায়।
বাসায় রান্না করে খেলে নিজের ইচ্ছা মত রান্না করে খাওয়া যায়।

আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

TEAM 2

Congratulations! Your comment has been upvoted through @steemcurator04. Good post here should be..

TEAM-1.png

Curated by : @fombae

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য ভাল থাকবেন।

  • সারাদিনের কার্যক্রম পরে বেশ ভালো লাগলো কর্মজীবনে আমরা কত কিছুই না করি কত কষ্ট ত্যাগ স্বীকার করি, বাবা মাকে ভালো রাখার জন্য এরকম কষ্ট করাটা ও ভাগ্যের ব্যাপার এবং পরিবারকে ভালো রাখলে নিজেও অনেক বেশি ভালো থাকা যায়।

সারা মাস কষ্ট করার পরে যখন টাকা পাঠানো যায় ও নিজের হাতে পাওয়া যায় পারিশ্রমিক, তখন যেন অনেক বেশি আনন্দ কাজ করে, প্রতিটা দিনের ক্লান্ত দূর হয়ে যায়, সকালে ঘুম থেকে উঠে হাটাহাটি করেছেন এরপরে বাড়িতে টাকা পাঠিয়েছেন,

আবার দুপুরেও রাতের জন্য নিজে রান্নাটাও করেছেন, ব্যাচেলার জীবনে একটা সুযোগ আছে বিয়ের আগেই সব রান্না বান্না নিজেই শেখা যায়। এতে আপনারা ভালো এবং আপনার জীবন সঙ্গীর ও অনেকটা ভালো হবে। যাইহোক ভালো থাকবেন এবং নিজেকে সুস্থ রাখবেন।

আমাদের সন্তানদের ভালো থাকার পিছনে হচ্ছে একমাত্র মা-বাবা। সেই মা বাবাকে হাসিমুখে রাখা আমাদের দায়িত্ব।
একদম ঠিক বলেছেন সারা মাস কষ্ট করার পর যখন টাকা হাতে পাই তখন সারা মাসের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। বিশেষ করে আবার সেই টাকা যদি বাসায় পাঠাতে পারি তাহলে সব থেকে বেশি আনন্দ কাজ করে।

বিগত কয়েকদিন থেকে কাজের মাঝেও বাসায় রান্না করে খাচ্ছি।
আমার জন্য দোয়া করবেন আপু। আপনার জন্য ও শুভকামনা রইল।

Loading...

TEAM 2

Congratulations! Your post has been upvoted through @steemcurator04. Good post here should be..

TEAM-1.png

Curated by : @fombae

@fombae Thank you.

আপনার গতকালের দিনটি খুবই ব্যস্ত ও আনন্দদায়ক ছিল। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত সব কিছু নিয়েই আপনি এত সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন। সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে পারা এবং সব কাজ সময়মতো শেষ করা সত্যিই অনেক প্রাপ্তি। বাসায় টাকা পাঠানো, রান্না করা, এবং অফিসের কাজের মধ্যে আপনার অভিজ্ঞতা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। চায়ের সাথে শীতের আনন্দ আর কাজের মধ্যে শিখতে থাকা এই সবই আপনার দিনের নানা দিককে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। ব্যাচেলর জীবন সত্যিই চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু আপনি সেই চ্যালেঞ্জগুলোকে সুন্দরভাবে সামলাচ্ছেন। আপনার মতন যদি আরও সকলে চেষ্টা করতো, তাহলে জীবন আরও সুন্দর ও উৎপাদনশীল হতো।

সর্বপ্রথম কথা হচ্ছে আমি কাজ গুছিয়ে করতে অনেক পছন্দ করি। হ্যাঁ আপু যখন পুরো এক মাস কষ্ট করার পর বেতন হাতে পাই সেটা তৃপ্তি একদম অন্যরকম। আরো বেশি ভালো লাগে যখন সেই টাকা বাসায় পাঠাতে পারি তখন মনের ভেতর অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে।
আসলেই ব্যাচেলার জীবন মানেই চ্যালেঞ্জের বিষয়।
আমার জন্য দোয়া করবেন আপনি যেন ভালোভাবে চলতে পারি।