আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতোই গতকালকেও সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠেছি। এখন প্রতিদিন মোবাইলে অ্যালার্ম বাজার আগেই ঘুম ভেঙে যায়। তার একমাত্র কারণ হলো অত্যাধিক গরম। সারারাত যে পরিমাণে বিদ্যুৎ সমস্যা করে যা বলার মত নয়। সকালবেলা যে একটু শান্তিতে ঘুমাবো সে উপায়ও নেই।
যাইহোক, ঘুম থেকে উঠে বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করেছিলাম। প্রতিদিন তো সকালবেলা আম গাছে উঠি। কিন্তু গতকালকে কাঁঠাল গাছে উঠেছিলাম। গাছ থেকে একটা টাটকা কাঁঠাল পেরেছি। এদিকে মা রান্নাবান্নার কাজে বেশ ব্যস্ত ছিল।
প্রতিদিন সকালবেলা মা এরকম কাজকর্ম এবং রান্নাবান্না নিয়ে বেশ ভালোই ব্যস্ত থাকি। এটা বলতে গেলে প্রতিটি মায়েদের সকালবেলার দৈনিক রুটিন। পরে আমি তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। সকালবেলা গাছ থেকে যে কাঁঠাল পেরেছি, সেই কাঁঠাল খেয়েই সকালের নাস্তা সেরেছি। এমনিতেই যা গরম, কাঁঠাল খেয়ে আরো বেশি গরম লেগেছিল।
আলহামদুলিল্লাহ সকালের নাস্তা খেয়েই ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। গতকালকে যাওয়ার সময় গাড়িতে তেল ছিল না। তাই যাওয়ার পথে পেট্রোল পাম্প থেকে তেল নিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবেই ল্যাবে পৌঁছে গিয়েছি। ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে সেরেছিলাম।
যতই বেলা বাড়তে থাকে, রোদের তাপমাত্রা আরো বাড়তে শুরু করে। এরকম অত্যাধিক পরিমাণে গরম হলে মানুষ অসুস্থ হয়ে যাবে। মোটামুটি দুপুর পর্যন্ত অবসর সময় কাটিয়েছি। দুপুরের দিকে হঠাৎ করে চারদিক থেকে আকাশ অন্ধকার হয়ে এসেছিল। ভাবছিলাম হয়তো বৃষ্টি আসবে। কিন্তু বৃষ্টি আসেনি, উল্টো আরো গরমের তাপমাত্রা আরো বেড়ে গিয়েছে।
দুপুরে খাওয়ার সময় হয়ে গেলে খেয়ে নিয়েছি। খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মধ্যে বিকেল পর্যন্ত শুয়ে রেস্ট করেছি। গরম বেশি হলে কোন কাজই করতে ভালো লাগেনা। বিকেলের দিকে বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে হোটেলে গিয়ে চা খেয়েছি। যদিও গরম ছিল, কিন্তু আমার চা খাওয়ার অভ্যাস, না খেলে ভালোই লাগে না।
এর মাঝে আমার এলাকার এক বন্ধু ফোন দিয়ে বলেছিল, সে রংপুর থেকে ছুটিতে বাসায় এসেছে। তাই ডিউটি থেকে বাসায় যাওয়ার পথে দেখা করতে বলেছিল। গতকালকে আমাদের প্রতিষ্ঠানের মালিক উপস্থিত ছিল না। কারণ উনার শ্বশুরবাড়িতে মেয়ের আকিকার অনুষ্ঠান করেছে। সবাই সেখানে গিয়েছিল। মাগরিবের পরে সবাই চলে এসেছিল।
আমি যতটুকু জানি, মানুষ শীতকালীন সময়ে অসুস্থ খুব কম হয়। এই গরমে মানুষ বেশি অসুস্থ হয়। কারণ এই বিষয়ের সাথে আমি অনেকবার সম্মুখীন হয়েছিলাম। যাইহোক, মাগরিবের পরে ফার্মেসির ভাই আমার জন্য একটু ঠান্ডা এনেছিল। আমি অবশ্য একা খাইনি, পরে দুজন মিলে একসাথে খেয়েছিলাম।
পরে মোটামুটি রাত ৮:০০টা নাগাদ ল্যাব বন্ধ করে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। বাসায় যাওয়ার পথে আমাদের স্কুলের মাঠে বন্ধুর সাথে বেশ কিছু সময় আড্ডা দিয়েছি। অনেকদিন পর আবারো আড্ডা দিয়ে বেশ ভালোই লেগেছিল। পরে মোটামুটি রাত হয়ে গেলে বাসায় চলে গিয়েছে।
কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল, কাঁঠাল খেলে গরম লাগলেও কাঁঠাল খুব সুস্বাদু ফল, অনেকের চা খাওয়ার বেশি অভ্যাস অনেক বেশি, চা খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। আপনার সারাদিনে কার্যক্রম থেকে খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ সুন্দর পুষ্টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল সেটা প্রত্যেককেই জানি। কিন্তু আপনার কতটুকু আড়াল খেতে ভালো লাগে আমি সেটা জানি না। কিন্তু আমার একটুও ভালো লাগেনা। কিন্তু তারপরও গাছের ফল একটু খাই।
চা খাওয়ার অভ্যাসটা আমার অনেক আগের। ঠিকই বলেছেন, চা খেলে শরীরের ক্লান্তিটা অনেকটাই দূর হয়।
আমার পোস্ট পরিদর্শন করে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনি আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন, এবং কাঁঠাল আমি খেতে পছন্দ করি না কিন্তু এমন অনেক মানুষ আছে যারা কাঁঠালকে অনেক বেশি ভালোবাসে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল সেটা আমরা প্রত্যেকে জানি। আপনিও দেখি আমার মতই, কাঁঠাল আপনিও খেতে ভালোবাসেন না। যদিও গাছের টাটকা কাঁঠাল ছিল তারপরও কেন জানি আমার কাঁঠাল খেতে ভালো লাগে না।
ঠিকই বলেছেন আমরা হয়তো কাঁঠাল খেতে ভালবাসি না কিন্তু অনেকেই কাঁঠাল খেতে অনেক পছন্দ করেন।
আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit