Better Life With Steem | | The Diary Game | | 17 January, 2025

in hive-120823 •  15 days ago 

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আপনাদের মাঝে গতকালকের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :

The Diary Game_20250118_085822_0000.png

Edit by canva

আলহামদুলিল্লাহ গতকালকে ঘুম থেকে উঠেছি সকাল নয়টা নাগাদ। এর আগেও বলেছি, আমি আগের চেয়ে এখন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠার চেষ্টা করি। তার উপর গতকালকে আমার সকাল ১১:০০ টার সময় ডিউটি ছিল। শুধু ডিউটি নয়, সকালবেলা উঠে রান্না করারও একটা চাপ ছিল। ঘুম থেকে উঠে বাইরে দেখি অনেক রোদ উঠেছে।

IMG_20250117_104811.jpg

আমি যে বড় ভাইয়ের সাথে রান্না করি, সেই ভাইয়ের সকাল সাতটায় ডিউটি ছিল। আমিও ১১টার সময় গেলে দুপুরে খাওয়ার মত কোন সুযোগ থাকবে না। এজন্য সকালে আমি নিজেই রান্না করেছি। হাতে কম সময় থাকার কারণে শুধু ডিম ভুনা এবং ভাত রান্না করেছিলাম। ব্যাচেলর জীবনে কতই'না কষ্ট করতে হবে তার বাস্তব প্রমাণ পাচ্ছি।

রান্নার কাজ শেষ করে গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। এদিকে বাসা থেকে আপু ফোন দিয়েছিল। আগের দিন রাতেই এক দিনের ছুটিতে আপু বাসায় এসেছে। ফোন দিয়েছিল মূলত আপু এবং মা বাজারে একটা ড্রেসিং টেবিল কিনতে যাবে।

IMG-20250117-WA0001.jpg

WhatsApp থেকে সংগ্রহ করা

বাজারে গিয়ে আমাকে ছবি পাঠিয়ে বলেছিল কোনটা নিলে ভালো হয়। আমিও মোটামুটি একটা পছন্দ করে দিয়েছি। যাইহোক, পরে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ অফিসে পৌঁছে সোজা ল্যাবে গিয়েছি। তবে গতকালকে অন্যান্য শুক্রবারের থেকে কাজের চাপ কম ছিল। তার কারণ হচ্ছে কয়েকজন ডাক্তার ঢাকা থেকে আসেনি। তারপরও যেসব কাজ ছিল সেগুলো শেষ করে জুমা'র নামাজ পড়তে গিয়েছি। তবে গতকালকে একটু তাড়াতাড়ি নামাজে গিয়েছিলাম।

IMG_20250117_133015.jpg

নামাজ পড়ে এসে আবারো নিজের কাজ শুরু করি। আর হ্যাঁ! সকাল ১১ টায় বাসা থেকে আসার সময় আমি ভাত খেয়ে এসেছিলাম। যার কারণে দুপুরের দিকে তেমন একটা ক্ষুধা লাগে নেই। মোটামুটি বিকেল চারটা পর্যন্ত কাজ করেছি। পরে হালকা ক্ষুধা লেগেছিল তাই আবারও বাসার গিয়েছি।

IMG_20250117_161013.jpg

তবে এটা অবশ্য একটা ঝামেলা, অফিসের মেসে না খেলে খাওয়ার জন্য বাসায় যেতে হয়। আগে কাজ করার ফাকে অফিসের মেসে দুপুরের খাবার খাইতাম। যাইহোক, বাসায় খাওয়া দাওয়া করে রেস্ট করে আবারও চলে এসেছি। তবে বিকেল দিকে কাজের চাপ একেবারেই হালকা ছিল। কিন্তু টেস্টের কাজ না থাকলেও অফিসের কিছু ডকুমেন্ট এর কাজ থাকে। অবসর সময় সেই কাজগুলো করতে হয়।

গতকালকে আমাদের রংপুর রাইডার্স বনাম চিটাগং কিংসের বিপিএল খেলা ছিল। রংপুর গতকালকে অনেক কম রানের টার্গেট দিয়েছে। আমিতো শুরুতে আশা ছেড়ে দিয়েছি রংপুর হেরে যাবে।

IMG_20250117_220533.jpg

কিন্তু শেষের দিকে এসে এরকম হবে একটুও আশা করিনি। পরপর একটানা রংপুর ৮টি ম্যাচ জিতেছে। নিজের জেলা জয়লাভ করলে একটা অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। যাইহোক, রাত দশটার দিকে সব কাজ শেষ করে বাসার দিকে রওনা হয়েছি। আর হ্যাঁ! বাসায় যাওয়ার পথে কিছু সবজি বাজার করেছি। এ পর্যন্তই ছিল।

ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার দিনটি সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। ব্যাচেলর জীবনের কষ্ট আর দায়িত্বগুলো যেন প্রতিদিন নতুন কিছু শেখায়, সেটাই আপনার পোস্ট থেকে বোঝা যায়। সকালবেলার রান্নার চাপ, কাজের ব্যস্ততা, এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ সবকিছু খুবই গোছালোভাবে সামলেছেন।

আপনার আপুর জন্য ড্রেসিং টেবিল পছন্দ করার ঘটনাটি বেশ মজার লেগেছে। এতে বোঝা যায়, দূরে থেকেও পরিবারের প্রতি আপনার দায়িত্ববোধ কতটা গভীর। এছাড়া, রংপুর রাইডার্সের জয়ের উচ্ছ্বাস আর আপনার জেলার প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ দারুণ লেগেছে।

ব্যস্ত দিনের পরেও এত সুন্দরভাবে সময় ব্যয় করে কাজ এবং ব্যক্তিগত দায়িত্ব সামলানোর জন্য আপনাকে অভিনন্দন। আশা করি, আগামী দিনগুলোও আপনার জন্য এমন সফল ও আনন্দময় হবে। আল্লাহ আপনার জন্য বরকত দিন।

সেদিন খুব সকালবেলা ডিউটি ছিল তার ওপর আবার রান্নারও চাপ ছিল। সকাল বেলা উঠে ফ্রেশ হওয়ার রান্না করে আবার অফিসে যাওয়া আসলে অনেকটা চ্যালেঞ্জের বিষয়ে ছিল।
এদিকে বাসা থেকে আপু ফোন দিয়েছিল আমার রুমের জন্য সে একটা ড্রেসিং টেবিল কিনবে। সেটা আমার নিজের পছন্দের উপর তাই ফোন দিয়ে আমাকে কালার জিজ্ঞেস করেছিল।

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।

Loading...

মোটামুটি আপনার দিনটা একটু ব্যস্ততার মধ্যেই কেটে গেছে তবে নিজের পরিবারকেও সময় দিয়েছেন আপনার আপুর ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছে এবং আপনাদের জন্য একটা ড্রেসিং টেবিল কিনে নিয়েছে সেটা আপনি নিজে পছন্দ করে নিয়েছেন যেটা দেখে বেশ ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।

সেদিন খুব সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে রান্না করতে হয়েছে আবার সময়মতো ডিউটিতে যাওয়ার চাপ ছিল।
এদিকে আপু ফোন দিয়ে ড্রেসিং টেবিল পছন্দ করার কথা বলেছিল। আমি ভিডিও কলে আপুকে ড্রেসিং টেবিল পছন্দ করে দিয়েছি।
যতই ব্যস্ত থাকি না কেন তার পরেও নিজের পরিবারকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করি।

সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

আপনার একেক দিন একেক সময় ডিউটি হয় তাই ঘুম থেকে একেক দিন একেক সময় উঠলেও প্রায় দিন একটু সকালেই ওঠেন।। উঠার পর আজকে নিজেই রান্না করেছেন আবার বাজারও গিয়েছেন।। সেইসাথে অফিসে গিয়েছেন সব মিলিয়ে একটু ব্যস্ততার মধ্যে দিন অতিবাহিত করেছেন।।

সর্বপ্রথম কথা হচ্ছে আমাদের ডিউটিগুলো রোস্টার অনুযায়ী হয়। সপ্তাহে কয়েকদিন সকালে থাকে বাকি দিন বিকেলবেলা থাকে আবার মাঝখানেও থাকে। সেদিন বিকেলবেলা ডিউটি থাকে তো বাজারে গিয়ে বাজার করেছিলাম।
বর্তমানে রান্না করা, বাজার করা, কাপড় পরিষ্কার করা, আবার ডিউটি করা আসলে সব মিলিয়ে ভালোই ঝামেলার ভিতরে আছি ভাই।