আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আপনাদের মাঝে গতদিনের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
আলহামদুলিল্লাহ অন্যান্য দিনের তুলনায় গতকালকে আমি খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেছি। সত্যি কথা বলতে, সকাল ডিউটি থাকলে ঘুম থেকে তো উঠতেই হবে। যদিও উঠতে ইচ্ছে করে না, কিন্তু কিছুই করার নেই। চাকরি এমন একটা জিনিস, ইচ্ছা না থাকার সত্ত্বেও মাঝে মাঝে অনেক কিছু করতে হয়। এটাই হচ্ছে চাকরি লাইফ।
যাইহোক, ঘুম থেকে উঠেই বাইরে দেখি আবহাওয়া অনেক ঠান্ডা। সেই সাথে প্রচন্ড কুয়াশাও ছিল। পরে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হয়েছি। বাসার এক বড় ভাইয়ের ও সকাল ডিউটি ছিল।
পরে দুজনে মিলে অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। শীতের সকালে রাস্তাঘাট একদম পুরো ফাঁকা থাকে। যাদের অফিস আছে, শুধু তারাই অফিসের উদ্দেশ্যে ছুটছে। আলহামদুলিল্লাহ সঠিক সময়ের মধ্যে অফিসে পৌঁছে গিয়েছি।
সকালবেলা ডিউটি থাকলেও যাওয়ার পথে নাস্তা খাওয়ার সময় হয় না। তাই অফিসে গিয়ে কিছুক্ষণ পর নাস্তা খাওয়ার জন্য বাইরে গিয়েছি। গতকালকে আমার পছন্দের নাস্তা খেয়েছি। আমার খাসির নেহারির সাথে রুটি খেতে খুব ভালো লাগে। যাইহোক, নাস্তা খাওয়া শেষ করে আবারো ল্যাবে এসেছিলাম।
গত পরশু থেকে আমাদের অফিসে বিদ্যুতের একটু সমস্যা হয়েছে। সেই সাথে কাজের চাপ ও কম ছিল। গতকালকে মোটামুটি সকাল ১১ টা পর্যন্ত অবসর সময় কাটিয়েছি। ১১ টার পর অবশ্য কাজের ভালই চাপ হয়েছিল। আসলে সকাল ডিউটি করলে পুরো একটা দিনের স্বস্তি পাওয়া যায়।
আর বিকেল ডিউটি হলে ঘুম থেকে উঠতেই দুপুর হয়ে যায়। যার কারণে একটা পুরো দিন কোন দিক দিয়ে চলে যায় টেরও পাওয়া যায় না। দুপুর ২:০০টার দিকে কাজের ফাঁকে দুপুরের খাবার খেয়েছি। যদিও আমি মাছ খাই না, কিন্তু গতকালকের মাছের তরকারিটা অনেক ভালো হয়েছিল।
আমার বিকেল তিনটার দিকে ডিউটি শেষ হয়েছিল। কিন্তু বিকেল শিফটে যে ভাইয়ের ডিউটি ছিল, তিনি আসতে একটু দেরি হয়েছিল। বড় ভাই আসার পর সবকিছু বুঝে দিয়ে আমি বাসায় চলে এসেছি।
বিগত পোস্টে বলেছিলাম, আমাদের বাসার এক বড় ভাইয়ের ট্রান্সফার হয়েছে। সেই বড় ভাই গতকালকে বিকেল ৫ টায় চলে গেছে। বড় ভাইকে বিদায় দেওয়ার জন্য চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়েছি। আসলে অনেক দিন একসাথে থাকার পর, হঠাৎ চলে যাওয়াটা মেনে নেওয়ার মতো নয়। কিন্তু পরিস্থিতি সবকিছু হানিয়ে নিতে বাধ্য করে। বড় ভাইকে বিদায় দিয়ে আবার রুমে চলে এসেছি।
সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছি তেমন একটা ঘুম হয়নি। তাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঘুমিয়েছি। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে, মোটামুটি রাত ৯ টা নাগাদ রাতের খাবার খেতে গিয়েছি। খাওয়া শেষ করে বাইরে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে রুমে চলে এসেছি।