আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আপনাদের মাঝে গতকালকের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
আলহামদুলিল্লাহ গতকালকে অন্যান্য দিনের তুলনায় খুব দেরিতে ঘুম ভেঙেছে। ঘুম থেকে উঠে দেখি দুপুর হয়ে গেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ঘুম থেকে উঠে জানতে পারি, সকাল থেকে বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ নেই ভালো কথা, কিন্তু পানির ট্যাংকে পানিও নেই। অনেকটা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছিলাম।
কারণ পানি না থাকলে কিভাবে ফ্রেশ হয়ে ডিউটিতে যাব। পরে বাইরে খোঁজ নিয়ে দেখি আশপাশে গাছের ডালপালা কাটতেছে। এজন্যই বিদ্যুৎ অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ কিছু সময় থাকবে না।
যাইহোক, ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ ফোন চালিয়েছি। বিদ্যুৎ না থাকলে তো বাসায় ওয়াইফাই ও বন্ধ হয়ে যায়। গতকালকে আমার বিকেল ডিউটি ছিল। তবে মনে মনে দোয়া করেছি, অন্ততপক্ষে ডিউটিতে যাওয়ার আগে যেন বিদ্যুৎ আসে। যেন ডিউটিতে যাওয়ার আগে ফ্রেশ হয়ে যেতে পারি।
দুঃখের বিষয় ডিউটিতে যাওয়ার সময় হয়েছিল তারপরও বিদ্যুৎ আসেনি। কিন্তু রেডি হয়ে বের হব ঐ সময় বিদ্যুৎ এসেছিল। পরে চিন্তা করেছি একটু দেরি হলেও সমস্যা নেই, তারপরও ফ্রেশ হয়ে যেতে হবে। পরে তৎক্ষণাৎ তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি।
যাক শুকরিয়া আদায় করি, অন্ততপক্ষে ফ্রেশ হতে পেরেছি। আলহামদুলিল্লাহ ফ্রেশ হয়ে তাড়াতাড়ি অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। অফিসে যাওয়া মাত্রই নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। সত্যি কথা বলতে, সাপ্তাহিক ছুটি কাটার পরের দিনে এসে ডিউটি করতে তেমন একটা ভালো লাগে না। কিন্তু কিছুই করার নেই।
কিছুক্ষণ কাজ করার পর দুপুরের খাবার খেয়েছি। গতকালকে ছোট মাছের তরকারি দিয়েছিল। খাবার খাওয়ার পর আবারও নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আর দুঃখের বিষয় গতকালকে ছবি তোলার কথা আমার একদমই মনে ছিল না।
বিকেলের দিকে একজন রোগীর রিসিভ নিয়ে একটু ঝামেলা হয়ে গেছিল। পরে এই ঝামেলার জন্য আমি ল্যাব থেকে ক্যাশ কাউন্টারে এসেছিলাম। আমরা সচরাচর এমনিতে ক্যাশ কাউন্টারে যাই না।
যাইহোক, তাড়াতাড়ি ঝামেলা শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে আবারও ল্যাবে গিয়ে কাজ করেছি। আর কেন জানি, গতকালকে চাঁদপুরে অনেক জায়গায় বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানেও বিদ্যুৎ ছিল না।
এদিকে কয়েকদিন থেকে জেনারেটর নষ্ট হয়ে আছে। আর এখানে যত বড় জেনারেটর চলে ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া মেরামত করা সম্ভব হয় না। যাইহোক, সন্ধ্যার পর একটু ক্ষুধা লেগেছিল, পরে বাইরে ঝাল মুড়ি খেতে গিয়েছি। আসার সময় আমার ল্যাব ইনচার্জের জন্য পার্সেলও নিয়ে এসেছিলাম।
মোটামুটি রাত দশটা পর্যন্ত কাজ করে ল্যাব বন্ধ করেছি। শীতের দিনে রাত নয়টার পর আর তেমন একটা কাজ হয় না। কিন্তু অফিসের নিয়ম অনুযায়ী তারপরও খোলা রাখতে হয়। আলহামদুলিল্লাহ ল্যাব বন্ধ করেই বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। আজকে এই পর্যন্তই ছিল।
মাশাআল্লাহ ভাই, আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হলো প্রতিদিন আপনি অনেক ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে দিন কাটান। বিদ্যুৎ আর পানির অভাব সত্ত্বেও যেভাবে ধৈর্য ধরে সব সামলেছেন, সেটা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
কাজের প্রতি আপনার দায়িত্ববোধ এবং প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে কাজ চালিয়ে যাওয়া আমাদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক।
রোগীর ঝামেলা মেটানো থেকে শুরু করে ল্যাবের কাজ, এমনকি অফিসের বাইরে থেকে সহকর্মীদের জন্য খাবার আনা আপনার প্রতিটি কাজেই আন্তরিকতা এবং যত্নের ছাপ স্পষ্ট।
আল্লাহ আপনার এই পরিশ্রমকে কবুল করুন এবং কাজের মাঝে শান্তি আর সাফল্য দান করুন।
পোস্টটি পড়ে মনে হলো, শীতের রাতে কাজ শেষে ঝালমুড়ি খাওয়ার আনন্দও আলাদা।
আল্লাহ আপনাকে সুস্থ রাখুন, ভালো রাখুন, আর আপনার কাজের ক্ষেত্রে আরও সফলতা দিন।অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সর্বপ্রথম বলতে চাই, আপনার মন্তব্যটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। নিজের কর্মক্ষেত্র হচ্ছে সবথেকে বড় একটি জিনিস। আমার মনে হয় প্রত্যেকেরই নিজের কর্মকে শ্রদ্ধার সাথে দেখা এবং দায়িত্বের সাথে কাজ করা। আমিও আমার নিজের কর্মকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি।
আমাদের কর্মক্ষেত্র টা খুব সহজ হলেও আবার সবথেকে বড় কঠিন। কারণ ডাক্তাররা আমাদের এই ল্যাবের রিপোর্টের উপর একজন রোগীর প্রেসক্রিপশন করে। তাই আমাদেরকে সবকিছু খেয়াল রেখে ঠান্ডা মাথায় রিপোর্ট করতে হয়।
আমার জন্য দোয়া করবেন। ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Curated by: @ahsansharif
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you so much sir
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি এটা ঠিকই বলেছেন অফিসে যেতে হলে সব সময় পরিপাটি হয়ে যেতে হয়, গোসল করে যেতে হয়, গোসল করলে শরীরটা অনেক হালকা লাগে, আর মনটাও ফুরফুরা থাকে। আরেকটা বিষয় আপনার পোস্টটি পড়ে, আমি লক্ষ্য করলাম। আপনার বাসায় বিদ্যুৎ ছিল না শীতকালে বিদ্যুৎ না থাকলেও কোন সমস্যা হয় না, কিন্তু পানি না থাকলে সমস্যা। ভাই আপনি আলাদা একটা বালতিতে পানি ভরে রাখবেন, তাহলে দেখবেন আর পানির সংকট হবে না। আল্লাহ হাফেজ ,ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন ভাই, মানুষের কর্ম ক্ষেত্রে সব সময় পরিপাটি হয়ে যেতে হয়। তার সবথেকে বড় কথা ফ্রেশ হয়ে গেলে মন ফুরফুরা থাকে। সেই সাথে কাজেও মন বসে।
আসলে আমরা ব্যাচেলর থাকি তো, পানি বালতিতে ভরে রাখলেও বালতির পানি সবার জন্য হয় না
শীতের দিনে বিদ্যুৎ না থাকলেও পানিটা খুব জরুরী একটি জিনিস।
ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit