Better Life With Steem | | The Diary Game | | 25 October, 2024

in hive-120823 •  24 days ago 

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমি কেন জানি, আগের মতো ভালো থাকতে পারি না। আসলে মানুষের জীবনে কিছু স্মৃতি রয়ে যায় যেগুলো কখনোই ভোলা সম্ভব হয়ে উঠে না। যাইহোক, তারপরও আল্লাহতালার কাছে শুকরিয়া আদায় করি। আজকে আপনাদের মাঝে সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :

20241025_220751_0000.png

Edit by canva

আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতোই আজকেও সকাল আট'টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠেছি। আজকের দিনটি ছিল শুক্রবার। আমাদের মুসলমানদের জুমার নামাজের দিন। এজন্য প্রথমেই বলি আলহামদুলিল্লাহ। ঘুম থেকে উঠে ল্যাবে সকালবেলা কিছু কাজ ছিল।

IMG_20241025_095137.jpg

আর আমি যে জায়গায় কর্মরত আছি সেখানে অন্যান্য দিনের থেকে শুক্রবার দিনেই সব থেকে বেশি কাজ হয়। বেশি কাজ হওয়ার পিছনে কারণ হলো ঢাকা থেকে বেশ কয়েকজন ডাক্তার আসে। এজন্য অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্রবার দিনে রোগীর বেশি চাপ থাকে। মোটামুটি সকাল দশ'টা পর্যন্ত একটানা কাজ করেছিলাম। এর মাঝে আমার সহকারীরা সবাই চলে এসেছিল।

আমার সহকারীরা আসার পর আমি রুমে গিয়ে গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। এর মাঝে লালমনিরহাটের পরিচিত এক বড় ভাই আমাকে ফোন দিয়েছিল। ফোন দেওয়ার কারণ হলো বড় ভাইয়ের এক আত্মীয়র অপারেশন করাতে হবে। রোগীর সমস্যা ছিল, ঘাড়ের পিছনের শিরা ছিড়ে গিয়েছে।

IMG-20241025-WA0000.jpg

WhatsApp থেকে সংগ্রহ করা

আমরা ইংরেজিতে যেটা বলি (Vein). এখন ওই সমস্যার জন্য একজন নিউরোসার্জারি ডাক্তারের মাধ্যমে অপারেশন করাতে হবে। পরে রোগীর রিপোর্ট দিয়ে আমাকে বলেছিল অপারেশন করাতে আনুমানিক কত টাকা লাগতে পারে। পরে আমার যতটুকু জানা ছিল তাদেরকে ধারণা দিয়েছি। পরে সকালের নাস্তা খেয়ে আবারও ল্যাবে গিয়ে কাজ করেছি। মোটামুটি জোহরের নামাজের আগ পর্যন্ত একটানা কাজ করেছিলাম।

জুমার নামাজের সময় হলে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেছি। যদিও কাজের অনেক চাপ ছিল কিন্তু নামাজটা হচ্ছে সবার আগে। আলহামদুলিল্লাহ নামাজ আদায় করে আবারো ল্যাবে এসেছি। পরে কিছুক্ষণ কাজ করে রুমে এসে দুপুরের খাবার খেয়েছি। শুক্রবার দিনে সারাদিনেই বেশ ভালই রোগী হয়। তাই খাওয়া শেষ করে কিছু সময় শুয়ে রেস্ট করেছিলাম।

IMG_20241025_164911.jpg

IMG_20241025_131837.jpg

এর মাঝে ল্যাব থেকে ফোন এসেছিল মেশিনের সমস্যা হয়েছে। পরে ল্যাবে গিয়ে বড় ভাইসহ মেশিন ঠিক করার জন্য অনেক চেষ্টা করি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেশিন ঠিক করতে পারিনি। তাই ইঞ্জিনিয়ারকে আসতে বলেছিলাম। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যে হিসেবে কাজ হয়েছিল। বিকেলের দিকে ততটা কাজ হয়নি। তারপরও মোটামুটি সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ল্যাবেই ছিলাম।

সন্ধ্যার পর হাসপাতাল থেকে বের হয়ে সেই পরিচিত লঞ্চঘাটে গিয়েছি। লঞ্চের উপর বসে আড্ডা দিতে আমার বেশ ভালই লাগে। কারণ আমাদের উত্তরবঙ্গে কোন নদী নেই আর লঞ্চঘাট তো দূরের কথা। তাই এদিকে আসার পর থেকে লঞ্চের উপর বসে থাকতে বেশ ভালই লাগে।

IMG_20241025_191705.jpg

পরে সেখান থেকে হোটেলে গিয়ে রাতের খাবার খেয়েছিলাম। কমবেশি প্রতিদিনই আমি রাতের খাবার বাইরে খেয়ে থাকি। খাওয়া শেষ করে রুমে এসে প্রতিদিনের মতোই পোস্ট লিখতে বসেছি। আজকে এই পর্যন্তই ছিল।

ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আপনাদের ল্যাবে আজ অন্য জায়গা থেকে ডাক্তার এসেছিলো আর যেদিন ডাক্তার আসে সেদিন রোগীর সংখয়া অনেক থাকে এবং আপনাকে ব্যস্ত থাকতে হয়। মানুষের রোগের কোনো সীমা নেই। আপনার আত্মীয়ের ঘাড়ের শীরা ছিড়ে গেছে শুনে খুব খারাপ লাগলো। সত্যি কার যে কি হবে সেটা বলা মুশকিল। এখন যেকোনো সমস্যার জন্য অপারেশন করাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। আমাদের আশেপাশে অনেকেই চিকিৎসার অভাবে মারা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।