Better Life With Steem | | The Diary Game | | 27 December, 2024

in hive-120823 •  25 days ago 

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আপনাদের মাঝে গতকালকের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :

The Diary Game_20241228_125655_0000.png

Edit by canva

আলহামদুলিল্লাহ গতকালকে সকাল ৯ টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠেছি। গতকালকে শুক্রবারের দিন ছিল। আমাদের মুসলমানদের জন্য জুমার নামাজের দিন। আর হ্যাঁ! ২০২৪ সালের শেষ জুমার নামাজের দিন ছিল। সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করি, সবার আগামী জীবন অনেক ভালোভাবে কাটুক।

যাইহোক, ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ ফোন চালিয়েছি। আসলে ঘুম থেকে উঠেই ফোনটা হাতে না নিলে ভালো লাগেনা। পরে বাসায় সবার সঙ্গে কিছুক্ষণ গল্প করেছি। আমার ডিউটি ছিল সকাল ১১:০০ টার সময়।

IMG_20241228_124811.jpg

আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন, শুক্রবার দিনে আমাদের প্রতিষ্ঠানে সবথেকে বেশি কাজ হয়। কিছুক্ষণ আড্ডা দেওয়ার পর তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নাস্তা খাওয়ার জন্য বাইরে যেতে ইচ্ছা করে না। বিশেষ করে একা যেতে একদমই ভালো লাগেনা।

অফিসের সময় হলে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ ভালোভাবে অফিসে পৌঁছেছি। অফিসে পৌঁছা মাত্রই দেখি রোগীর ভালোই চাপ হয়েছে। পরে আমি সোজা উপরে ল্যাব রুমে গিয়েছি। ল্যাবে গিয়ে দেখি বড় ভাই একাই সকাল থেকে কাজ করতেছে। বেশ কিছু কাজ জমেও গেছে।

IMG_20241228_124756.jpg

পরে আমি নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে যাই। শুক্রবারে এত বেশি চাপ হওয়ার কারণ হলো- বাইরে থেকে বেশ কিছু ডাক্তার চেম্বার করার জন্য আসে। মোটামুটি জোহরের নামাজের আগে পর্যন্ত একটানা ল্যাবে কাজ করেছি। পরে নামাজের সময় হলে তাড়াতাড়ি ওযু করে নামাজ পড়তে গিয়েছি।

কিন্তু দুঃখের বিষয় চাঁদপুরে আসার পর এখন পর্যন্ত মসজিদে নামাজ পড়ার সুযোগ হয়নি। কারণ এদিকে মসজিদে অনেক ভিড় হয়। যার কারণে রাস্তায় দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে হয়।

IMG_20241228_124829.jpg

আলহামদুলিল্লাহ বছরের শেষ জুমার নামাজ আদায় করতে পেরে আল্লাহতালার কাছে শুকরিয়া আদায় করি। শেষ জুমার নামাজে হাত তুলে দোয়া করেছি, যেন পৃথিবীর সকল মা বাবা হাজার বছর বেঁচে থাকে। সেই সাথে প্রিয় মানুষগুলোও যেন সব সময় সুখে থাকে।

নামাজ আদায় করে দুপুরের খাবার খেয়েছি। খাওয়া শেষ করে আবারো ল্যাবে নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। বছরের শেষ জুমার নামাজ ছিল ঠিকই, কিন্তু আমি মানসিক দিক থেকে ঠিক ছিলাম না। মনটা এতটাই খারাপ ছিল যা বলার মত নয়

IMG_20241228_125107.jpg

IMG_20241228_124908.jpg

বিকেলে ডিউটির ফাঁকে ল্যাবের ভাইসহ বাইরে ঘুরতে বেরিয়েছি। চাঁদপুরে মেঘনা নদীর ধারে একটি ঘাট আছে। সেখানে বিকেলের পরিবেশটা অনেক সুন্দর দেখতে। সেখানে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়েছি এবং ছবিও তুলেছিলাম। যতই ঘুরতে যাই না কেন, মন ভালো রাখার চেষ্টা করি না কেন, মানসিক দিক থেকে ভালো ছিলাম না।

IMG_20241228_125143.jpg

মোটামুটি রাত ৮:০০টা পর্যন্ত বাইরেই ছিলাম। পরে ল্যাবে এসে বেশ কিছুক্ষণ কাজ করে ল্যাব বন্ধ করেছি। গতকালকে রাতে মেসে খাইনি। হোটেলে গিয়ে রুটি এবং ডিম ভাজি খেয়েছিলাম।

আসলে মন ভালো না থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা। আসলে মানুষের জীবনের কিছু স্মৃতি থাকে। সেগুলো কখনোই ভোলার মত নয়। সব সময় যেন সেই স্মৃতিগুলো তাড়া করে বেড়ায়। আজকে এই পর্যন্তই ছিল। ভালো থাকবেন সবাই।

ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সত্যিই আপনি অনেক কঠোর পরিশ্রম একজন মানুষ। সারাদিন ব্যস্ততার মাঝেও জুম্মার নামাজটি আদায় করেছেন তা দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য সব সময় দোয়া ও ভালোবাসা রইলো ভাই। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।

শুক্রবার দিনে আমাদের প্রতিষ্ঠানে কাজের অনেক চাপ থাকে। তারপরও কাজের ফাঁকে নামাজ আদায় করার চেষ্টা করি। আর আপনারা হয়তো জানেন, আমাদের ল্যাব এর কাজগুলো সব সময় ধৈর্য ধরে নিখুঁতভাবে করতে হয়। কারণ আমাদের ল্যাবের একটা রিপোর্টের উপর একটা ডাক্তার রোগীর প্রেসক্রিপশন করে। সেই প্রেসক্রিপশন দেখেই একজন রোগীর চিকিৎসা শুরু হয়। তাই সব সময় আমাদের কাজগুলো ধৈর্য সহকারে করা হয়।

ভালো থাকবেন।

Loading...

এর আগেও শুনেছি শুক্রবার দিনে আপনি একটু বেশি ব্যস্ত থাকেন আর এই ব্যস্ততার মাঝেও ঘুরতে গিয়েছিলাম সেটা দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো।। শুধু কাজ করলে হয় না বিনোদনের প্রয়োজন আছে।।

শুক্রবারের দিনে অন্য দিনের তুলনায় কাজের চাপ একটু বেশি থাকে। তার কারণ শুক্রবার দিনে বাইরে থেকে অনেক ডাক্তার চেম্বার করতে আসেন। যদিও ব্যস্ত ছিলাম তারপরও বিকেলের দিকে একটু বাইরে বের হয়েছি।
আর চাঁদপুরে মেঘনা নদীর মোহনা জায়গাটা দেখতে অনেক সুন্দর।
তাই আমার কলিগ এবং আমি দুজনে মিলে একটু বাইরে বের হয়েছি।